জামালপুর: ভারতের আসাম থেকে বানের পানিতে ভেসে আসা বন্য হাতিটি টানা ৪৩ দিন ধরে সরিষাবাড়িতে পানিবন্দী। উদ্ধার করতে পারেনি ভারত-বাংলাদেশের উদ্ধারকারী দল। হাতিটি এখন কামরাবাদ ইউনিয়নের সৈয়দপুর ও ধারাবষ্যা গ্রামের পথ ধরে ফুলপুরের দিকে যাচ্ছে।
এর আগে হাতিটি মাদারগঞ্জের নব্বইচর এলাকার আশপাশে অবস্থান নিয়েছিল।
আজ বুধবার একসময় হাতিটির মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল। যদিও এর কোনো সত্যতা মেলেনি।
চট্টগ্রাম বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ কর্মকর্তা অশিত অঞ্জন পাল, বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের প্রাণী বিশেষজ্ঞ ডা. মোস্তাফিজুর রহমান হাতি উদ্ধারে সরিষাবাড়িতে আসছেন। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগীয় বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিদর্শক অসিম মল্লিকের নেতৃত্বে ভেটেরিনারি সার্জন ডা. সাইদ হোসেন, হাতি বিশেষজ্ঞ কৌশল কুমার সারমা, ময়মনসিংহ বন বিভাগের কর্মকর্তা গোবিন্দ রায় ও দুজন মাহুত সুজনসহ বন বিভাগের ১৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল হাতি উদ্ধারে সরিষাবাড়ীতে অবস্থান করছেন।
এদিকে তিন সদস্যের ভারতীয় উদ্ধারকারী দলের মিশন সফল না হওয়ায় তারা ৩ আগস্ট দেশে ফিরে গেছেন।
ভারতীয় উদ্ধারদলের প্রধান রিতেশ ভট্টাচার্য জানিয়েছিলেন, হাতি উদ্ধারে যে ট্যাঙ্কুলাইজার ছোড়া হয়েছিল, এক ঘণ্টার মধ্যে হাতিটির জ্ঞান হারানোর কথা। কিন্তু তা হয়নি। যদি ট্যাঙ্কুলাইজার বিদ্ধ হয়েই থাকে, তবে হাতিটি মারা যাবে- এতে সন্দেহ নেই। সেটিও এখনো হয়নি, যা বিরল ঘটনা।
শেরপুর বন কর্মকর্তা হাবিবুল্লাহ জানান, জনরোষের কারণে হাতিটি ডাঙ্গায় উঠতে পারছে না। আজ বুধবারও চেতনানাশক ট্যাঙ্কুলাইজার ছোড়া হয়, কিন্তু তা হাতির গায়ে লাগেনি।
এদিকে টানা পানিতে থাকায় ইতিমধ্যে হাতির শরীরে গায়ের সৃষ্টি হয়েছে। যতই দিন যাচ্ছে, হাতিটি দুর্বল হয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় সাংবাদিক জাকারিয়া জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে জানা যায়, হাতিটি স্বাভাবিক চলাফেরা করছে।
খবর বিভাগঃ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়