Thursday, September 22

সাদেক হোসেন খোকার গুলশানের বাড়ি বাজেয়াপ্ত

সাদেক হোসেন খোকার গুলশানের বাড়ি বাজেয়াপ্ত
কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: ঢাকার সাবেক মেয়র ও বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতা সাদেক হোসেন খোকার বাড়ি ও জমি সরকার বাজেয়াপ্ত করছে। বুধবার ঢাকার গুলশানে ছয়তলা ভবন বাজেয়াপ্ত করে নোটিশ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক আলাদাভাবে তার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা বা এই প্রক্রিয়া চলমান থাকার কথা জানিয়েছেন।

সরকারের বিভিন্ন সূত্র জানায়, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে সাদেক হোসেনের নামে থাকা মোট ১০০ দশমিক ১৯৪৬ একর জমি বাজেয়াপ্ত করা হবে। এর মধ্যে তার মালিকানাধীন ঢাকার গুলশান ২ নম্বর সেক্টরের ৭২ নম্বর সড়কের ৯ নম্বর হোল্ডিংয়ের ৫ কাঠা জমি এবং তার ওপর নির্মিত ছয়তলা ভবনে গতকাল ঢাকার জেলা প্রশাসক নোটিশ ঝুলিয়ে দেয়। ওই বাড়ির দাম আদালত ২ কোটি ৪৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা নির্ধারণ করেছিলেন।

সাবেক মেয়রের বিরুদ্ধে দুদকের মামলার রায়ে ১০ কোটি ৫ লাখ ২১ হাজার ৮৩২ টাকা মূল্যের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে মেসার্স বুড়িগঙ্গা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নামে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বিভিন্ন মৌজায় ২৭ খণ্ড কৃষিজমি, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন মৌজায় ৩৪ খণ্ড কৃষিজমিসহ মোট ৬১টি দলিলে ১৩৩ দশমিক ৫৯৫২ একর জমি রয়েছে। এসব জমির চার মালিকের মধ্যে খোকার অংশ হিসেবে ৭ কোটি ৩৪ লাখ ৪৮ হাজার টাকা মূল্য ধরা হয়েছে ১৩৩ একর জমির দাম হিসেবে।

এ ছাড়া বুড়িগঙ্গা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নামে হাবিব ব্যাংকে জমা করা টাকা থেকে ২৩ লাখ ১২ হাজার ৯৭৩ টাকা নিয়ে মোট ১০ কোটি ৫ লাখ ২১ হাজার ৮৩২ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেন আদালত।

যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত সাদেক হোসেন খোকা এ বিষয়ে বলেন, এত জমির মালিক তিনি নন। এটা একটা কোম্পানি এবং এতে ছয়-সাতজন শেয়ারহোল্ডার রয়েছেন। এক-চতুর্থাংশ নয়, তিনি একটি ক্ষুদ্র অংশের মালিক। তিনি বলেন, এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক মামলা। এই মামলায় তার অনুপস্থিতিতে রায় হয়েছে। এমনকি তাকে মামলা মোকাবিলা করতে আইনজীবী নিয়োগ করতে দেওয়া হয়নি। তিনি আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করে ‘একতরফা’ এই রায়ের ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান। এ ছাড়া আদালতের অনুমতি নিয়েই তিনি চিকিৎসার জন্য বিদেশে আছেন বলে দাবি করেন।

ঢাকা জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, সাদেক হোসেন রায়ের বিরুদ্ধে এখন আর আপিল করতে পারবেন না। কারণ, সেই সময় শেষ হয়ে গেছে। আপিল করতে চাইলে তাকে সশরীরে উপস্থিত থেকে করতে হতো। তাঁর আইনজীবী মহসীন মিয়া জানিয়েছেন, এটা সত্য যে, তিনি পলাতক থাকায় আপিল করতে পারেননি। তিনি মনে করেন, জজকোর্টে তারা ন্যায়বিচার পাননি।

গত বছরের ২০ অক্টোবর গোপন ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেনকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। তিনি অবৈধভাবে ১০ কোটি ৫ লাখ ২১ হাজার ৮৩২ টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন ঘোষণা করে ওই সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রায়ে। রায় ঘোষণার সময় তিনি নিউইয়র্কে অবস্থান করছিলেন। তাকে পলাতক দেখিয়ে এ মামলার বিচার চলে।

সূত্র: প্রথম আলো

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়