কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: উরি
হামলার ক্ষত ভারতবাসী ভুলবে না। ভুলতে পারে না। রেডিওবার্তা ‘মন কি বাত’
থেকে ফের এভাবেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী
নরেন্দ্র মোদি। সাফ জানিয়ে দিলেন, ‘১৮ জওয়ানের মৃত্যুতে গোটা ভারত আজ
ফুঁসছে। থমকে রয়েছে সেনাবাহিনী। ভুলবেন না, আমরা, রাজনীতিকরা কথা বলি।
আমাদের জওয়ানরা কিন্তু কথা বলেন না। ওঁরা কাজে করে দেখান। উরি হামলার জন্য
যারা দায়ী, তাদের আমরা ছেড়ে দেব না। শাস্তি ওরা পাবেই। সময় মতোই উচিত জবাব
দেবে ভারতীয় সেনা।’ তবে শুধু পাকিস্তান নয়। ‘মন কি বাত’-এ কাশ্মীরের
মানুষের প্রতিও বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দু’মাস ধরে জটিল পরিস্থিতির
মধ্যে দিয়ে যাওয়া ভূস্বর্গের প্রতি তাঁর অনুরোধ, ‘শান্তি, একতা আর সংহতিই
পারে যাবতীয় সমস্যার সমাধান করতে। কাশ্মীরের মানুষ আজ বুঝতে পারছেন, কারা
ক্ষতি করতে চায়। কারা দেশবিরোধী। কাশ্মীরের বাসিন্দারা সুস্থ স্বাভাবিক
জীবন যাপন করতে চান। সেই ব্যবস্থার জন্য সরকার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। কাশ্মীরের
মানুষের নিরাপত্তার দায়িত্ব প্রশাসনের। আমি বিশ্বাস করি, আলোচনা করলে সব
মিটে যাবে।’
গতকাল কোঝিকোড়ের সভামঞ্চে প্রথমবার উরি হামলা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন মোদি। আর আজ তার রেশ ধরেই ‘সন্ত্রাস রপ্তানিকারী’ প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে হুঁশিয়ার করে দিলেন, ‘এটা নির্দিষ্ট ১৮টা পরিবারের ক্ষতি নয়। শুধু একজন ভাই, স্বামীর ক্ষতি নয়। উরি হামলায় ১৮ জওয়ানের মৃত্যুতে ক্ষতি হয়েছে গোটা দেশের। যার জন্য ঘটনার দিন যে কথাটা আমি বলেছিলাম, আজ ফের বলছি... দোষীদের কঠিন সাজা পেতে হবে। ভবিষ্যতেও বলব।’ আর এ ব্যাপারে আমেরিকার সমর্থন থাকতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। রবিবারই উত্তরাখণ্ডের রানিখেতে ভারত-মার্কিন এক যৌথ মহড়া হয়েছে। ‘যুদ্ধাভ্যাস’ নামে এক কর্মসূচিতে রানিখেতের চৌবাত্তিতে যৌথভাবে অংশগ্রহণ করেছে ভারত এবং মার্কিন সেনা।
এদিন রেডিওবার্তায় একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রের চিঠি পড়েন মোদি। উরি হামলার পর সেই পড়ুয়া রাগে ফেটে পড়েছিল। চেয়েছিল কিছু একটা করতে। ইতিবাচক কিছু। নিজের সামর্থের মধ্যে খুব বেশি কিছু করার ছিল না তার। তাই সে নিজের পড়ার সময় তিন ঘণ্টা বাড়িয়ে দিয়েছিল। মোদি বলেন, ‘নিজের রাগটাকে নতুন প্রজন্মের এই সদস্য কত সুন্দর, ইতিবাচকভাবে কাজে লাগিয়েছে। গোটা দেশ কিন্তু তার মতোই ফুঁসছে। এটা একটা আবেগ। দেশাত্মবোধ। যা আমরা দেখেছিলাম ১৯৬৫ সালে। তখন সাধারণের আবেগকে সম্মান জানিয়ে লালবাহাদুর শাস্ত্রীর নেতৃত্বে ভারতীয় সেনা ঝাঁপিয়ে পড়েছিল পাকিস্তানের উপর। গোটা দুনিয়াকে নাড়িয়ে দিয়েছিল তাঁর বার্তা, জয় জওয়ান, জয় কিষাণ। আজও তেমন পরিস্থিতি এসেছে। সেনাবাহিনী, সরকার, সাধারণ মানুষ... সবাইকে দেশের প্রতি ইতিবাচক, গঠনমূলক কিছু করে কর্তব্য পালন করতে হবে। তবেই আমাদের দেশ নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।’
যদিও এদিন তাঁর ৩৫ মিনিটের অনুষ্ঠানে ঘুরেফিরে এসেছে সেনাবাহিনীর সাহসের প্রসঙ্গই। মোদি বলেন, ‘১২৫ কোটি মানুষের আশা-ভরসা আমাদের জওয়ানরা। আমরা ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য গর্বিত। ১২৫ কোটি মানুষ যাতে শান্তিতে ঘুমাতে পারে, তার জন্য জওয়ানরা নিজেদের জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে সীমান্ত পাহারা দেন। তাঁদের এভাবে মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না।’
আর ভারত সরকার যে বিষয়টিকে শুধু কথার কথা বলে দেখছে না, তার প্রমাণ নিরাপত্তায় বাড়তি জোর। গত পাঁচ-ছ’দিন ধরেই কিন্তু জম্মু ও কাশ্মীর সীমান্তে সেনা মোতায়েন বাড়ানো হয়েছে। সবরকম পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকছে তারা। অনুপ্রবেশ রুখতে যাবতীয় ব্যবস্থা যেমন নেওয়া হয়েছে, তেমনি রাজধানীর বুকে ভারতীয় অস্ত্রভাণ্ডারের হিসাবপত্র শুরু করে দিয়েছে সরকার। যুদ্ধের ট্যাঙ্ক, মিসাইলসহ অস্ত্রভাণ্ডারে কত কী মজুত আছে, সংশ্লিষ্ট অফিসারদের তার তালিকা তৈরি রাখতে বলা হয়েছে। সেনাবাহিনী, নৌসেনা এবং বায়ুসেনা, প্রতিরক্ষার তিন স্তরকেই সদা সতর্ক থাকার বার্তা বার্তা দেওয়া হয়েছে।
যদিও সবটাই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা। দেশের বিভিন্ন মহল থেকে আগ্রাসনের চাপ থাকলেও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কূটনৈতিকভাবেই এগচ্ছে সরকার। চলছে রাজনৈতিক এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকে পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে আক্রমণ। রাষ্ট্রসংঘ নিন্দা করলেও এখনই পাকিস্তানের গায়ে ‘সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র’ বা ‘জঙ্গিদের আঁতুড়ঘর’ তকমা লাগায়নি। বরং সেই কাজে সফল হলে অনেক বড় রাজনৈতিক জয় হবে নরেন্দ্র মোদির।
সূত্র- বর্তমান
গতকাল কোঝিকোড়ের সভামঞ্চে প্রথমবার উরি হামলা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন মোদি। আর আজ তার রেশ ধরেই ‘সন্ত্রাস রপ্তানিকারী’ প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে হুঁশিয়ার করে দিলেন, ‘এটা নির্দিষ্ট ১৮টা পরিবারের ক্ষতি নয়। শুধু একজন ভাই, স্বামীর ক্ষতি নয়। উরি হামলায় ১৮ জওয়ানের মৃত্যুতে ক্ষতি হয়েছে গোটা দেশের। যার জন্য ঘটনার দিন যে কথাটা আমি বলেছিলাম, আজ ফের বলছি... দোষীদের কঠিন সাজা পেতে হবে। ভবিষ্যতেও বলব।’ আর এ ব্যাপারে আমেরিকার সমর্থন থাকতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। রবিবারই উত্তরাখণ্ডের রানিখেতে ভারত-মার্কিন এক যৌথ মহড়া হয়েছে। ‘যুদ্ধাভ্যাস’ নামে এক কর্মসূচিতে রানিখেতের চৌবাত্তিতে যৌথভাবে অংশগ্রহণ করেছে ভারত এবং মার্কিন সেনা।
এদিন রেডিওবার্তায় একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রের চিঠি পড়েন মোদি। উরি হামলার পর সেই পড়ুয়া রাগে ফেটে পড়েছিল। চেয়েছিল কিছু একটা করতে। ইতিবাচক কিছু। নিজের সামর্থের মধ্যে খুব বেশি কিছু করার ছিল না তার। তাই সে নিজের পড়ার সময় তিন ঘণ্টা বাড়িয়ে দিয়েছিল। মোদি বলেন, ‘নিজের রাগটাকে নতুন প্রজন্মের এই সদস্য কত সুন্দর, ইতিবাচকভাবে কাজে লাগিয়েছে। গোটা দেশ কিন্তু তার মতোই ফুঁসছে। এটা একটা আবেগ। দেশাত্মবোধ। যা আমরা দেখেছিলাম ১৯৬৫ সালে। তখন সাধারণের আবেগকে সম্মান জানিয়ে লালবাহাদুর শাস্ত্রীর নেতৃত্বে ভারতীয় সেনা ঝাঁপিয়ে পড়েছিল পাকিস্তানের উপর। গোটা দুনিয়াকে নাড়িয়ে দিয়েছিল তাঁর বার্তা, জয় জওয়ান, জয় কিষাণ। আজও তেমন পরিস্থিতি এসেছে। সেনাবাহিনী, সরকার, সাধারণ মানুষ... সবাইকে দেশের প্রতি ইতিবাচক, গঠনমূলক কিছু করে কর্তব্য পালন করতে হবে। তবেই আমাদের দেশ নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।’
যদিও এদিন তাঁর ৩৫ মিনিটের অনুষ্ঠানে ঘুরেফিরে এসেছে সেনাবাহিনীর সাহসের প্রসঙ্গই। মোদি বলেন, ‘১২৫ কোটি মানুষের আশা-ভরসা আমাদের জওয়ানরা। আমরা ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য গর্বিত। ১২৫ কোটি মানুষ যাতে শান্তিতে ঘুমাতে পারে, তার জন্য জওয়ানরা নিজেদের জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে সীমান্ত পাহারা দেন। তাঁদের এভাবে মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না।’
আর ভারত সরকার যে বিষয়টিকে শুধু কথার কথা বলে দেখছে না, তার প্রমাণ নিরাপত্তায় বাড়তি জোর। গত পাঁচ-ছ’দিন ধরেই কিন্তু জম্মু ও কাশ্মীর সীমান্তে সেনা মোতায়েন বাড়ানো হয়েছে। সবরকম পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকছে তারা। অনুপ্রবেশ রুখতে যাবতীয় ব্যবস্থা যেমন নেওয়া হয়েছে, তেমনি রাজধানীর বুকে ভারতীয় অস্ত্রভাণ্ডারের হিসাবপত্র শুরু করে দিয়েছে সরকার। যুদ্ধের ট্যাঙ্ক, মিসাইলসহ অস্ত্রভাণ্ডারে কত কী মজুত আছে, সংশ্লিষ্ট অফিসারদের তার তালিকা তৈরি রাখতে বলা হয়েছে। সেনাবাহিনী, নৌসেনা এবং বায়ুসেনা, প্রতিরক্ষার তিন স্তরকেই সদা সতর্ক থাকার বার্তা বার্তা দেওয়া হয়েছে।
যদিও সবটাই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা। দেশের বিভিন্ন মহল থেকে আগ্রাসনের চাপ থাকলেও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কূটনৈতিকভাবেই এগচ্ছে সরকার। চলছে রাজনৈতিক এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকে পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে আক্রমণ। রাষ্ট্রসংঘ নিন্দা করলেও এখনই পাকিস্তানের গায়ে ‘সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র’ বা ‘জঙ্গিদের আঁতুড়ঘর’ তকমা লাগায়নি। বরং সেই কাজে সফল হলে অনেক বড় রাজনৈতিক জয় হবে নরেন্দ্র মোদির।
সূত্র- বর্তমান
খবর বিভাগঃ
দেশের বাইরে
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়