কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: ধনী
হওয়ার উপায় অনেকের কাছে অবাস্তব মনে হলেও বাস্তব আরো সহজ। কিছু নিয়ম পালন
করলে ধনী হওয়া সম্ভব অল্প বয়সেই। তবে এ ক্ষেত্রে বিষয়গুলো আংশিক মানলে হবে
না, সফল হওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে অক্ষরে অক্ষরে বিষয়গুলো পালন করতে হবে।
বিশ্বের বড় বড় ধনকুবেররা কীভাবে ধনী হয়েছেন, সেটি জানেন? কেউ ধনী বাবার সম্পদে, কেউবা দা মেরে। মেধা খাটিয়ে, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ধনী হওয়া মানুষের সংখ্যাও কম নয়। ধনী হওয়ার ক্ষেত্রে যেসব বিষয় বেশ ফলদায়ক, সেরকম ৭টি বিষয় নিন্মে তুলে ধরা হল.....
১. সঞ্চয়:
ধনী হতে সবার প্রথম যেটি দরকার সেটি হচ্ছে সঞ্চয়। থিয়েটার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ডালাস মারভিকের প্রতিষ্ঠাতা যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী মার্ক কিউবান, যার বর্তমান সম্পদের পরিমাণ ৩০০ কোটি ডলার, তিনি মনে করেন, ধনী হওয়ার মূলমন্ত্র সঞ্চয়। একটি পয়সাও অপ্রয়োজনীয় কাজে ব্যয় করা যাবে না। কফির বদলে পানি খেতে হবে। দামি বার্গারের বদলে বাসায় রুটি খেয়ে অর্থ জমাতে হবে। ভুলে যেতে হবে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে করতে হবে সঞ্চয়।
২. ভয় পেলে চলবে না:
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আবাসন প্রতিষ্ঠান কে বি হোমসের প্রতিষ্ঠাতা এলি বোর্ডের মতে, ধনী হওয়ার মূলমন্ত্র ভড়কে না যাওয়া। বর্তমানে তার সম্পদের পরিমাণ ৭০০ কোটি ডলারের বেশি। কোনো কাজ করার ক্ষেত্রে খুব বেশি সতর্ক থাকলে এবং ব্যর্থ হওয়ার ভয়ে পিছপা হলে সফল হওয়া যায় না। অনেক সময় অজানা কোনো কাজেও সাহস করে এগিয়ে গেলে সফল হওয়া সম্ভব।
৩. স্রোতের বিপরীতে যাওয়া:
বাফেট বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে কোম্পানির প্রধান নির্বাহী ওয়ারেন বাফেট, বর্তমানে যার সম্পদের মূল্য ৭৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি, তার মতে, ধনী হতে হলে স্রোতের বিপরীতে যাওয়ার সাহস থাকতে হবে। মূলত, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের বিষয়টির কথা বলেছেন তিনি। তার মতে, পুঁজিবাজারে যখন ‘বুমিং’ থাকবে, তখন বিনিয়োগ করা যাবে না। যখন বাজার পড়তির দিকে থাকবে, তখন বিনিয়োগ করতে হবে।
৪. সুযোগ বুঝতে হবে:
গুগলের সাবেক সিইও এবং বর্তমান আলফাবেটের এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান এরিক শ্যুমিৎ মনে করেন, সুযোগ বুঝতে হবে। ধনী হওয়ার বিষয়টি অনেক সময় ভাগ্যের ওপর নির্ভর করে। তবে ভাগ্য যখন আসবে, তখন তা বুঝতে হবে।
৫. মন কী চায়:
বিশ্বের প্রায় সব ধনীই এই বিষয়টির ওপর জোর দিয়েছেন। মন কী চায়, সে কথা শুনতে হবে। যে কাজটি মন থেকে আসে, তা-ই নিষ্ঠার সঙ্গে করতে হবে। তাহলে সাফল্য আসবে।
৬. কাজের ধরন নিজেকে জানতে হবে:
কোনো কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করতে হলে সেই কোম্পানির কাজের ধারা সম্পর্কে পুরোপুরি জানতে হবে। নিজের কোম্পানিতে কীভাবে পণ্য উৎপাদিত হচ্ছে, এ ব্যাপারে ধারণা না থাকলে সাফল্য অর্জন সম্ভব নয়। চকলেট প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান মারস ইন করপোরেশনের প্রতিষ্ঠাতা ফরেস্ট মার্স, যার বর্তমান সম্পদের মূল্য ৪০০ কোটি ডলার, তার মতে, নিজের সাফল্যের জন্য অন্যের ওপর নির্ভর করলে ব্যর্থতা নিশ্চিত।
৭. আত্মকেন্দ্রিকতা:
নিজেকে জানতে হবে। সব পরিস্থিতিতে নিজেকে মানাতে হবে। জ্বালানি খাতের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান টেলসার প্রতিষ্ঠাতা এলন মাস্কের সাবেক স্ত্রী জাস্টিন মাস্কনিজে ধনী না হলেও সম্পদ গড়ার বিষয়ে পরিকল্পনা দেওয়ায় তার খ্যাতি রয়েছে। জাস্টিন মনে করেন, যেমন অবস্থাই আসুক না কেন, নিজেকে মানাতে হবে। হয়তো আপনার সামনে সামান্য খাবার, তা-ই দিয়ে আপনাকে চলতে হবে। ঘুম হচ্ছে না, এরপরও নিজেকে সতেজ রাখতে হবে।
সূত্র: দ্য চিটশিট
বিশ্বের বড় বড় ধনকুবেররা কীভাবে ধনী হয়েছেন, সেটি জানেন? কেউ ধনী বাবার সম্পদে, কেউবা দা মেরে। মেধা খাটিয়ে, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ধনী হওয়া মানুষের সংখ্যাও কম নয়। ধনী হওয়ার ক্ষেত্রে যেসব বিষয় বেশ ফলদায়ক, সেরকম ৭টি বিষয় নিন্মে তুলে ধরা হল.....
১. সঞ্চয়:
ধনী হতে সবার প্রথম যেটি দরকার সেটি হচ্ছে সঞ্চয়। থিয়েটার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ডালাস মারভিকের প্রতিষ্ঠাতা যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী মার্ক কিউবান, যার বর্তমান সম্পদের পরিমাণ ৩০০ কোটি ডলার, তিনি মনে করেন, ধনী হওয়ার মূলমন্ত্র সঞ্চয়। একটি পয়সাও অপ্রয়োজনীয় কাজে ব্যয় করা যাবে না। কফির বদলে পানি খেতে হবে। দামি বার্গারের বদলে বাসায় রুটি খেয়ে অর্থ জমাতে হবে। ভুলে যেতে হবে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে করতে হবে সঞ্চয়।
২. ভয় পেলে চলবে না:
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আবাসন প্রতিষ্ঠান কে বি হোমসের প্রতিষ্ঠাতা এলি বোর্ডের মতে, ধনী হওয়ার মূলমন্ত্র ভড়কে না যাওয়া। বর্তমানে তার সম্পদের পরিমাণ ৭০০ কোটি ডলারের বেশি। কোনো কাজ করার ক্ষেত্রে খুব বেশি সতর্ক থাকলে এবং ব্যর্থ হওয়ার ভয়ে পিছপা হলে সফল হওয়া যায় না। অনেক সময় অজানা কোনো কাজেও সাহস করে এগিয়ে গেলে সফল হওয়া সম্ভব।
৩. স্রোতের বিপরীতে যাওয়া:
বাফেট বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে কোম্পানির প্রধান নির্বাহী ওয়ারেন বাফেট, বর্তমানে যার সম্পদের মূল্য ৭৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি, তার মতে, ধনী হতে হলে স্রোতের বিপরীতে যাওয়ার সাহস থাকতে হবে। মূলত, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের বিষয়টির কথা বলেছেন তিনি। তার মতে, পুঁজিবাজারে যখন ‘বুমিং’ থাকবে, তখন বিনিয়োগ করা যাবে না। যখন বাজার পড়তির দিকে থাকবে, তখন বিনিয়োগ করতে হবে।
৪. সুযোগ বুঝতে হবে:
গুগলের সাবেক সিইও এবং বর্তমান আলফাবেটের এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান এরিক শ্যুমিৎ মনে করেন, সুযোগ বুঝতে হবে। ধনী হওয়ার বিষয়টি অনেক সময় ভাগ্যের ওপর নির্ভর করে। তবে ভাগ্য যখন আসবে, তখন তা বুঝতে হবে।
৫. মন কী চায়:
বিশ্বের প্রায় সব ধনীই এই বিষয়টির ওপর জোর দিয়েছেন। মন কী চায়, সে কথা শুনতে হবে। যে কাজটি মন থেকে আসে, তা-ই নিষ্ঠার সঙ্গে করতে হবে। তাহলে সাফল্য আসবে।
৬. কাজের ধরন নিজেকে জানতে হবে:
কোনো কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করতে হলে সেই কোম্পানির কাজের ধারা সম্পর্কে পুরোপুরি জানতে হবে। নিজের কোম্পানিতে কীভাবে পণ্য উৎপাদিত হচ্ছে, এ ব্যাপারে ধারণা না থাকলে সাফল্য অর্জন সম্ভব নয়। চকলেট প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান মারস ইন করপোরেশনের প্রতিষ্ঠাতা ফরেস্ট মার্স, যার বর্তমান সম্পদের মূল্য ৪০০ কোটি ডলার, তার মতে, নিজের সাফল্যের জন্য অন্যের ওপর নির্ভর করলে ব্যর্থতা নিশ্চিত।
৭. আত্মকেন্দ্রিকতা:
নিজেকে জানতে হবে। সব পরিস্থিতিতে নিজেকে মানাতে হবে। জ্বালানি খাতের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান টেলসার প্রতিষ্ঠাতা এলন মাস্কের সাবেক স্ত্রী জাস্টিন মাস্কনিজে ধনী না হলেও সম্পদ গড়ার বিষয়ে পরিকল্পনা দেওয়ায় তার খ্যাতি রয়েছে। জাস্টিন মনে করেন, যেমন অবস্থাই আসুক না কেন, নিজেকে মানাতে হবে। হয়তো আপনার সামনে সামান্য খাবার, তা-ই দিয়ে আপনাকে চলতে হবে। ঘুম হচ্ছে না, এরপরও নিজেকে সতেজ রাখতে হবে।
সূত্র: দ্য চিটশিট
খবর বিভাগঃ
ফিচার
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়