Wednesday, October 26

আব্বু বলে ডেকেছেন খাদিজা

আব্বু বলে ডেকেছেন খাদিজা

কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: বাবা মাশুক মিয়ার অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে আব্বু বলে ডেকেছেন খাদিজা। মাকেও চিনতে পেরেছেন বলে জানান খাদিজার স্বজনেরা। গত ৩ অক্টোবর থেকে অচেতন অবস্থায় ছিলেন তিনি।সৌদিপ্রবাসী মাশুক মিয়া মেয়ের ওপর হামলার খবর পেয়ে ৬ অক্টোবর দেশে ফেরেন। একই দিনে দেশে আসেন খাদিজার ভাই শাহীন আহমেদ। চীনের একটি মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী শাহীন সোমবার চীনে ফিরে গেছেন।

কিছুক্ষণ আগে খাদিজার বাবা মাশুক মিয়া বলেন, ‘খাদিজা আজ আমাকে আব্বু বলে ডেকেছে। খুব আস্তে। আমি নিজে শুনেছি। আমার মনে হলো, ও আমাকে, ওর মাকে এবং আমাদের আত্মীয়স্বজনদেরও হালকা হালকা চিনতে পারছে। ব্যথা পেলে গোঙাচ্ছে। চিকিৎসকেরা আমাদের বলেছেন, দু–চার দিনের মধ্যেই ওকে কেবিনে দিয়ে দেবেন।’ তিনি আরও জানান, খাদিজা এখন কোনো কৃত্রিম যন্ত্রের সাহায্য ছাড়াই অল্পস্বল্প খাওয়াদাওয়া করছেন। বেশির ভাগ সময়ই তাঁকে তরল খাবার দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে মাশুক মিয়া বলেন, তাঁরা ধারণ করছেন, দু–তিন মাস পরে খাদিজার শারীরিক অবস্থার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হবে।

খাদিজা বেগমের চিকিৎসক স্কয়ার হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের পরামর্শক রেজাউস সাত্তার জানিয়েছেন, মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের পর খাদিজার শরীরের ডান দিকে সাড়া ফিরলেও, খাদিজা বাম হাত-বাম পা নাড়তে পারছিলেন না। এই সপ্তাহের শুরু থেকে খাদিজা বাম পাও সামান্য নাড়তে পারছেন। তবে বাম পা নাড়তে তাঁর খুব কষ্ট হচ্ছে।

গত ৩ অক্টোবর সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের (ডিগ্রি) ছাত্রী খাদিজা বেগম পরীক্ষা দিয়ে ফেরার পথে বদরুল আলমের নির্যাতনের শিকার হন। মাথায় মারাত্মক আঘাত নিয়ে প্রথমে খাদিজাকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর অচেতন অবস্থাতেই খাদিজাকে ওই দিন দিবাগত রাতে তাঁর স্বজনেরা স্কয়ার হাসপাতালে আসেন।

রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খাদিজা বেগম এখন হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে আছেন। তাঁর শরীর থেকে কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাসের যন্ত্রপাতি ও খাওয়ানোর জন্য যন্ত্রপাতি খুলে নেওয়া হয়েছে। শারীরিক অবস্থার আরও উন্নতি হওয়ায় হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট থেকে খাদিজাকে কেবিনে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়