Sunday, September 25

‘চালক-মালিক নই, তবুও দুর্ঘটনার দায় নিচ্ছি’


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তিনি গাড়ির চালক বা মালিক কেউ নন, তবুও এবারের ঈদযাত্রায় যেভাবে সড়কে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে এর দায় তিনি এড়িয়ে যেতে পারেন না। সড়ক দুর্ঘটনার প্রাণহানি তাকে ভীষণ ভাবিয়ে তুলেছে বলেও জানান মন্ত্রী। রবিবার সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের মহাসড়কগুলোতে সড়ক দুর্ঘটনার কারণ নির্ণয় করে তা রোধে বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। সমীক্ষার মাধ্যমে মোট ২২৭টি দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থান (ব্লাকস্পট) চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন মহাসড়কের ৬৮টি দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থানের প্রতিকারমূলক কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া মহাসড়কে যানচলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী অবৈধ স্থাপনা, হাট, বাজার অপসারণ করা হচ্ছে।’ সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য নাভানা আকতারের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী জানান, বহুল আলোচিত পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজের শতকরা ৩৮ ভাগ অগ্রগতি হয়েছে। স্প্যান নির্মাণের মাধ্যমে আগামী ডিসেম্বর কিংবা জানুয়ারি নাগাদ সারাদেশের মানুষের সামনে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ দৃশ্যমান হবে। একই সদস্যের মূল প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, এলেঙ্গা থেকে রংপুর পর্যন্ত ১৯০ কিলোমিটার মহাসড়কের উভয় পাশে ধীরগতি যানবাহনের জন্য পৃথক লেনসহ ৪-লেনে উন্নীত করতে প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। যা মূল সড়কের যানবাহনের সঙ্গে দূর্ঘটনা এড়াতে সহায়ক হবে। এছাড়া মহাসড়ক হতে কারিগরি দৃষ্টিকোণ থেকে অপ্রয়োজনীয় স্পিডব্রেকার অপসারণ কার্যক্রম চলমান আছে। জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ইজিবাইক, নসিমন, করিমন, ভটভটি ও ব্যাটারিচালিত যানবাহন/রিকশা চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মন্ত্রী আরও জানান, জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের ২৩তম সভায় সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সারাদেশের জাতীয় মহাসড়কগুলোতে যানবাহন ভেদে মোটরযানের সর্বোচ্চ গতি ৮০ কিলোমিটার এবং ঢাকাসহ অন্যান্য সিটি এলাকায় সর্বোচ্চ গতি ৪০ কিলোমিটার নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এই সিদ্ধান্ত অনুসারে কার্যক্রম অব্যাহত আছে। সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম মিলনের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনারোধে ১৪৪টি ব্লাক স্পটের প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ১৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। গত অর্থবছরে সাড়ে ৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৮টি ব্লাক স্পটের প্রতিকারমূলক কাজ করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে অবশিষ্ট ৭০টি ব্লাক স্পটের প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ সম্পন্ন হবে। এজন্য ৭৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। জাসদের সংসদ সদস্য শিরীন আকতারের সম্পুরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ফুটপাত যদি আমরা পথচারীদের জন্য ছেড়ে দিতে না পারি তবে যতই ফ্লাইওভার, মেট্টোরেল নির্মাণ করি না কেন, কোনো লাভ হবে না। ঢাকায় ৫০ হাজার ছোটযানের লাইসেন্স থাকলেও চলে ২০ লাখেরও ওপরে। এসব অবশ্যই সাহসের সঙ্গে আমাদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। নইলে রাজধানীতে যানজট নিরসন সম্ভব হবে না। --ঢাকাটাইমস

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়