Wednesday, September 7

এক কাতারে ভারত-বাংলাদেশ; বাদ হলো আইসিসি'র সিদ্ধান্ত

এক কাতারে ভারত-বাংলাদেশ; বাদ হলো আইসিসি'র সিদ্ধান্ত

কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল দ্বিস্তর টেস্টের পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে। বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের সর্মথনে বিসিসিআই’র প্রবল বিরোধিতার ফলে বুধবার এই সিদ্ধান্ত নেয় আইসিসি।

দ্বিস্তর টেস্ট নিয়ে বেশ তোড়জোড় শুরু করেছিল আইসিসি। টেস্ট ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা ফেরাতে দেওয়া হয়েছিল দ্বিস্তর ক্রিকেটের প্রস্তাব। কিন্তু শুরুতে এর বিরোধিতা করে বাংলাদেশ। পরে এর বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থানের বেশ জোরালোভাবে জানিয়ে দেয় ভারত।

ক্রিকেটের সবচেয়ে প্রভাবশালী বোর্ড বিসিসিআইয়ের সভাপতি অনুরাগ ঠাকুর নাকচ করে দিয়েছেন এই প্রস্তাব। চার দিনের টেস্টও তিনি চান না। যার ফলে আজ দ্বিস্তর টেস্টের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে আইসিসি।

আইসিসি’র একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, দুবাইয়ে দুই দিনের প্রধান নির্বাহী কমিটি (সিইসি) মিটিংয়ে দ্বিস্তর টেস্টের যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা হয় তা চার সদস্যের বিরোধিতার কারণে প্রত্যাহার করা হয়েছে। আইসিসি এখন পুরো বিষয়টি নিয়ে নতুনভাবে ভাবছে।

আর্থিকভাবে দুর্বল দেশের জন্য দ্বিস্তর টেস্ট ক্ষতিকর এবং পশ্চাতগামী উল্লেখ্য করে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করায় আইসিসি’কে স্বাগত জানান বিসিসিআইয়ের সভাপতি অনুরাগ ঠাকুর।

অনুরাগ ঠাকুর বলেন, আইসিসি’র সদস্যদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ যারা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বুঝতে পেরেছেন এবং এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

বর্তমান ফরম্যাট ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা ও উন্নয়নের জন্য বাধা হবে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

কোন কাঠামোগত পরিবর্তনের জন্য আইসিসি’র দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রয়োজন হয় এবং দ্বিস্তর টেস্টের জন্য ১০ ভোটের মধ্যে ৭টি ভোট পাওয়া কঠিন ছিল।

বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং জিম্বাবুয়ে শুরু থেকেই এর বিরোধিতা করে আসছিল। এমনকি ওয়েস্ট ইন্ডিজও দ্বিস্তর ধারণার বিপক্ষে ছিল।

উল্লেখ্য, গত জুনে স্কটল্যান্ডের এডিনবরায় আইসিসির বার্ষিক সভায় এই প্রস্তাব একরকম পাসই হয়ে যেতে বসেছিল। বাংলাদেশ এর জোর বিরোধিতা করেছিল। শ্রীলঙ্কাও এগিয়ে এসেছিল এর বিরোধিতায়। দ্বিস্তর ধারণা চাপ পড়ে যায় ক্রিকেটের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশ ভারতের বিরোধিতার মুখে। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট বোর্ড এখনো অটল নিজেদের অবস্থানে।

সূত্র: পিটিআই

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়