কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ)আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ায় জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মীর কাসেম আলী মৃত্যুদণ্ডের রায় বজায় থাকলো। তাই এর প্রতিবাদে বুধবার সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত দেশব্যাপী হরতাল ডেকেছে জামায়াত।
মঙ্গলবার আপিল বিভাগের রায়ের পর দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল শফিকুর রহমানের নামে হরতালের বার্তা দিয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠায়। জামায়াতের ওয়েবসাইটেও হরতালের খবর প্রকাশ করা হয়েছে।
জামায়াতের বিবৃতিতে বলা হয়, “সরকার পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্র করে জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে একের পর এক হত্যা করছে। সরকারের সেই ষড়যন্ত্রের শিকার মীর কাসেম আলী।”
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধে কাসেমের জড়িত থাকার বিষয়টি আদালতে প্রমাণিত হলেও একে সরকারের ‘মিথ্যা, বায়বীয় ও কাল্পনিক অভিযোগ’ বলা হয়েছে বিবৃতিতে।
ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মীর কাসেম ১৯৮৫ সাল থেকে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ অর্থাৎ মজলিসে শুরার সদস্য হিসেবে দলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছিলেন। তিনি জামায়াতের পঞ্চম শীর্ষ নেতা, শেষ বিচারেও যুদ্ধাপরাধের দায়ে যার মৃত্যুদণ্ড বহাল রয়েছে।
২০১৪ সালের ২ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কাসেমকে সর্বোচ্চ সাজার এই আদেশ দেয়। গত ৮ মার্চ আপিলের রায়েও তা বহাল থাকে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় কিশোর মুক্তিযোদ্ধা জসিমকে অপহরণ, আটকে রেখে নির্যাতন ও হত্যার অপরাধে তার এই সাজার রায় আসে।
কাসেম ওই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছিলেন। প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা মঙ্গলবার ‘ডিসমিসড’ বলে সেই আবেদন খারিজ করে দেন।
জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল শফিকুর রহমান বিবৃতিতে অভিযোগ করেন, ‘মীর কাসেম আলীকে হত্যার সরকারি ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এবং তিনিসহ জামায়াতের আটক সকল নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবিতে আমি ৩১ অগাস্ট বুধবার সারাদেশে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করছি।’
এর আগে ট্রাইব্যুনাল ও আপিল বিভাগে জামায়াত নেতাদের যুদ্ধাপরাধ মামলার সব রায়ের পরও হরতাল করে জামায়াত।
এদিকে এ্যাম্বুলেন্স,লাশবাহী গাড়ী, হাসপাতাল, ফায়ার সার্ভিস, হজ্জ্বযাত্রীদের বহনকারী যানবাহন ও সংবাদপত্রের সাথে সংশ্লিষ্ট গাড়ি হরতালের আওতামুক্ত থাকবে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
খবর বিভাগঃ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়