মুহাম্মদ আবদুল কাহহার: আমরা জানি পৃথিবীর আদি সভ্যতা ও মনুষ্য বসতি গড়ে ওঠে ছিল নদী কেন্দ্রীক। আগেকার যুগের মানুষ প্রধানত যাতায়াতের সুবিধার্থে নদীর পাশে বসতি স্থাপন করতো। নদীর পানি চাষাবাদের সহায়ক হতো। এসব কারণেই নদীকে ঘিরে মানুষের জীবন পরিচালিত হতো। ভাটির দেশ হওয়ায় আমাদের দেশে নদ-নদীর সংখ্যা অপেক্ষাকৃত বেশি। বাংলার লেখক, কবি, সাহিত্যিকরা নদী নিযে লিখেছে কত কবিতা, গান আর উপন্যাস। তাদের লেখাগুলো পড়লে মন তৃপ্ত হয়। নিজের অজান্তেই মন ঘুরে বেড়ায় নদীর তীরে, প্রতিটি বাঁকে বাঁকে। চেনা জানা সেই ঢেউ বয়ে যায় মনের মাঝে। কিন্তু আমি যে শহরটিতে থাকি তার পাশ দিয়ে বয়ে গেছে বুড়িগঙ্গা নদী। সেই নদীর পাড়ে গেলে কবি-সাহিত্যিকদের সব লিখনি যেন কাল্পনিক, অসত্যে ভরা এক রূপ কথার দেশ বলে মনে হয়। তারা কি অসত্য লিখেছেন, তা তো নয়। বরং নদীর সেই চির চেনারূপকে হারিয়ে দেয়া হয়েছে। মানুষের অপরিকল্পিত চিন্তা, অব্যবস্থানা, অপব্যবহার আর নদী খেকো লোভী মানুষদের আক্রমনের শিকার হয়েছে এ দেশের নদ-নদী। প্রাচীন সভ্যতা ঘাটলে জানা যায়, ইরাকের ইউফ্রেতিস-তাইগ্রিস নদের সুমেরীয় সভ্যতা, চীনের হোয়াংহো ও ইয়াংসি নদী সভ্যতা, মিশরীয়দের নীল নদের সভ্যতা চোখে ভেসে ওঠে।
নদী আমাদের প্রাণ। ব্যবসার কেন্দ্র বিন্দু। সেই নদীকেই আবার জেনে বুঝে ক্ষতি করছি। নদীর করুণ অবস্থা দেখলে অকপটে শিকার করতে হবে, আমরা নদী ব্যবহারের নিয়ম জানিনা। নদীর ওপর আমরা অত্যাচার করছি তা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। নদী নিয়ে কেন লিখলাম এবার সে কথাই বলবো। ‘এশিয়ান ওয়াটার ডেভেলপমেন্ট আউটলুক-২০১৬’ শীর্ষক প্রতিবেদনের বরাতে গত ১৭ সেপ্টেম্বর দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার একটি শিরোনাম ছিলো “বাংলাদেশে নদীর পানি সবচেয়ে দূষিত”। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)-র তৈরী করা সে প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে-এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ৪৮টি দেশের মধ্যে নদীর পানি সবচেয়ে বেশি দূষিত হচ্ছে বাংলাদেশে। আর নদী অববাহিকাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে অবনতি হয়েছে নেপাল, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত গঙ্গা অববাহিকার পানি। গৃহস্থালি পানি নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক পানি নিরাপত্তা, নগরের পানি নিরাপত্তা, পরিবেশগত পানি নিরাপত্তা ও পানি সংক্রান্ত দুর্যোগ সহিষ্ণুতা এই পাঁচটি সূচকের ভিত্তিতে জাতীয় পানি নিরাপত্তা ইনডেক্স তৈরী করা হয়েছে। এই মানদ-ে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে যথাক্রমে নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও সিঙ্গাপুর। আর সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান (৪৬তম), ভারত(৪৫তম), বাংলাদেশ(৪৪তম), আফগানিস্তান ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশ কিরিবাতি।” পানিতে কোন বিষাক্ত দ্রব্য অথবা দূষিত বর্জ্য পদার্থ মিশ্রনের ফলে সে পানি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে যায়। বিশেষকরে কৃষি জমিতে কীটনাশকের ব্যবহার ও কলকারখানার রাসায়নিক দ্রব্য প্রবাহিত হয়ে পানিতে মিশে দূষিত হয়। বাংলাদেশের মাটির ওপরের ও নিচের-দুই ধরণের পানির অবস্থা খুবই খারাপ। মাটির নিচের পানি উত্তোলনের ঝুঁকিপূর্ণ প্রবণতাও বাংলাদেশে অনেক বেশি। শহর ও শিল্পাঞ্চলগুলোর ৮০ শতাংশ পয়ঃবর্জ্য কোনো ধরণের পরিশোধন ছাড়াই পানিতে ফেলা হচ্ছে। এর ফলে নদীগুলোতে রাসায়নিক পদার্থের দূষণ বাড়ছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ প্রতিবছর ভূগর্ভ থেকে ৩০ দশমিক ২১ ঘন কিলোমিটার (কিউবিক কিলোমিটার) পানি উত্তোলন করে। এর ৮৬ শতাংশই ব্যবহৃত হয় কৃষির সেচ কাজে। বাকি ১৩ শতাংশ গৃহস্থালি কাজে ও ১ শতাংশ পানি শিল্পের কাজে ব্যবহৃত হয়। ভূগর্ভস্থ থেকে এত ব্যাপক হারে উত্তোলনের ফলে পরিবেশগত ঝুঁকি ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। গবেষকদের ধারণানুযায়ী ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বের জনসংখ্যা এক হাজার কোটি হলে সমস্যা প্রকট আকারে ধারণ করবে। বিশ্বের প্রধান শহরগুলোতে খাবার ও পানির চাহিদা বাড়বে। তাই সবাইকে সচেতন হতে হবে। নদীর সঠিক ব্যবহার করতে হবে। ২০১২ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস ও সমুদ্রবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সহকারি অধ্যাপক মোহাম্মদ অহিদুল আলম কর্ণফুলীর দুই পাড়ের পাঁচ কিলোমিটার এলাকায় প্রায় ১০০পরিবারের ওপর প্রাথমিক গবেষণা চালান। তাতে দেখা যায়, প্রতিটি পরিবারের কেউ না কেউ পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত। সেখানের মাটি ও পানি পরীক্ষা করে ক্ষতিকর জীবাণুর সন্ধান পান। কেবল শিল্পবর্জ্যরে রাসায়নিকই নয়, কর্ণফুলী নদীর পানি ও মাটি দূষিত হচ্ছে নানা প্রজাতির প্রাণঘাতি জীবাণু দ্বারা। গবেষণা প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, কর্ণফুলীর পানি ও মাটিতে ক্ষতিকর সালমোনেলা, স্ট্রেপটোকক্কাস ও স্টেফাইলোকক্কাস এবং ভিব্রিও ব্যাকটেরিয়া উপস্থিতি পাওয়া গেছে গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়ে অনেক বেশি। কর্ণফুলীর তীরের বাসিন্দারা এর পানি ও মাটি ব্যবহার করার ফলে ডায়রিয়া, টায়ফয়েড, কলেরা ও নিউমোনিয়ার মতো রোগে ভুগছেন। (প্রথম আলো, ৯মার্চ, ২০১৪) পানির অপর নাম জীবন। সেই জীবনকে নিয়েই আবার খেল-তামশা করছি। মানুষের শরীরের ৬৫% পানি। পৃথিবীর ৭১% পানি। যে পানি আমার জীবন বাঁচায় সে পানিকে দূষিত করছি ব্যবসার স্বার্থে, নিজের স্বার্থে। প্রাথমিকভাবে নদী দূষণের ১২টি উৎস নির্ধারণ করলেও এটি চূড়ান্ত নয়। কলকারখানার বর্জ্য, অভ্যন্তরীণ আবর্জনা, ওয়াসার পানির লাইনের ওপর অবৈধ পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা, নলকূপের পানিতে আর্সেনিক, ফসলের ক্ষেতে কীটনাশকের ব্যবহারের ফলে পানি দূষিত হয়। এছাড়াও মলমূত্র নদী-নালায় পড়ে পানীয় জলকে দূষিত করছে। দেশের নদ-নদীগুলোর চারপাশে দেখা যায় আবর্জনার স্তূপের পাশাপাশি অসংখ্য শৌচাগার। ইউএনডিপির এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ঢাকার আশপাশের নদীগুলোতে শিল্প কলকারখানা থেকে দূষণের মাত্রা হচ্ছে ৬০ শতাংশ আর বাকি ৪০ শতাংশ অভ্যন্তরীণ বর্জ্য থেকে।
‘পরিবেশ বাঁচাও’ আন্দোলনের সর্বশেষ (৭মার্চ) গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, গ্রীষ্মকালে রাজধানীর চারদিকে বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, বালু ও তুরাগ নদীর প্রায় অধিকাংশ স্থানের পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের মাত্রা শূন্যে নেমে গেছে। ফলে মৎস্য ও জলজ প্রাণীর বিলুপ্তিসহ নদীগুলো আজ মৃত প্রায়। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর প্রতিবছর ১০ফুট করে নিচে নেমে যাচ্ছে। অন্য দিকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে লবনাক্ত পানি উজানে প্রবাহিত হচ্ছে। নদী দূষণমুক্ত ও পানিপ্রবাহ বৃদ্ধি করা না গেলে এবং বর্তমান অবস্থা চলতে থাকলে আগামী ২০ বছরের মধ্যে পানির অভাবে সম্পূর্ণভাবে ঢাকা বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে। নদীগুলোর পানিতে দূষণের মাত্রা এমন পর্যায়ে পৌছেছে যে, তা ব্যবহার কোন উপায় নেই। বর্ষা মৌসুমে কিছুটা পানি বাড়লেও অন্যসময়ে গোটা নদী ড্রেনে পরিণত হয়। ঢাকার ৪ নদীর পানি প্রাণীকুলের জন্য এক মরণফাঁদ। টঙ্গী, গাজীপুর, সাভার, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, কেরাণীগঞ্জ এলাকার পয়ঃবর্জ্য ও গৃহস্থালি বর্জ্য, শিল্পকারখানা ও হাসপাতালের কঠিন বর্জ্য, টেক্সটাইল ডায়িং কারখানা, নৌযান নির্মাণ, মেরামত ও রংকরণ, নৌযান থেকে নির্গত তেল এবং নৌযানের বর্জ্যসহ হাজারীবাগ এলাকায় অবস্থিত ট্যানারীসমূহের বর্জ্যে ঢাকা পরিত্যক্ত শহরের রূপ ধারণ করছে। ট্যানারীর বর্জ্য কতটা অসহনীয় তা কেউ নিজ চোখে না দেখলে তাকে বর্ণনা দিয়ে বোঝানে কষ্টসাধ্য। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ট্যানারীসমূহ থেকে ২২ হাজার কিউবিক মিটার অপরিশোধিত বর্জ্য নদীতে ফেলা হচ্ছে। এসব বর্জ্যে রয়েছে ক্রোমিয়াম, লেড, সালফিউরিক এসিড ইত্যাদি। ট্যানারী থেকে নির্গত বিষাক্ত তরল ও কঠিন বর্জ্য শুধু বুড়িগঙ্গার পানিকেই দূষিত করছে না, নদীর তলদেশ ও উভয় পাড়ের মাটি এমনকি বাতাসকেও ভয়াবহভাবে দূষিত করছে। ৬২ রকমের রাসয়নিক বর্জ্যে বুড়িগঙ্গা যেন আসল বুড়ির রূপ ধারণ করছে। নদীর তলদেশে জমাট বেঁধেছে ৮ ফুট পলিথিনের স্তর। বুড়িগঙ্গা ও শীতলক্ষার দূষিত ও বিষাক্ত পানি মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া অতিক্রম করে মেঘনা নদীতে প্রবেশ করছে। এর ফলে মেঘনার দু’কুলের জীববৈচিত্র্য, ফসল, কৃষি পণ্য, মিঠা পানির বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ও ইলিশের অস্তিত্ব মারাত্মক হুমকির সম্মুখিন।
নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক মানবাধিকার হিউম্যান রাউটস ওয়াচ তাদের এক প্রকাশিত রিপোর্টে বলছে বাংলাদেশের প্রায় দুই কোটি মানুষ এখনও আর্সেনিক দূষিত পানি পান করছে। সংস্থাটির দাবি অনুযায়ী প্রতিবছর বাংলাদেশে আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করে মৃত্যু ঘটছে ৪৩ হাজার মানুষের। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সচিবের দেয়া তথ্য মতে ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশের ২৬ শতাংশ মানুষকে আর্সনিকের ঝুঁকিতে আছেন বলে চিহ্নিত করা হয়েছিল। এরপর সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়নের ফলে ঝুঁকির মাত্রা কমে ১২ শতাংশে নেমে এসেছে। সরকার আশা করছেন ২০২০ সালের মধ্যে আর্সেনিকের ঝুঁকিতে থাকা মানুষের সংখ্যা শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে। তবে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের জরিপে বলা হচ্ছে বাংলাদেশ আর্সেনিকের চিত্র গত বিশ বছরে তেমন একটা পরিবর্তন হয়নি। (বিবিসি ডটকম, ৬ এপ্রিল ২০১৬)। দেশের কুপগুলোর মধ্যে এক তৃতীয়াংশের পানিতে ৫০ পিপিবি (পার্টস পার বিলিয়ন-দেশে আর্সেনিকের নির্ধারিত সহনীয় মাত্রা) মাত্রার চেয়ে বেশি পরিমাণ আর্সেনিকের উপস্থিতি দেখা গেছে। আর্সেনিকের দীর্ঘ সংশ্রবে ক্যান্সার ও ত্বকের ক্ষতে সংক্রামনের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। একই সাথে শিশুর মস্তিষ্ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি।
দেশের মানুষের বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করার এক সরকারি প্রতিষ্ঠানের নাম ওয়াস। তবে অধিকাংশ এলাকায় ওয়াসা যেন এক যন্ত্রণার নাম। এই প্রতিষ্ঠানটির প্রতি মানুষের অসন্তোষ বরাবরই ছিল এবং আছে। দায়সারা ভাবেই তারা জনসেবা দিচ্ছে বলে গণমাধ্যম থেকে জানা যায়। ভূগর্ভস্থ পানি ছাড়া নদী থেকে সরবরাহ করা পানি সঠিক উপায় বিশুদ্ধ না করা, পানির জলাধারগুলো রক্ষণাবেক্ষণ না করা, শোধানাগারে পানি শোধনের সময় সঠিক পরিমাণে শোধন কেমিক্যাল না দেয়া, ওভারহেড ট্যাঙ্ক নিয়মিত পরিষ্কার না করা, পুরনো লাইনগুলো সংস্কার বা মেরামত না করাই যেন তাদের কার্য তালিকার অংশবিশেষ। এহেন অবস্থায় জনদূর্ভোগ ক্রমশ বাড়ছে। মানুষ না জেনে কতিপয় ওয়াসার পানি পান বা ব্যবহার করে ডায়রিয়া, কলেরা, টাইফায়েড, জন্ডিস, চর্মরোগ ইত্যাদি অসুখে আক্রান্ত হচ্ছে। শরীরে ছড়িয়ে পড়ছে নানা রোগ। পৃথিবী জুড়ে পানির সংকট যতটা না প্রকৃতিগত তার চাইতে অনেক বেশি মনুষ্যসৃষ্ট। বিশ্বের ২৬০টি দীর্ঘ বৃহৎ নদী দু ইবা ততোধিক দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত। ধারণা করা হচ্ছে তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ যদি কখনো হয়ে থাকে তাহলে তা হবে পানি নিয়ে।
চট্ট্রগ্রামের টিএসপি সার কারখানা থেকে সালফিউরিক ও ফসফরিক এসিড এবং চন্দ্রঘোনার কর্ণফুলি কাগজ মিল, সিলেট কাগজ মিল, দর্শনার কেরু অ্যান্ড কোম্পানি, খুলনার শিপইয়ার্ড ও মাছ প্রক্রিয়াকরণ করাখানা, ঢাকার অলিম্পিক ও কাদেরিয়া টেক্সটাইল মিলস লক্ষ লক্ষ গ্যালন তরল বর্জ্য পার্শ্ববর্তী নদী ও জলাশয়ে নিক্ষেপ করে পানিদূষণ ঘটাচ্ছে। এভাবে চট্টগ্রামের ১৪০টির অধিক শিল্পকারখানার বর্জ্য কর্ণফুলী নদীতে মিশছে। এছাড়া ১৯টি চামড়া শিল্প, ২৬টি বস্ত্রকল, ১টি তেলশোধানাগার, সিমেন্ট কারখানা, সাবান কারখানা, কীটনাশক কারখানার বর্জ্য আমাদের নদীগুলোকে ধার্বস করে দিচ্ছে। কেবল ঢাকা আর চট্টগ্রাম নয় সারা দেশের সকল শিল্প ও কলকারখানার বর্জ্য কোথায় কিভাবে ফেলা হয় তা খতিয়ে দেখা উচিত। পরিবেশ রক্ষার্থে জনস্বার্থে সরকারকে এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি হচ্ছে। পানিবাহিত রোগ থেকে মুক্ত থাকতে পানি বিশুদ্ধ করার সঠিক নিয়ম জেনে তা পান ও ব্যবহার করতে হবে। বৃষ্টির পানি ও নদীর পানির ব্যবহার বাড়াতে হবে। সেচের কাজে ভূগর্ভের পানির ব্যবহার কমাতে হবে। নদীগুলোকে দূষণ মুক্ত করতে হবে। নদীর পানি ও মাটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে। জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। একই সাথে নদীতে শিল্প ও জৈব বর্জ্য ফেলা বন্ধ করা এই পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটবে।
লেখক: শিক্ষক ও কলামিস্ট: mabdulkahhar@gmail.com
লেখক: শিক্ষক ও কলামিস্ট: mabdulkahhar@gmail.com
খবর বিভাগঃ
মতামত
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়