Tuesday, August 9

ধূমপান ত্যাগের পর যেভাবে সুস্থতা শুরু হয়

ধূমপান ত্যাগের পর যেভাবে সুস্থতা শুরু হয়

কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: বিশেষজ্ঞরা অনেকবারই দেখিয়েছেন কীভাবে ধুমপান আমাদের শরীরের ক্ষতি করে। কিন্তু অনেকের জন্যই ধূমপান ত্যাগ করা অনেক বড় একটি সাইকোলজিকাল চ্যালেঞ্জ। অথবা তারা পর্যাপ্ত মোটিভেশন পান না, তাই সিগারেট ছাড়া হয় না কখনো। অতিরিক্ত ধূমপান তাদের ধীরে ধীরে নিয়ে যায় মৃত্যুর মুখে।

বিশেষজ্ঞরা দেখিয়েছেন, মানুষের নিকোটিন গ্রহণ না করা শরীরে লক্ষ্যনীয় প্রভাব বিস্তার করে। আপনি জেনে অবাক হবেন যে এই পরিবর্তন শুরু হয় আপনার শেষ সিগারেটটি গ্রহণের ২০ মিনিটের মধ্যেই। এই ইতিবাচক পরিবর্তনগুলো চলতেই থাকে। আসুন দেখে নিই, ধূমপান ছাড়লে শরীরে কেমন প্রভাব ফেলে।

২০ মিনিট
হৃৎপিন্ডের কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়ে আসে। আপনার ক্যাপিলারিস এবং ভাসকুলার নেটওয়ার্ক পূর্বের মত ক্সজ শুরু করে। রক্ত সঞ্চালন ভাল হতে থাকে। আঙ্গুলের এবং পায়ের পাতার অনুভূতি গ্রহণ ক্ষমতা বাড়ে।

১২ ঘন্টা
রক্তের কার্বন মনোক্সাইডের লেভেল নামতে শুরু করে। অক্সিজেনের লেভেল বাড়তে শুরু করে। রক্তের গঠন আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।

২ সপ্তাহ থেকে ৩ মাস
হার্ট এটাকের ঝুঁকি কমে আসে। তামাকাসক্তির সব লক্ষণ উধাও হয়ে যায়। পেরিফেরাল শিরা ধমনীতে রক্ত সঞ্চালনের উন্নতি হয়। ফুসফুসের টিস্যুগুলোর পূনর্গঠন হয় এবং ফুসফুসের কার্যক্রমেরও উন্নতি হয়।

১ থেকে ৯ মাস
ধূমপানের কারণে হওয়া কাশি, শ্বাসকষ্ট কমে আসে। এই সমস্যাগুলো তাৎক্ষণিকভাবে না কমে একটু সময় নেয়। ফুসফুস থেকে ধূমপানের ক্ষতিকর পদার্থগুলো বেরিয়ে যেতে কিছুটা সময় লেগে যায়।

১ বছর
১ বছর পর আপনি অবাক হয়ে লক্ষ্য করবেন যে আপনি সিগারেট ছাড়া চলতেই পারতেন না সেই আপনিই আর তামাকের প্রয়োজন অনুভব করছেন না। আপনার ত্বকের রং বদলে যাবে। ত্বকে উজ্জ্বলতা এবং সুস্থ্যতা সবার চোখে পড়বে। হৃদরোগের ঝুঁকি কমে আসবে ৫০ শতাংশ।

৫ বছর
রক্ত সঞ্চালন পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়ে আসে। স্ট্রোক করার ঝুঁকি কমে যায়, নন-স্মোকারদের সাথে এক্ষেত্রে আপনার আর কোন পার্থক্য থাকে না। ইমিউন সিস্টেম আগের চেয়ে অনেক ভাল ভাবে কাজ করতে শুরু করে।

১০ বছর
ফুসফুসের ক্যান্সারের সম্ভাবনা একজন ধূমপায়ীর তুলনায় ৫০ শতাংশ কমে আসে। ইন্ট্রাওরাল ক্যান্সার, হলার ক্যান্সার, এস্ফেগিয়াল ক্যান্সার, কিডনী এবং প্যানকিয়েটিক ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে আসে।

১৫ বছর
ইসচেমিক হৃদরোগের ঝুঁকি থাকে না। আপনি পুরোপুরি একজন নন-স্মোকারের মত সুস্থ্ জীবন ফিরে পান।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়