কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার বরমচালে অভিনব কৌশলে চুরি করতে গিয়ে জনতার হাতে ধরা খেয়েছে শিশুসহ ৬ জন। আটককৃতরা হচ্ছে- সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার বাধাঘাট গ্রামের সুমন মিয়ার মেয়ে (১৮), সিলেট বিশ^নাথ উপজেলার হকপুর গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে সিএনজি অটোরিক্সা চালক আলী হোসেন (২১), সিলেট দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কদমতলী এলাকার মৃত রফিক মিয়ার দুই ছেলে আকাশ (১৪) ও হৃদয় (১২) এবং তাদের সহযোগী আয়েশা আক্তার রিমার কথিত দুই বোন শিশু আকলিমা (৯) ও ফাতেমা (৮)।
বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তাদেরকে আটকের ব্যাপারটি নিশ্চিত করেন কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামসুদ্দোহা (পিপিএম)।
জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫টায় উপজেলার বরমচাল স্কুল এন্ড কলেজ রোডস্থ স্টেশন রোড চৌমুহনায় শামীম এন্ড ব্রাদার্স ডিপাটমেন্টাল স্টোরে কোমল পানীয় কেনার জন্য আয়শা আক্তার রিমা ও আকাশ দোকানে প্রবেশ করে। দোকানের বাইরে সিএনজি অটোরিক্সায় অপেক্ষায় থাকা শিশু আকলিমা ও ফাতেমা এসময় তাদের সাথে প্রবেশ করে। দোকানের মালিক শামিম আহমদ ক্যাশ বাক্সের বিপরীতে থাকা ফ্রিজ থেকে কোমল পানীয় বের করার সময় রিমা ও আকাশ তাকে ‘এটা না ওটা’ বলতে থাকে।
এসময় শিশু আকলিমা কৌশলে ক্যাশ বাক্সের ড্রয়ার খোলে নগদ এক হাজার ৫শ’ টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালানোর সময় দোকানদার টের পেয়ে যান। তিনি চিৎকার করলে পাশ^বর্তী দোকানদারদের সহযোগীতায় সবাইকে আটক করা হয়। পরে স্থানীয়রা কুলাউড়া থানাকে জানালে এসআই মো. আবুল বাশার ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
এ বিষয়ে দোকানদার শামিম আহমদ নিজে বাদী হয়ে কুরাউড়া থানায় একটি মামলা (নং-৩৫) দায়ের করেন।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামসুদ্দোহা (পিপিএম) বলেন, এর আগে এই চোরচক্র সংঘবদ্ধ হয়ে উপজেলার শ্রীপুর এলাকায় চুরি করে পালিয়ে যায়। কম বয়সের শিশুদের চুরি করার জন্য ব্যবহার করে সংঘবদ্ধ চোরেরা মানুষের দুর্বলতার সুযোগ নেয়।
খবর বিভাগঃ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়