কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
ভারতের সেই দানা মাঝিকে সর্বশেষ নয় লাখ টাকা দিয়েছেন বাহরাইনের রাজা হামাদ
বিন ইশা আল খলিফা। এর আগে বাহরাইনের প্রধানমন্ত্রীও তাকে সাহায্যের হাত
বাড়িয়ে দিয়েছিলেন।
এছাড়া ভারতের অনেকেই তাকে আর্থিক সাহায্য দিয়েছেন। তবে এ পর্যন্ত ঠিক কত টাকা তিনি পেয়েছেন সে হিসাবে পাওয়া না গেলেও সাহায্যের অংকটা মোটেই কম নয়। সেই দরিদ্র দানা মাঝি এখন ছেলে-মেয়েকে পুলিশ বা ডাক্তার বানানোর স্বপ্ন দেখছেন।
হাসপাতালের অসহযোগিতা এবং অর্থের অভাবে অ্যাম্বুলেন্স যোগার করতে না পেরে নিজেই স্ত্রীর লাশ কাঁথায় পেঁচিয়ে হেঁটে রওয়ানা দেয়ার ঘটনা বিশ্বজুড়ে গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার হয়। গত ২৫ আগস্ট ভারতের ওড়িশা রাজ্যে এই ঘটনা ঘটে।
ঐ দিন তার ছবি বেরিয়েছিল দেশ বিদেশের সব কাগজে। টিভিগুলোও ঐ রিপোর্ট প্রচার করে ফলাও করে। খবর ছাপা হয়েছিল কীভাবে স্ত্রীর মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে তিনি দশ কিলোমিটার হেঁটে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন। পাশে চোখ মুছতে মুছতে হাঁটছিল তাঁর মেয়ে।
ভারতের সবথেকে পিছিয়ে থাকা জেলা হান্ডির হাসপাতাল থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে গ্রামের বাড়িতে মৃত স্ত্রীকে নিয়ে যাওয়ার জন্য কোনও গাড়ির ব্যবস্থা করতে পারেন নি তিনি। অনেক অনু্রোধেও গাড়ি দেয় নি হাসপাতাল।
প্রায় দশ কিলোমিটার মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে হাঁটার পরে এক স্থানীয় টি ভি চ্যানেলের সাংবাদিক তাঁকে দেখতে পান। তিনিই জেলাশাসকের কাছে ফোন করে গাড়ি আনাবার ব্যবস্থা করেন। সেই দুর্দশার খবর সংবাদপত্রে পড়ে জানতে পারেন বাহরাইনের রাজা হামাদ বিন ইশা আল খলিফা। ধন মাঝির দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন খলিফা। দিল্লির বাহরাইন দূতাবাসে পৌছয় রাজার পাঠানো প্রায় নয় লক্ষ টাকার চেক।
সেই চেক নিতেই জীবনে প্রথমবার বিমানে চেপে দিল্লি গিয়েছিলেন ধন মাঝি।
এর আগে বাহরাইনের প্রধানমন্ত্রীও অর্থ সহায়তা করেছেন। ওড়িশার কয়েকজন বিধায়কও তাঁর হাতে টাকা তুলে দিয়েছেন। সাহায্য এসেছে স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকেও। রাজধানী ভুবনেশ্বরে আদিবাসী শিশুদের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দায়িত্ব নিয়েছে তাঁর তিন মেয়ের আজীবন পড়াশোনার।
মেয়েদের সেই স্কুলে ভর্তি করে দিয়েই দিল্লির বিমান ধরেন তিনি। রাজার চেক নিতে যাওয়ার সময়েও তাঁর পড়নে ছিল নীল লুঙ্গি আর একটা পুরনো জামা। কাঁধে গামছা।
বাহরাইন দূতাবাসে সংবাদ মাধ্যমকে মি. মাঝি নীল রঙের চেকটা দেখান। ব্যাঙ্ক অফ বাহরাইন এন্ড কুয়েতের ওই চেকে লেখা টাকার অঙ্কটা ৮,৮৭,৯৪৯ ।
সংবাদ মাধ্যমকে মি. মাঝি জানান এই সব টাকাই তিনি ব্যাঙ্কে দীর্ঘমেয়াদী আমানত হিসাবে রেখে দেবেন, যাতে তাঁর মেয়েদের পড়াশোনার জন্য খরচ করতে পারেন। তাঁর মেয়েদের পুলিশ বা ডাক্তার করার ইচ্ছা দানা মাঝির।
এছাড়া ভারতের অনেকেই তাকে আর্থিক সাহায্য দিয়েছেন। তবে এ পর্যন্ত ঠিক কত টাকা তিনি পেয়েছেন সে হিসাবে পাওয়া না গেলেও সাহায্যের অংকটা মোটেই কম নয়। সেই দরিদ্র দানা মাঝি এখন ছেলে-মেয়েকে পুলিশ বা ডাক্তার বানানোর স্বপ্ন দেখছেন।
হাসপাতালের অসহযোগিতা এবং অর্থের অভাবে অ্যাম্বুলেন্স যোগার করতে না পেরে নিজেই স্ত্রীর লাশ কাঁথায় পেঁচিয়ে হেঁটে রওয়ানা দেয়ার ঘটনা বিশ্বজুড়ে গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার হয়। গত ২৫ আগস্ট ভারতের ওড়িশা রাজ্যে এই ঘটনা ঘটে।
ঐ দিন তার ছবি বেরিয়েছিল দেশ বিদেশের সব কাগজে। টিভিগুলোও ঐ রিপোর্ট প্রচার করে ফলাও করে। খবর ছাপা হয়েছিল কীভাবে স্ত্রীর মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে তিনি দশ কিলোমিটার হেঁটে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন। পাশে চোখ মুছতে মুছতে হাঁটছিল তাঁর মেয়ে।
ভারতের সবথেকে পিছিয়ে থাকা জেলা হান্ডির হাসপাতাল থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে গ্রামের বাড়িতে মৃত স্ত্রীকে নিয়ে যাওয়ার জন্য কোনও গাড়ির ব্যবস্থা করতে পারেন নি তিনি। অনেক অনু্রোধেও গাড়ি দেয় নি হাসপাতাল।
প্রায় দশ কিলোমিটার মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে হাঁটার পরে এক স্থানীয় টি ভি চ্যানেলের সাংবাদিক তাঁকে দেখতে পান। তিনিই জেলাশাসকের কাছে ফোন করে গাড়ি আনাবার ব্যবস্থা করেন। সেই দুর্দশার খবর সংবাদপত্রে পড়ে জানতে পারেন বাহরাইনের রাজা হামাদ বিন ইশা আল খলিফা। ধন মাঝির দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন খলিফা। দিল্লির বাহরাইন দূতাবাসে পৌছয় রাজার পাঠানো প্রায় নয় লক্ষ টাকার চেক।
সেই চেক নিতেই জীবনে প্রথমবার বিমানে চেপে দিল্লি গিয়েছিলেন ধন মাঝি।
এর আগে বাহরাইনের প্রধানমন্ত্রীও অর্থ সহায়তা করেছেন। ওড়িশার কয়েকজন বিধায়কও তাঁর হাতে টাকা তুলে দিয়েছেন। সাহায্য এসেছে স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকেও। রাজধানী ভুবনেশ্বরে আদিবাসী শিশুদের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দায়িত্ব নিয়েছে তাঁর তিন মেয়ের আজীবন পড়াশোনার।
মেয়েদের সেই স্কুলে ভর্তি করে দিয়েই দিল্লির বিমান ধরেন তিনি। রাজার চেক নিতে যাওয়ার সময়েও তাঁর পড়নে ছিল নীল লুঙ্গি আর একটা পুরনো জামা। কাঁধে গামছা।
বাহরাইন দূতাবাসে সংবাদ মাধ্যমকে মি. মাঝি নীল রঙের চেকটা দেখান। ব্যাঙ্ক অফ বাহরাইন এন্ড কুয়েতের ওই চেকে লেখা টাকার অঙ্কটা ৮,৮৭,৯৪৯ ।
সংবাদ মাধ্যমকে মি. মাঝি জানান এই সব টাকাই তিনি ব্যাঙ্কে দীর্ঘমেয়াদী আমানত হিসাবে রেখে দেবেন, যাতে তাঁর মেয়েদের পড়াশোনার জন্য খরচ করতে পারেন। তাঁর মেয়েদের পুলিশ বা ডাক্তার করার ইচ্ছা দানা মাঝির।
খবর বিভাগঃ
ফিচার
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়