Monday, October 17

তিস্তা চুক্তি নিয়ে বাংলাদেশ খুবই আশাবাদী

তিস্তা চুক্তি নিয়ে বাংলাদেশ খুবই আশাবাদী

কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: গতকাল রবিবার রাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠকে তিস্তা চুক্তির বিষয়ে বাংলাদেশ খুবই আশাবাদী। এই আশাবাদের কথা জানান পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক।

আগামী ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে আসবেন কিনা সে বিষয়েও বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা চলছে বলে জানান তিনি। তবে এখনও কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। এদিকে উন্নয়নের প্রশ্নে একে অন্যের পাশে থাকবে দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী ভারত ও বাংলাদেশ। গোয়ায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এই প্রতিশ্রুতি এসেছে। ব্রিকস-বিমসটেক আউটরিচ সামিট শেষে আনুষ্ঠানিক নৈশভোজের পর রাতে হোটেল লীলায় মোদি ও হাসিনার এই বৈঠক হয়।

বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, উন্নয়নের প্রশ্নে বাংলাদেশ ভারতের পাশে থাকবে। আর ভারতও বাংলাদেশের পাশে থাকবে। বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থানের প্রশংসা করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী আমাদের প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চেয়েছেন যে, তিনি কীভাবে সফল হয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জনসচেতনতার কথা তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে পারিবারিকভাবে সচেতনতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। মসজিদের ইমামরা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কথা বলছেন। জনগণের কাছ থেকেও সাড়া পাওয়া যাচ্ছে বলে প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে উল্লেখ করেন।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বৈঠকে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সরকার প্রধানকে বলেছেন, উন্নয়নের পথে আমরা একসঙ্গে যাত্রা শুরু করেছি। এজন্য একসঙ্গে কাজ করার কথাও বলেন নরেন্দ্র মোদি। বৈঠকে দীর্ঘ সময় ধরে ঝুলে থাকা তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে শহীদুল হক বলেন, বৈঠকে এ বিষয়ে তেমন আলোচনা হয়নি। তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন, আমরা সকল সমস্যা এক সঙ্গে সমাধান করব। পররাষ্ট্র সচিব বলেন, তিস্তার বিষয়ে আমরা আশাবাদী।

অপর প্রশ্নের জবাবে শহীদুল হক বলেন, আগামী ডিসেম্বরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারতে দ্বিপক্ষীয় সফরের সম্ভাবনা রয়েছে। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

আধা ঘণ্টার এ আলোচনা খুব সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে হয় বলে জানানো হয়েছে। শহীদুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেন মোদি। কীভাবে তিনি সন্ত্রাসের মোকাবিলা করছেন তা বিস্তারিত জানতে চান। শেখ হাসিনা তাঁকে বলেন, সে জন্য তাঁর সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে। ধর্মীয় নেতাদের সাহায্য নিচ্ছেন, ছাত্র-যুবা ও তাঁদের অভিভাবকদের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে, সামাজিক সচেতনতা বাড়ানো হচ্ছে। শেখ হাসিনা আবারও মোদিকে আশ্বস্ত করে বলেন, বাংলাদেশের জমিতে তিনি কোনো রকমের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চলতে দেবেন না।

শহীদুল হক জানান, শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি দুজনই মনে করেন, দুই দেশের নেতাদের মধ্যে আরও ঘনঘন সফরের আয়োজন করা উচিত। সে জন্য প্রটোকলের বাইরেও যদি যাওয়ার দরকার পড়ে, তাহলে তা-ও করা দরকার।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়