Saturday, August 6

কেবল একটি ছাগলের জন্য...


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: একটা ছাগলের জন্য ছয় বছরের মেয়েকে ৫৫ বছরের বৃদ্ধের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছে বাবা মা। ঘারিবগুল নামের সেই শিশু কন্যাটিকে একরকম জোর করেই বিয়ে দেয়া হয় ৫৫ বছর বয়সী সৈয়দ আবদুল করিমের কাছে। ঘটনাটি ঘটেছে আফগানিস্থানের ঘোর প্রদেশের একটি প্রত্যন্ত অঞ্চল ফিরোজকোহে। তবে মেয়েটির এক আত্মীয়ের করা অভিযোগের উপর ভিত্তি করে স্বামী আব্দুল করিম এবং ঘারিবগোলের বাবা দুজনকেই গ্রেপ্তার করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। ঘারিবগুলের বাবা জানান সৈয়দ আব্দুল করিম একটি ছাগলই শুধু নয়, চাল, চিনি, রান্নার তেলও দিয়েছেন তাকে আর তার পরিবারকে। যুদ্ধ বিদ্ধস্ত আফগানিস্থানে কাজ নেই। অভাবে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন ঘারিবগুলের বাবা। তিন বেলা খাবার যোগানোই প্রায় অসম্ভব। এমন অবস্থায় মেয়ের জামাইয়ের দেয়ে এই কটা জিনিসের দাম তার কাছে অনেক। কিন্তু তারচেয়েও বড় কথা মেয়েটাকে বিয়ে হয়ে স্বামীর বাড়ি গেলে তার পরিবারে প্রতিবেলায় একজনের খাবার বেঁচে যায়। তাই বলে এত অল্প বয়সী একটা মেয়েকে কি করে বিয়ে দিতে রাজি হলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ঘারিবগুলের বাবা বলেন- ‘মেয়ের জামাই আমার কাছে প্রতিজ্ঞা করেছে তার মেয়ে যতদিন পর্যন্ত আঠারো বছরে না পড়ছে ততদিন পর্যন্ত ঘারিবগুলের সাথে শারিরীক সম্পর্ক করবে না।’ কিন্তু ঘারিবগুলের সেই আত্মীয়টি তার অভিযোগে বলেছেন ঘারিবগুলের স্বামী প্রায় রাতেই তাকে কাপড় খুলতে বাধ্য করতো। এ নিয়ে তিনি আব্দুল করিমকে প্রশ্ন করলে তিনি সোজা সাপ্টা জবাব দেন- ‘ওকি আমার মেয়ে? ওতো আমার বউ। ওর বাবা ওকে আমার কাছে দিয়ে দিয়েছে।’ তারপর আর দেরি না করে সেই আত্মীয় ঘোর প্রদেশের নারী অধিকার সংস্থাগুলোর সাথে যোগাযোগ করেন। ঘটনা জানতে পেরে তারা এসে ঘারিবগুলকে নিজেদের জিম্মায় নিয়ে নেন। কথিত স্বামী আব্দুল কারিমকে গ্রেপ্তার করার সাথে সাথে ঘারিবগুলের বাবাকে পিতৃত্বের অধিকার থেকে এর মধ্যেই অব্যাহতি দিয়েছে। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদন বলছে ৪৬.৪ শতাংশ নারীকে ১৮ বছরের আগেই বিয়ে দিয়ে দেয় তাদের বাবা মায়েরা। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বয়স দুই সংখ্যায় যাওয়ার আগেই বিয়ে হয়ে যাচ্ছে তাদের।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়