Saturday, August 6

ইতিহাসের সাক্ষী লালবাগ দুর্গ

ইতিহাসের সাক্ষী লালবাগ দুর্গ
কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: রাজধানী ঢাকার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত প্রাচীন দুর্গ। মোঘল আমলে স্থাপিত এই দুর্গটি একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন। এটি পুরনো ঢাকার লালবাগে অবস্থিত, আর সে কারণেই এর নাম হয়েছে লালবাগের কেল্লা। এটি বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটনস্থল। বর্তমানে (প্রেক্ষিত ২০১২) বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ব বিভাগ এই কেল্লা এলাকার রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে।

এর পুরনো চিত্র দেখলে মনে হবে তিনতলা ভবনের কোনো ঐতিহাসিক ধ্বংসাবশেষ। তার সামনে দাঁড়িয়ে গল্প করছেন দুজন লোক। ব্রিটিশ লাইব্রেরির ওয়েবসাইট, ওল্ড ইন্ডিয়ান ফটোসসহ বিভিন্ন প্রকাশনীতে ঢাকার লালবাগ দুর্গের দক্ষিণ প্রবেশপথের এই ছবিটি আছে।

১৮৭০ সালে কোনো একজন আলোকচিত্রী এই ছবিটি তুলেছিলেন। প্রায় সাড়ে তিন শ বছরের পুরোনো মোগল এ স্থাপনা আওরঙ্গাবাদ দুর্গ নামেও পরিচিত। তবে লালবাগে অবস্থিত বলে লালবাগের কেল্লা নামেই লোকে দুর্গটিকে চেনে। এই দুর্গ মোগল আমলের বাংলাদেশের একমাত্র নিদর্শন, যাতে একই সঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছে কষ্টিপাথর, মার্বেল পাথর আর নানান রংবেরঙের টালি।

জাতীয় জ্ঞানকোষ বাংলাপিডিয়ায় বলা হয়েছে, যুবরাজ মুহম্মদ আজম বাংলার সুবেদার থাকাকালীন ১৬৭৮ খ্রিষ্টাব্দে এই দুর্গের নির্মাণকাজ শুরু করেন।

কিন্তু নির্মাণকাজ সম্পন্ন হওয়ার আগেই আওরঙ্গজেব তাকে দিল্লিতে ডেকে পাঠান। তার উত্তরসূরি শায়েস্তা খান ১৬৮৮ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ঢাকায় অবস্থান করলেও দুর্গের কাজ সমাপ্ত করেননি। জনশ্রুতি, ১৬৮৪ খ্রিষ্টাব্দে শায়েস্তা খানের মেয়ে পরী বিবি এখানে মারা গেলে দুর্গটিকে তিনি অপয়া হিসেবে বিবেচনা করে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেন।

এই দুর্গের প্রধান তিনটি ভবনের মধ্যে রাজকার্যে ব্যবহৃত দরবার হল, মসজিদ ও পরী বিবির সমাধিসৌধ রয়েছে। বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ খননের মাধ্যমে এখানে আরও কিছু ভবন-কাঠামো, পানি সরবরাহের ব্যবস্থা, পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থা, ছাদ-বাগান ও ঝর্ণার ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়