কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: আজ
রোববার দুপুরে ঢাকায় পাকিস্তানের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার সামিনা মেহতাবকে
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে বিবৃতি দেয়ায় কড়া
বার্তা দিয়েছে বাংলাদেশ।
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ বিচার নিয়ে পাকিস্তানের কোনো মতামত দেওয়ার সুযোগ নেই বলে সাফ জানিয়ে দেয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকর করা হয়। এরপরই বিবৃতি দিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিবৃতিতে মীর কাসেমের শোকসন্তোপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, 'ত্রুটিপূর্ণ বিচারে' ১৯৭১ এর ডিসেম্বরের আগে অপরাধ সংঘটনের অভিযোগে বাংলাদেশের প্রখ্যাত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে পাকিস্তান গভীরভাবে মর্মাহত। এরআগেও মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতের অন্যান্য নেতাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর একই ধরনের প্রতিক্রিয়া জানায় পাকিস্তান।
এর প্রেক্ষিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কামরুল হাসা আজ তার দপ্তরে পাকিস্তানের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার সামিনা মেহতাবকে ডেকে পাঠান। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া অনু বিভাগের মহাপরিচালক মনোয়ার হোসেন।
পরে কামরুল হাসান বলেন, ‘মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ড নিয়ে পাকিস্তান যে মতামত দিয়েছে, সেটি আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল। এ বিচার স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় হয়েছে। তার আপিল করার সুযোগ ছিল। আপিলের সুযোগ তিনি নিয়েছেন। সর্বোচ্চ আদালত মনে করেছেন, তিনি ১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী যে অপরাধ করেছেন, এটাই তার উপযুক্ত শাস্তি। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। কাজেই এ নিয়ে পাকিস্তানের মতামত দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, মীর কাসেম আলীর ফাঁসি নিয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে বিবৃতি দিয়েছে, এর প্রতিবাদে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একটি কূটনৈতিক পত্র পাকিস্তানের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে।
এর আগেও অন্য যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি কার্যকরের পর ধৃষ্টতাপূর্ণ বিবৃতি দিয়েছিল পাকিস্তান। মানবতাবিরোধী অপরাধে মীর কাসেমসহ এ পর্যন্ত ছয়জনের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। প্রত্যেক অপরাধীর ফাঁসি কার্যকরের পর পাকিস্তানের কাছ থেকে অযাচিত বিরূপ প্রতিক্রিয়া এসেছে। এ নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের তিক্ততা বাড়ছে। দুই দেশের কূটনীতিকদের পাল্টাপাল্টি প্রত্যাহারের মত ঘটনাও ঘটেছে।
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ বিচার নিয়ে পাকিস্তানের কোনো মতামত দেওয়ার সুযোগ নেই বলে সাফ জানিয়ে দেয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকর করা হয়। এরপরই বিবৃতি দিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিবৃতিতে মীর কাসেমের শোকসন্তোপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, 'ত্রুটিপূর্ণ বিচারে' ১৯৭১ এর ডিসেম্বরের আগে অপরাধ সংঘটনের অভিযোগে বাংলাদেশের প্রখ্যাত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে পাকিস্তান গভীরভাবে মর্মাহত। এরআগেও মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতের অন্যান্য নেতাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর একই ধরনের প্রতিক্রিয়া জানায় পাকিস্তান।
এর প্রেক্ষিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কামরুল হাসা আজ তার দপ্তরে পাকিস্তানের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার সামিনা মেহতাবকে ডেকে পাঠান। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া অনু বিভাগের মহাপরিচালক মনোয়ার হোসেন।
পরে কামরুল হাসান বলেন, ‘মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ড নিয়ে পাকিস্তান যে মতামত দিয়েছে, সেটি আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল। এ বিচার স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় হয়েছে। তার আপিল করার সুযোগ ছিল। আপিলের সুযোগ তিনি নিয়েছেন। সর্বোচ্চ আদালত মনে করেছেন, তিনি ১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী যে অপরাধ করেছেন, এটাই তার উপযুক্ত শাস্তি। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। কাজেই এ নিয়ে পাকিস্তানের মতামত দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, মীর কাসেম আলীর ফাঁসি নিয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে বিবৃতি দিয়েছে, এর প্রতিবাদে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একটি কূটনৈতিক পত্র পাকিস্তানের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে।
এর আগেও অন্য যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি কার্যকরের পর ধৃষ্টতাপূর্ণ বিবৃতি দিয়েছিল পাকিস্তান। মানবতাবিরোধী অপরাধে মীর কাসেমসহ এ পর্যন্ত ছয়জনের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। প্রত্যেক অপরাধীর ফাঁসি কার্যকরের পর পাকিস্তানের কাছ থেকে অযাচিত বিরূপ প্রতিক্রিয়া এসেছে। এ নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের তিক্ততা বাড়ছে। দুই দেশের কূটনীতিকদের পাল্টাপাল্টি প্রত্যাহারের মত ঘটনাও ঘটেছে।
খবর বিভাগঃ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়