কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
উপকূলীয় এলাকার জন্য ১৫৩টি আশ্রয়কেন্দ্রের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড় ও ঘূর্ণিঝড়ের গতি কমিয়ে আনতে
সবুজ বেষ্টনি গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস ২০১৬ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের একটাই বাঁচার পথ। ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষা পাওয়ার একটিই পথ, সেটা হচ্ছে বাংলাদেশকে সবুজ বেষ্টনী দিয়ে ঘিরে ফেলা।”
তাতে ঘূর্ণিঝড় আর জলোচ্ছ্বাসের ধাক্কা খানিকটা কমে আসবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “কিছু পদক্ষেপ নিজেদেরকেও নিতে হবে।”
অনুষ্ঠানে রামপাল বিদ্যৎকেন্দ্রবিরোধী আন্দোলন এবং সুন্দরবনের সুরক্ষায় সরকারের পরিকল্পনা নিয়েও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
“এই যে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র, যে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে এত কথা, সেখানে পাঁচ লাখ গাছ লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে। সবুজ বেষ্টনী সৃষ্টি করার জন্য এবং কার্বন সিংকের জন্য।”
সুন্দরবনের কাছে বাগেরহাটের রামপালে বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ উদ্যোগে কয়লাভিত্তিক এই ‘মৈত্রী সুপার পাওয়ার থারমাল’ বিদ্যুৎ কেন্দ্র হচ্ছে; যার ক্ষমতা এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট।
এবারের আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসের প্রতিপাদ্য ‘টেল টু লিভ’। এর সাথে মিলিয়ে বাংলাদেশে এবার প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়েছে, ‘দুর্যোগ ঝুঁকি কমাতে হলে, কৌশলসমূহ বলতে হবে’।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় দিবসটি উপলক্ষে ক্রোড়পত্র প্রকাশ, পোস্টার ও লিফলেট বিতরণের পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতার পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় আয়োজন করা হয়েছে ভূমিকম্প ও অগ্নি প্রতিরোধ মহড়া।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের মনে রাখতে হবে যে, বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থা এমন এক জায়গায়, যেখানে প্রতিনিয়ত নানা ঝুকির মোকাবেলা করেই আমাদের চলতে হয়। বন্যা, খরা আর জলোচ্ছ্বাসসহ নানা ধরনের ঝুঁকি আমরা প্রতিনিয়ত মোকাবেলা করি।… এই ঝুকি থেকে মানুষকে বাঁচানো যায় না, এটা ঠিক না।”
সজাগ থাকলে আর সময় মতো পদক্ষেপ নিলে যে কোনো দুর্যোগ মোকাবেলা করা সহজ হয় মন্তব্য করে বন্যা থেকে রক্ষায় মাটি উঁচু করে ঘর তৈরির পরামর্শ দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ দায়ী না হলেও এর বিরূপ প্রভাব বাংলাদেশকেই বেশি মোকাবেলা করতে হচ্ছে।
সত্তরের জলোচ্ছ্বাস, ১৯৮৮ সালের বন্যা, ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড় এবং ১৯৯৮ সালের বন্যার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, যে কোনো দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ এখন যথেষ্ট পারদর্শিতা অর্জন করেছে।
১৯৯১ সালের চট্টগ্রাম ঘূর্ণিঝড়ের সময়ে তখনকার বিএনপি সরকারের ‘অসচেতনতার’ সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সতর্ক বার্তাটাও সেভাবে দেওয়া হয়নি। ঘূর্ণিঝড়টা কীভাবে আসছে, কত শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়টা হবে… তখন আবহাওয়া বার্তা দেওয়ার মত আধুনিক পদ্ধতিও ছিল না। ফলে এ ব্যাপারে কোনো সচেতনতা ছিল না, কেউ জানত না।”
সে সময় নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর ‘ব্যাপক’ ক্ষয়ক্ষতির কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, “সরকার অচেতন থাকলে, কেউ তো সচেতন হয় না।”
দুর্যোগ মোকাবিলায় এখনকার প্রস্তুতি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “এখন মাল্টিপারপাস সাইক্লোন সেন্টার বানাচ্ছি। সেখানে স্কুল হবে, হাসপাতাল হবে বা অন্য দপ্তর হবে। প্রত্যেকটা সাইক্লোন সেন্টারের সাথে একটা স্টোরের ব্যবস্থা থাকবে। সেখানে স্কুল বা অফিস যা চলবে, তাদের জরুরি কাগজ যেন রাখা যায়। প্রত্যেক সাইক্লোন সেন্টারে বৃষ্টির পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা হবে। গবাদী পশু রাখার ব্যবস্থা রাখতে হবে।”
বিভিন্ন স্থানে বেড়িবাঁধ নির্মাণ এবং মেরামতের তথ্যও অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
বজ্রপাত থেকে রক্ষায় তালগাছ লাগানোর ওপর জোর দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “বজ্রপাত ইদানিং দেখা যাচ্ছে খুব বেশি। আগে প্রত্যেক বাড়ির সাথে তাল গাছ থাকত। ইদানিং তাল গাছ নেই। তালগাছ কেউ লাগায় না। তালগাছের একটা গুণ আছে। বজ্রপাত হলেই সেটা আগে তাল গাছের ওপর পড়ে। আমাদের দেশ থেকে যেন তালগাছ হারিয়ে যাচ্ছে। আমাদের আবার তালগাছ লাগানো শুরু করা উচিত।”
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস ২০১৬ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের একটাই বাঁচার পথ। ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষা পাওয়ার একটিই পথ, সেটা হচ্ছে বাংলাদেশকে সবুজ বেষ্টনী দিয়ে ঘিরে ফেলা।”
তাতে ঘূর্ণিঝড় আর জলোচ্ছ্বাসের ধাক্কা খানিকটা কমে আসবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “কিছু পদক্ষেপ নিজেদেরকেও নিতে হবে।”
অনুষ্ঠানে রামপাল বিদ্যৎকেন্দ্রবিরোধী আন্দোলন এবং সুন্দরবনের সুরক্ষায় সরকারের পরিকল্পনা নিয়েও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
“এই যে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র, যে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে এত কথা, সেখানে পাঁচ লাখ গাছ লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে। সবুজ বেষ্টনী সৃষ্টি করার জন্য এবং কার্বন সিংকের জন্য।”
সুন্দরবনের কাছে বাগেরহাটের রামপালে বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ উদ্যোগে কয়লাভিত্তিক এই ‘মৈত্রী সুপার পাওয়ার থারমাল’ বিদ্যুৎ কেন্দ্র হচ্ছে; যার ক্ষমতা এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট।
এবারের আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসের প্রতিপাদ্য ‘টেল টু লিভ’। এর সাথে মিলিয়ে বাংলাদেশে এবার প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়েছে, ‘দুর্যোগ ঝুঁকি কমাতে হলে, কৌশলসমূহ বলতে হবে’।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় দিবসটি উপলক্ষে ক্রোড়পত্র প্রকাশ, পোস্টার ও লিফলেট বিতরণের পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতার পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় আয়োজন করা হয়েছে ভূমিকম্প ও অগ্নি প্রতিরোধ মহড়া।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের মনে রাখতে হবে যে, বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থা এমন এক জায়গায়, যেখানে প্রতিনিয়ত নানা ঝুকির মোকাবেলা করেই আমাদের চলতে হয়। বন্যা, খরা আর জলোচ্ছ্বাসসহ নানা ধরনের ঝুঁকি আমরা প্রতিনিয়ত মোকাবেলা করি।… এই ঝুকি থেকে মানুষকে বাঁচানো যায় না, এটা ঠিক না।”
সজাগ থাকলে আর সময় মতো পদক্ষেপ নিলে যে কোনো দুর্যোগ মোকাবেলা করা সহজ হয় মন্তব্য করে বন্যা থেকে রক্ষায় মাটি উঁচু করে ঘর তৈরির পরামর্শ দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ দায়ী না হলেও এর বিরূপ প্রভাব বাংলাদেশকেই বেশি মোকাবেলা করতে হচ্ছে।
সত্তরের জলোচ্ছ্বাস, ১৯৮৮ সালের বন্যা, ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড় এবং ১৯৯৮ সালের বন্যার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, যে কোনো দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ এখন যথেষ্ট পারদর্শিতা অর্জন করেছে।
১৯৯১ সালের চট্টগ্রাম ঘূর্ণিঝড়ের সময়ে তখনকার বিএনপি সরকারের ‘অসচেতনতার’ সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সতর্ক বার্তাটাও সেভাবে দেওয়া হয়নি। ঘূর্ণিঝড়টা কীভাবে আসছে, কত শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়টা হবে… তখন আবহাওয়া বার্তা দেওয়ার মত আধুনিক পদ্ধতিও ছিল না। ফলে এ ব্যাপারে কোনো সচেতনতা ছিল না, কেউ জানত না।”
সে সময় নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর ‘ব্যাপক’ ক্ষয়ক্ষতির কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, “সরকার অচেতন থাকলে, কেউ তো সচেতন হয় না।”
দুর্যোগ মোকাবিলায় এখনকার প্রস্তুতি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “এখন মাল্টিপারপাস সাইক্লোন সেন্টার বানাচ্ছি। সেখানে স্কুল হবে, হাসপাতাল হবে বা অন্য দপ্তর হবে। প্রত্যেকটা সাইক্লোন সেন্টারের সাথে একটা স্টোরের ব্যবস্থা থাকবে। সেখানে স্কুল বা অফিস যা চলবে, তাদের জরুরি কাগজ যেন রাখা যায়। প্রত্যেক সাইক্লোন সেন্টারে বৃষ্টির পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা হবে। গবাদী পশু রাখার ব্যবস্থা রাখতে হবে।”
বিভিন্ন স্থানে বেড়িবাঁধ নির্মাণ এবং মেরামতের তথ্যও অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
বজ্রপাত থেকে রক্ষায় তালগাছ লাগানোর ওপর জোর দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “বজ্রপাত ইদানিং দেখা যাচ্ছে খুব বেশি। আগে প্রত্যেক বাড়ির সাথে তাল গাছ থাকত। ইদানিং তাল গাছ নেই। তালগাছ কেউ লাগায় না। তালগাছের একটা গুণ আছে। বজ্রপাত হলেই সেটা আগে তাল গাছের ওপর পড়ে। আমাদের দেশ থেকে যেন তালগাছ হারিয়ে যাচ্ছে। আমাদের আবার তালগাছ লাগানো শুরু করা উচিত।”
খবর বিভাগঃ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়