কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
বিএনপির ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ। ১৯৭৮ সালের এ দিনে সাবেক রাষ্ট্রপতি
জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় থাকাকালে দলটি প্রতিষ্ঠা করেন। বেশ কয়েকবার
রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এলেও, সর্বশেষ অংশ নেওয়া নির্বাচনে ভরাডুবি হয় দলটির।
দশম সংসদ নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় বর্তমানে পার্লামেন্টের বাইরে রয়েছে
দলটি। সবমিলিয়ে বিএনপি এখন নানা ধরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে।
টানা এক দশক ক্ষমতার বাইরে থাকার মধ্যে নানমুখী চ্যালেঞ্জ আর নতুন কমিটি গঠনের পর নেতাদের টানাপোড়েন; এর মধ্যেই ৩৯ বছরে পা দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশের এই রাজনৈতিক দলটি। ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর এখন বিএনপি সবচেয়ে বড় ‘দুঃসময়’ পার করছে বলে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতাদের কথায় সম্প্রতি উঠে আসে। তবে এ পরিস্থিতিতেও নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে উঠে দাঁড়ানোর আশা করছেন মির্জা ফখরুল।
৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সকাল ১০টায় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নতুন কমিটির নেতাদের নিয়ে শেরে বাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন।
দিনব্যাপী কেন্দ্রীয় কর্মসূচির মধ্যে বিকাল ৩টায় রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা হচ্ছে। এছাড়া সারাদেশে তৃণমূল পর্যায়ের কমিটিগুলোও সভা-সমাবেশ করবে বলে বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন।
সেনাপ্রধান হয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পর ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর জিয়াউর রহমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও মতের মানুষদের এক মঞ্চে এনে ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’ গঠন করেন।
১৯৮১ সালে চট্টগ্রামে এক ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানে রাষ্ট্রপতি জিয়ার মৃত্যুর পর দলটির হাল ধরেন তার স্ত্রী খালেদা। এরপর তার ৩৪ বছরের নেতৃত্বে দুই বার রষ্ট্র ক্ষমতায় যায় বিএনপি। তবে তারেক রহমানের রাজনীতিতে পা রাখার পর ছেলের বিষয়ে ‘নমনীয়তা’ খালেদার ‘আপসহীন’ ভাবমূর্তি অনেকটাই ক্ষুণ্ন করেছে বলে বিএনপি বলয়ের মধ্যেই আলোচনা রয়েছে।
২০০৬-০৭ সালে বিএনপি থেকে ক্ষমতা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে যাওয়ার পর ‘সংস্কারপন্থি’দের তৎপরতায় ভাঙনের মুখে পড়লেও কারাগার থেকে বেরিয়ে তাতে জোড়া লাগিয়েছিলেন খালেদা। তারপর ভোটে হেরে সংসদে বিরোধী দলের আসনে থাকলেও ২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করে এখন রাষ্ট্রীয় সব প্রটোকলই হারিয়েছেন খালেদা; যদিও রাজনীতিতে গুরুত্ব এখনও রয়েছে।
যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরুর পর জোটসঙ্গী জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে চাপের মধ্যে দশম সংসদ নির্বাচন ঠেকানোর আন্দোলনে নেমেছিল বিএনপি। সে চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার এক বছর পর আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে হটাতে আন্দোলন চালিয়ে আবারও বিফল হয় দলটি।
এদিকে কাউন্সিলের বেশ কয়েকমাস পর সম্প্রতি দলটি নতুন করে তাদের কমিটি ঘোষণা করেছে। যদিও সেখানেও অসন্তোষ ফুটে উঠেছে। অন্যদিকে কয়েক দফা ব্যর্থ আন্দোলনের পর দলটির অনেক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, অনেকে রয়েছেন কারাগারে।
কমিটি গঠনের পর দলের প্রথম সারির কয়েকজন নেতার পদত্যাগ করেছেন এতে দলের মধ্যে কতটা ঐক্য রয়েছে তা প্রশ্নবিদ্ধ। এই বিষয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, পদত্যাগের কথাটা এখনো শোনাকথা পর্যায়ে, কিন্তু বাস্তব পর্যায়ে সেটার বাস্তবতা এখনো নেই। তিনি বলেন 'এটা একটা বৃহত্তম রাজনৈতিক দল, এখানে কিছুটা অসন্তোষ থাকবেই'।
গয়েশ্বর আরও বলছেন 'ব্যক্তিগতভাবে তিনি অর্ধশত মামলার মধ্যে রয়েছেন। এর চেয়ে বেশি মামলা রয়েছে তৃণমূল পর্যায়ে। এগুলোকে মোকাবেলা করে যখন আমরা আছি, তার মানে আমরা সঠিক পথে আছি। এবং জনগণের সমর্থন আছে। এই শক্তিতেই আমাদের আগামী দিনের পথ চলার বড় মনোবল'। 'আমরা অনেক কিছু পারছি, অনেক কিছুই পারি না। তবে মনে করি শেষ ভাল যার সব ভাল তার'।
টানা এক দশক ক্ষমতার বাইরে থাকার মধ্যে নানমুখী চ্যালেঞ্জ আর নতুন কমিটি গঠনের পর নেতাদের টানাপোড়েন; এর মধ্যেই ৩৯ বছরে পা দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশের এই রাজনৈতিক দলটি। ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর এখন বিএনপি সবচেয়ে বড় ‘দুঃসময়’ পার করছে বলে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতাদের কথায় সম্প্রতি উঠে আসে। তবে এ পরিস্থিতিতেও নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে উঠে দাঁড়ানোর আশা করছেন মির্জা ফখরুল।
৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সকাল ১০টায় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নতুন কমিটির নেতাদের নিয়ে শেরে বাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন।
দিনব্যাপী কেন্দ্রীয় কর্মসূচির মধ্যে বিকাল ৩টায় রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা হচ্ছে। এছাড়া সারাদেশে তৃণমূল পর্যায়ের কমিটিগুলোও সভা-সমাবেশ করবে বলে বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন।
সেনাপ্রধান হয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পর ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর জিয়াউর রহমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও মতের মানুষদের এক মঞ্চে এনে ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’ গঠন করেন।
১৯৮১ সালে চট্টগ্রামে এক ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানে রাষ্ট্রপতি জিয়ার মৃত্যুর পর দলটির হাল ধরেন তার স্ত্রী খালেদা। এরপর তার ৩৪ বছরের নেতৃত্বে দুই বার রষ্ট্র ক্ষমতায় যায় বিএনপি। তবে তারেক রহমানের রাজনীতিতে পা রাখার পর ছেলের বিষয়ে ‘নমনীয়তা’ খালেদার ‘আপসহীন’ ভাবমূর্তি অনেকটাই ক্ষুণ্ন করেছে বলে বিএনপি বলয়ের মধ্যেই আলোচনা রয়েছে।
২০০৬-০৭ সালে বিএনপি থেকে ক্ষমতা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে যাওয়ার পর ‘সংস্কারপন্থি’দের তৎপরতায় ভাঙনের মুখে পড়লেও কারাগার থেকে বেরিয়ে তাতে জোড়া লাগিয়েছিলেন খালেদা। তারপর ভোটে হেরে সংসদে বিরোধী দলের আসনে থাকলেও ২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করে এখন রাষ্ট্রীয় সব প্রটোকলই হারিয়েছেন খালেদা; যদিও রাজনীতিতে গুরুত্ব এখনও রয়েছে।
যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরুর পর জোটসঙ্গী জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে চাপের মধ্যে দশম সংসদ নির্বাচন ঠেকানোর আন্দোলনে নেমেছিল বিএনপি। সে চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার এক বছর পর আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে হটাতে আন্দোলন চালিয়ে আবারও বিফল হয় দলটি।
এদিকে কাউন্সিলের বেশ কয়েকমাস পর সম্প্রতি দলটি নতুন করে তাদের কমিটি ঘোষণা করেছে। যদিও সেখানেও অসন্তোষ ফুটে উঠেছে। অন্যদিকে কয়েক দফা ব্যর্থ আন্দোলনের পর দলটির অনেক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, অনেকে রয়েছেন কারাগারে।
কমিটি গঠনের পর দলের প্রথম সারির কয়েকজন নেতার পদত্যাগ করেছেন এতে দলের মধ্যে কতটা ঐক্য রয়েছে তা প্রশ্নবিদ্ধ। এই বিষয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, পদত্যাগের কথাটা এখনো শোনাকথা পর্যায়ে, কিন্তু বাস্তব পর্যায়ে সেটার বাস্তবতা এখনো নেই। তিনি বলেন 'এটা একটা বৃহত্তম রাজনৈতিক দল, এখানে কিছুটা অসন্তোষ থাকবেই'।
গয়েশ্বর আরও বলছেন 'ব্যক্তিগতভাবে তিনি অর্ধশত মামলার মধ্যে রয়েছেন। এর চেয়ে বেশি মামলা রয়েছে তৃণমূল পর্যায়ে। এগুলোকে মোকাবেলা করে যখন আমরা আছি, তার মানে আমরা সঠিক পথে আছি। এবং জনগণের সমর্থন আছে। এই শক্তিতেই আমাদের আগামী দিনের পথ চলার বড় মনোবল'। 'আমরা অনেক কিছু পারছি, অনেক কিছুই পারি না। তবে মনে করি শেষ ভাল যার সব ভাল তার'।
--- বিডিলাইভ
খবর বিভাগঃ
রাজনীতি
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়