Monday, August 22

বাংলাদেশে আসছেন স্বর্ণজয়ী মার্গারিতা!

বাংলাদেশে আসছেন স্বর্ণজয়ী মার্গারিতা!

কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: ২০১৫ সালে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম মস্কো গিয়েছিলেন। সে সময় মার্গারিতা মামুনের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ জয় উদযাপনে এক নৈশভোজের আয়োজন করেন। তখন মামুনের বাবা বাংলাদেশি আব্দুল্লাহ আল মামুন মেয়েকে দেশে নিয়ে আসার কথা দিয়েছেন।

রবিবার ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন শাহরিয়ার আলম। একই সঙ্গে ওই নৈশভোজের কিছু ছবিও পোস্ট করেছেন।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, 'ইউরোপিয়ান চ্যম্পিায়নশিপ জেতার ২ দিন পরে গত বছর এই সময়ে তাদের সম্মানে নৈশ্যভোজের আয়োজন করেছিলাম মস্কোর অদূরে। মামুন ভাই কথা দিয়েছেন অলিম্পিকের পরে মেয়েকে নিয়ে বাংলাদেশে আসবেন। তখন "বাংলার বাঘিনীর''র জন্য ফুলের তোড়াটা নিশ্চয় আরও অনেক বড় হবে।'

রিও অলিম্পিকের ১৫তম দিনে রিদমিক জিমন্যাস্টিকসের অল অ্যারাউন্ড ইভেন্টে ৭৬.৪৮৩ পয়েন্ট পেয়ে স্বর্ণ জিতেন মার্গারিটা মামুন। আগের দিন হিটে প্রথম হয়েই ফাইনালে উঠেছিলেন মার্গারিটা। সেখানে চার ইভেন্ট হুপ, বল, ক্লাব ও রিবনে তার সর্বমোট স্কোর ছিল ৭৪.৩৮৩। ফাইনালে হিটের স্কোরকেও ছাড়িয়ে যান তিনি।

জুনিয়র পর্যায়ে একবার বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা মার্গারিটা মামুন বলেন, 'আমার দ্বৈত নাগরিকত্ব ছিল, তাই আমি জুনিয়র হিসেবে একটি প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমি সবসময়  রাশিয়ায় থেকেছি আর অনুশীলন করেছি দেখে এরপর আমি রাশিয়ার প্রতিনিধিত্ব করি।'

মার্গারিটার বাবা আবদুল্লাহ আল মামুন মেরিন প্রকৌশলী এবং মা আনা একজন সাবেক রিদমিক জিমন্যাস্টস। আশির দশকে আবদুল্লাহ আল মামুন তৎ​কালীন সোভিয়েত ইউনিয়নে পড়াশোনা করতে গিয়ে সেখানেই বিয়ে করে স্থায়ী হন।

স্বর্ণ জয়ের পর মার্গারিতা বলেন, 'আমি এটা জেনে খুব খুশি যে বাংলাদেশের অনেক ভক্ত আমাকে সমর্থন করছে। আমি বাংলায় ১ থেকে ১০ পর্যন্ত গুনতে পারি। যখন ছোটো ছিলাম, আমার বাবা আমাকে বাংলা শেখাতেন, কিন্তু আমি সব ভুলে গেছি।'

রিদমিক জিমন্যাস্টিকসে এর আগে বিশ্ব রেকর্ডও করেছিলেন মার্গারিটা।

মার্গারিতা অলিম্পিকের সাথে জিতেছেন রাশিয়ার রিদমিক জিমন্যাস্ট দলের প্রধান কোচের মন। সে কোচ রিটার নাম দিয়েছেন 'দ্য বেঙ্গল টাইগ্রেস' বা 'বাংলার বাঘিনী'। তার এই বিশেষ নামটি আন্তর্জাতিক জিমন্যাস্টিকস ফেডারেশনের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটেও পাওয়া যায়, সঙ্গে উইকিপিডিয়াতেও।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়