Thursday, September 8

পশুর নদীর পাশের গ্রামগুলোর বাতাসেও ইলিশের ঘ্রাণ!

পশুর নদীর পাশের গ্রামগুলোর বাতাসেও ইলিশের ঘ্রাণ!

খুলনা ব্যুরো: কাজিবাছা, পানখালি, শোলমারি ও পশুর নদীর পাশের গ্রামগুলোর বাতাসেও যেন তাজা ইলিশের ঘ্রাণ! ঘ্রাণ থাকবেই বা না কেন, প্রায় এক হাজার জেলে এসব নদী থেকে প্রতিদিন ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরছেন, খাচ্ছেন, করছেন বিক্রি।

খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার জলমা, ফুলতলা, বুজবুনিয়া, ছয়ঘড়িয়া, পুটিমারি, খারাবাত বাইনতলা, কচুবুনিয়ার গ্রামের পথ দিয়ে হাঁটলে মাঝে মধ্যে ইলিশ ভাজার সৌরভ আসে নাকে। তখনই মনে হয় ইলিশের আসল মজাটা বুঝি গন্ধেই। অনেক ভোজনবিলাসী তখন ঘ্রাণে অর্ধেক ভোজনের ব্যাপারটা উপলব্ধি করবেন!

জলমা গ্রামের জেলে লিপন ও কালু বলেন, ইলিশ ধরি বেচি খাই তাইতো আমাগে গা দিয়ে ইলিশের গন্ধ কয়। তারা জানান, নদীর পারের অধিকাংশ মানুষ জেলে। যারা দিন রাত মাছ ধরেন। বাজারে যেতে সময় পান না। ইলিশ মাছ রান্না করে খান। যে কারণে এ এলাকার বাতাসে ইলিশের গন্ধ ভাসে।

তারা আরও জানান, তাদের এখানে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে জেনে অনেক আত্মীয়-স্বজন বেড়াতে আসছেন ইলিশ খেতে।

জেলে সর্দার শিমুল মল্লিক জানান, এবার নদীতে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছ পাওয়ায় জেলেরা অনেক খুশি।

তিনি জানান, জলমা, ফুলতলা, বুজবুনিয়া, ছয়ঘড়িয়া, পুটিমারি, খারাবাত বাইনতলা, কচুবুনিয়ার প্রায় এক হাজার জেলে এখানকার নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। মাছ ধরা ও বিক্রি করাই তাদের পেশা।

বর্তমানে জেলেরা মাছ ধরা ও বিক্রিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। অনেকে টাটকা মাছ নিতে মোটরসাইকেল ও মাইক্রো নিয়ে ইলিশ মাছ কিনতে ছুটে আসছেন এখানে। এছাড়া জেলেরা দিন-রাতের একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত মাছ ধরার পর সরাসরি খুচরা বাজারে অথবা আড়তদারের মাধ্যমে মাছে বিক্রি করে। জানান তারা।

আড়তদারের কাছ থেকে মাছ কিনে খুচরা বিক্রেতারা স্থানীয় বাজারে এবং পাইকাররা বিভিন্ন বাজারে পাঠায়। জেলেদের জালে ধরা পড়া ইলিশের ওজন ৪শ গ্রাম থেকে ১ কেজির ওপরে। নদীর ঘাট থেকে ৩শ টাকা (৪/৫টায় কেজি) থেকে ৬/৭শ টাকা ৮/৯ শ’গ্রাম ওজনের ইলিশ দেদারছে বিক্রি হচ্ছে। তবে ১ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়।

এসব এলাকায় শুধু জেলেরা নয়, তাদের স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছেলেরাও এখন ইলিশ ধরার কাজে পড়াশোনার পাশাপাশি ব্যস্ত সময় পার করছে।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়