নিজস্ব প্রতিবেদক:
সিলেটের জেলা প্রশাসক মোঃ জয়নাল আবেদীন বলেছেন, কানাইঘাট উপজেলাকে বাল্য বিবাহ মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় শীঘ্রই এ উপজেলাকে ভিক্ষুক মুক্ত ঘোষণা করা হবে। কানাইঘাটকে দেশের সমৃদ্ধিশালী উপজেলা হিসাবে গড়ে তোলতে জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনের কর্মকর্তা সহ সবাইকে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। ভিক্ষাবৃত্তি মহাপাপ, সমাজের জন্য অভিশাপ উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ভিক্ষুক মুক্ত দেশ গড়তে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। তার এ কর্মসূচী বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছি। প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেট জেলাকে দেশের মধ্যে সবার আগে ভিক্ষুক মুক্ত ঘোষনা করার জন্য ইতিমধ্যে আমরা ভিক্ষুকদের উপজেলা পর্যায়ে ডাটাবেজ তৈরি করে তাদেরকে সরকারের প্রাপ্ত সকল সুযোগ সুবিধা প্রদান এবং উপজেলা পর্যায়ে এলজিএসপি, এডিপি, রেভিনিউ ফান্ডের অর্থ এবং অন্যান্য দাতা ও সমাজ হৈতশী ব্যক্তিবর্গের আর্থিক অনুদানের মাধ্যমে ভিক্ষুকদের পুর্নবাসন কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে দারিদ্র বিমোচনের আওতায় আনা হবে। এজন্য উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের ভিক্ষুকদের তালিকা তৈরি করে তাদের আত্মকর্মসংস্থানের আওতায় আনার আহবান জানিয়েছেন তিনি। জেলা প্রশাসক জয়নাল আবেদীন সোমবার সকাল ১১টায় উপজেলা সম্মেলন কক্ষে উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত সকল নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশিক উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়া সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় কানাইঘাটে সরকারের সকল জনবান্ধব কর্মকান্ড বাস্তবায়ন ও এ উপজেলাকে শীঘ্রই ভিক্ষুক মুক্ত ঘোষণা করা হবে মতামত তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন কানাইঘাট পৌর মেয়র নিজাম উদ্দিন, কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হুমায়ুন কবির, কানাইঘাট সদর ইউপির চেয়ারম্যান মামুন রশিদ, সাতবাঁক ইউপির চেয়ারম্যান মস্তাক আহমদ পলাশ, বানীগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ আহমদ, দিঘীরপার ইউপি চেয়ারম্যান আলী হোসেন কাজল, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কানাইঘাট শাখার সভাপতি মাষ্টার জার উল্লাহ সহ বিভিন্ন দপ্তরের সরকারী কর্মকর্তা, এনজিও কর্মী ও স্থানীয় মিডিয়াকর্মীবৃন্দ। কানাইঘাট শিক্ষার দিক থেকে পিছিয়ে রয়েছে উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক প্রতিটি স্কুলে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস চালুর জন্য শিক্ষকদের নির্দেশ দেন এবং সরকারী দপ্তরের সেবার পরিধি বাড়ানোর জন্য শূন্য পদ পূরনের আশ্বস্ত করেন। অনুষ্ঠান শেষে জেলা প্রশাসক জয়নাল আবেদীন উপজেলার সুরমা নদী, রামপুর ও গৌরিপুর নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় তার সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান,নির্বাহী কর্মকর্তা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
খবর বিভাগঃ
প্রতিদিনের কানাইঘাট
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়