Friday, September 16

বৃদ্ধাশ্রমে মমতাময়ী মায়ের ঈদ

বৃদ্ধাশ্রমে মমতাময়ী মায়ের ঈদ

দিনাজপুর প্রতিনিধি: কতো মা কাঁদে একলা ঘরের কোণে, কতো মা কাদে বৃদ্ধাশ্রমের বারান্দায়, আবার কতো মা অবহেলায় বিনা চিকিৎসায় ধুঁকে ধুঁকে মরেন। শত দুঃখ কষ্টের পরেও মা তোমাকে দোয়া করে দু’ হাত তুলে।

বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দিনাজপুর রাজবাটিস্থ শান্তি নিবাসের বাসিন্দা মেহিজন নেছা (৭০) এভাবেই বলছিলেন। তিনি দুই ছেলে এক মেয়ের জননী।

তিনি বলেন, ‘এক সময় যে কবিতা পড়েছি সেই কবিতা আজ জীবনের বাস্তবতা হবে কখনই ভাবিনি। ঈদ-উল আযহা হয়ে গেলে এক মুহূর্তের জন্য আসেনি সন্তানরা। তবে এখানে আমাদের জন্য একটি খাসি জবাই করা হয়েছিল। ঈদের দিন থেকে প্রতিদিন ভালো ভালো খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে। ভালো খাবার খেলেই কি সব? সন্তানরা যদি একবারের জন্য দেখতে আসতো খুবই ভালো লাগতো। তারপরও আল্লাহ তাদের ভালো রাখুন এদোয়াই করি সারাক্ষণ।’

মেহিজনের মতো জহুরা আক্তার, হাফিজ উদ্দিনের মতো বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের পরিবার ছাড়া ঈদ করতে খুবই কষ্ট হয়েছে। এক সময় তারা নিজ নিজ পরিবারের অভিভাবক হলেও এখন পরিবার ছাড়াই কাটছে তাদের দিন। জীবনের এই অন্তিম সময় কাটছে খবরের কাগজ-টেলিভিশন দেখে।

দারিদ্র-অসহায় ও পরিবারের বঞ্চনার শিকার বয়স্ক মানুষের মৌলিক অধিকার দেওয়ার জন্য ২০ জন সদস্যকে নিয়ে গত ২০১১ সালে উত্তরবঙ্গের প্রথম বৃদ্ধাশ্রম স্থাপন করা হয়। দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের তত্বাবধানে বর্তমানে আটজন সদস্য রয়েছে শান্তিনিবাসে।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়