Thursday, September 22

‘ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হবে’

‘ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হবে’

কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, সড়ক পরিবহন আইনে ব্যক্তিগত, পরিবারপ্রতি গাড়ি ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হবে। যানজট ও সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে ‘ব্লেম গেম’ বা দোষারোপের খেলা না খেলে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে সমন্বিতভাবে এগিয়ে আসতে আহ্বান জানান তিনি।

‘বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস’ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের উত্তর পাশে (দক্ষিণ প্লাজা) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন। ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষসহ (ডিটিসিএ) সরকারি ও বেসরকারি ৪৪টি সংস্থা ‘যানজট ও দূষণমুক্ত নগরায়ণে প্রয়োজন, গণপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন ও ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিভিন্ন সমীক্ষায় বারবার দেখা যায়, ঢাকা বিশ্বের “মোস্ট আনলিভেবল” বা “বসবাস অযোগ্য” শহরের মধ্যে দ্বিতীয়। এই মূল্যায়নে হেরফের হতে পারে। তবে ঢাকা এখনো বসবাসের অযোগ্য, তা মানতে হবে। যানজট আমাদের বাস্তবতা। দুর্ঘটনা আমাদের নিত্যদিনের যাতনা। দোষারোপের খেলা খেলে লাভ নেই। একজন আরেকজনের ঘাড়ে দোষ চাপালে সমস্যা শেষ হবে না। এর সঙ্গে যুক্ত সব সংস্থা মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে যানজটকে পরাজিত করতে পারব।’

তিনি বলেন, সড়ক পরিবহন আইনে ব্যক্তিগত, পরিবারপ্রতি গাড়ি ব্যবহারের ব্যাপারে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হবে। গাড়ির ব্যবহার সীমাবদ্ধ করতে হবে। আইনে বাধ্যবাধকতা থাকবে। আর দুর্ঘটনা, যানজট, নিয়মভঙ্গে কড়াকড়িভাবে আইন প্রয়োগ করা হবে। সড়ক পরিবহন আইনে দুর্ঘটনা, যানজটের ক্ষেত্রে যারা আইনভঙ্গ করবে, তাদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর শাস্তির বিধানসংবলিত বিল সংসদে তোলা হবে।

অনুষ্ঠানে জানান ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হক বলেন, আগামী মার্চ মাসের মধ্যে রাজধানীর গুলশান-বনানী ও মোহাম্মদপুর-মিরপুর এলাকার যেকোনো একটি সড়ক গাড়িমুক্ত করা হবে বলে

তিনি বলেন, ৮৩ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ঢাকা উত্তর সিটিতে প্রায় এক কোটি লোকের বসবাস। প্রতি বর্গকিলোমিটারে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার মানুষ থাকে। পৃথিবীর বাসযোগ্য শহরগুলোর তুলনায় এটি বহুগুণ বেশি। ঢাকার তাপমাত্রা সাভার, গাজীপুরের মতো আশপাশের শহরের তুলনায় চার-পাঁচ ডিগ্রি বেশি।

ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবসের উদ্দেশ্য হলো মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো। মানুষকে অযান্ত্রিক যান ও গণপরিবহন ব্যবহারে উৎসাহিত করা। ইউরোপে সত্তরের দশকে ২২ সেপ্টেম্বর বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবসের প্রচলন শুরু হয়।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়