কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
ভয়েস অব আমেরিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিরোধী দলের রাজনীতির সুযোগ
বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা তো কারও কাছ
থেকে কথা কেড়ে নিচ্ছি না। যার যা ইচ্ছা, কথা বলেই যাচ্ছে। তারা মিটিং করছে,
র্যালি করছে—সবই তারা করছে। রাজনীতির যথেষ্ট সুযোগ আছে, এর মধ্যে কোনো
সন্দেহ নাই।’
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন অফিসে গত বৃহস্পতিবার সাক্ষাৎকারটি নেওয়া হয়। গত শুক্রবার এটি প্রকাশ করা হয়।
রাজনীতির সুযোগ পাচ্ছে না—বিরোধী দলের এমন অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটা রাজনৈতিক দল যদি সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করে, তার খেসারত তাকে দিতে হবে। আমরা নির্বাচন করেছি, বিএনপি-জামায়াত নির্বাচনে আসেনি। কিন্তু তারা স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নিয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধের বিচার আমাদের জাতীয় দায়িত্ব ছিল। জাতির কাছে ওয়াদাবদ্ধ ছিলাম আমরা। বঙ্গবন্ধু এই বিচার শুরু করেছিলেন। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে সেই বিচার বন্ধ করে সমস্ত অপরাধীকে মুক্ত করে দেয়। ১১ হাজার সাজাপ্রাপ্ত ছিল, ২২ হাজার মামলা হয়েছিল। কত দুর্ভাগ্য, যে বিরোধী দল এখন রাজনীতির জায়গা চায়, তারাই এসব যুদ্ধাপরাধীকে মন্ত্রী করেছিল। যুদ্ধাপরাধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছে, মন্ত্রী বানিয়েছে যারা, তাদেরও বিচার হওয়া উচিত।’ সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে তাঁর সরকারের সাফল্যের কথা তুলে ধরেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে সরকার গঠনের পর গত সাড়ে সাত বছরে তাঁর সরকার দেশে দারিদ্র্যের হার কমিয়ে ২২ দশমিক ৪ শতাংশে নিয়ে এসেছে। মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৪৬৬ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে বিনা মূল্যে প্রায় ৩০ প্রকারের ওষুধ দেওয়া হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকারের আমলে পাঁচ কোটি মানুষ নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্তে উন্নীত হয়েছে। এখনো যারা হতদরিদ্র, তাদের অবস্থার উন্নতির লক্ষ্যে কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ১০ টাকায় চাল বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়েছে, যার সুবিধা পাচ্ছে প্রায় ৫০ লাখ মানুষ। তিনি বলেন, ‘আমরা যে সময় সরকার গঠন করি, তখন বিশ্বব্যাপী চরম অর্থনৈতিক মন্দা বিরাজ করছে। এই অবস্থার মধ্যেই আমরা প্রবৃদ্ধি প্রায় পাঁচ বছর ধরে ছয় ভাগের ওপরে ধরে রেখেছি। এবার আমরা সাত ভাগে চলে এসেছি।’
জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার উদ্যোগ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে সক্ষম হয়েছি। অভিভাবক, শিক্ষক, মসজিদের ইমামসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে আমরা ঐক্যবদ্ধ করতে পেরেছি। এটাই মূল শক্তি। আর অন্যান্য দেশের সঙ্গে যেসব আলোচনা হচ্ছে, তা টেকনিক্যাল সাপোর্ট, প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ইত্যাদির জন্য। আমি মনে করি, আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা, গোয়েন্দা সংস্থা যেমন তৎপর, তেমনি দেশবাসীও এখন সচেতন। তারাই খবর দিচ্ছে, তারাই প্রতিরোধ করছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন অফিসে গত বৃহস্পতিবার সাক্ষাৎকারটি নেওয়া হয়। গত শুক্রবার এটি প্রকাশ করা হয়।
রাজনীতির সুযোগ পাচ্ছে না—বিরোধী দলের এমন অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটা রাজনৈতিক দল যদি সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করে, তার খেসারত তাকে দিতে হবে। আমরা নির্বাচন করেছি, বিএনপি-জামায়াত নির্বাচনে আসেনি। কিন্তু তারা স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নিয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধের বিচার আমাদের জাতীয় দায়িত্ব ছিল। জাতির কাছে ওয়াদাবদ্ধ ছিলাম আমরা। বঙ্গবন্ধু এই বিচার শুরু করেছিলেন। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে সেই বিচার বন্ধ করে সমস্ত অপরাধীকে মুক্ত করে দেয়। ১১ হাজার সাজাপ্রাপ্ত ছিল, ২২ হাজার মামলা হয়েছিল। কত দুর্ভাগ্য, যে বিরোধী দল এখন রাজনীতির জায়গা চায়, তারাই এসব যুদ্ধাপরাধীকে মন্ত্রী করেছিল। যুদ্ধাপরাধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছে, মন্ত্রী বানিয়েছে যারা, তাদেরও বিচার হওয়া উচিত।’ সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে তাঁর সরকারের সাফল্যের কথা তুলে ধরেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে সরকার গঠনের পর গত সাড়ে সাত বছরে তাঁর সরকার দেশে দারিদ্র্যের হার কমিয়ে ২২ দশমিক ৪ শতাংশে নিয়ে এসেছে। মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৪৬৬ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে বিনা মূল্যে প্রায় ৩০ প্রকারের ওষুধ দেওয়া হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকারের আমলে পাঁচ কোটি মানুষ নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্তে উন্নীত হয়েছে। এখনো যারা হতদরিদ্র, তাদের অবস্থার উন্নতির লক্ষ্যে কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ১০ টাকায় চাল বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়েছে, যার সুবিধা পাচ্ছে প্রায় ৫০ লাখ মানুষ। তিনি বলেন, ‘আমরা যে সময় সরকার গঠন করি, তখন বিশ্বব্যাপী চরম অর্থনৈতিক মন্দা বিরাজ করছে। এই অবস্থার মধ্যেই আমরা প্রবৃদ্ধি প্রায় পাঁচ বছর ধরে ছয় ভাগের ওপরে ধরে রেখেছি। এবার আমরা সাত ভাগে চলে এসেছি।’
জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার উদ্যোগ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে সক্ষম হয়েছি। অভিভাবক, শিক্ষক, মসজিদের ইমামসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে আমরা ঐক্যবদ্ধ করতে পেরেছি। এটাই মূল শক্তি। আর অন্যান্য দেশের সঙ্গে যেসব আলোচনা হচ্ছে, তা টেকনিক্যাল সাপোর্ট, প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ইত্যাদির জন্য। আমি মনে করি, আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা, গোয়েন্দা সংস্থা যেমন তৎপর, তেমনি দেশবাসীও এখন সচেতন। তারাই খবর দিচ্ছে, তারাই প্রতিরোধ করছে।’
খবর বিভাগঃ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়