কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
রেজিস্ট্রেশনের তিন দিনের মধ্যে মূল দলিল হস্তান্তর করে নজির স্থাপন করলো
রাজধানী ঢাকায় সদ্য গড়ে ওঠা শ্যামপুর, ধানমণ্ডি ও পল্লবী সাবরেজিস্ট্রি
অফিস।
গত ৭ আগস্ট আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক ওই তিনটি অফিস উদ্বোধন করে সাবরেজিস্ট্রারদের হয়রানির পরিবর্তে সেবা প্রদানের নির্দেশ দিয়ে বলেছিলেন, ন্যূনতম সময়ের মধ্যে গ্রহীতাদের হাতে মূল দলিল ফেরত দিতে হবে। সে নির্দেশ অনুযায়ী গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের হাতে রেজিস্ট্রীকৃত দলিল তুলে দেওয়া হয়। এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নিবন্ধন পরিদপ্তরের মহাপরিদর্শক ও সিনিয়র জেলা জজ খান মো. আব্দুল মান্নান দলিল হস্তান্তর করেন। তিন দিনের মধ্যে মূল দলিল হাতে পেয়ে বেশ খুশি গ্রহীতারা।
বাংলাদেশ রেজিস্ট্রেশন অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব এবং শ্যামপুরের সাবরেজিস্ট্রার শেখ কাওসার আহমেদ বলেন, ‘নানা কারণে মূল দলিল পেতে লোকজনের বছরের পর বছর ঘুরতে হয়। মূলত বালাম ও সূচি বই স্বল্পতা, জনবল সংকট এবং সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা না থাকার কারণে সেটা হচ্ছে। কিন্তু বর্তমান আইনমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে এসব সমস্যার বেশির ভাগই সমাধান হয়েছে। তিনি নিজে হস্তক্ষেপ করে দীর্ঘদিনের বালাম বই সংকট দূর করেছেন। যার কারণে মাত্র তিন দিনের মধ্যে সেবাপ্রার্থীদের মূল দলিল হস্তান্তর সম্ভব হয়েছে, যা শুধু নজিরবিহীনই নয়, এতে রেজিস্ট্রেশন বিভাগের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে।’
সরেজমিনে শ্যামপুর রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে হস্তান্তরের জন্য ১ থেকে ১০ নম্বর পর্যন্ত মোট ১০টি দলিল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। একইভাবে পল্লবী অফিসে পাঁচটি এবং ধানমণ্ডি অফিসে আটটি দলিল প্রস্তুত অবস্থায় পাওয়া যায়। এর মধ্যে নিবন্ধন মহাপরিদর্শক উপস্থিত গ্রহীতাদের হাতে ১২টি দলিল হস্তান্তর করেন।
কদমতলী থেকে আসা দলিল গ্রহীতা নুরুন্নাহার বেগম বলেন, ‘তিন দিনে মূল দলিল হাতে পাওয়া কল্পনাতীত ব্যাপার। এত অল্প সময়ের মধ্যে মূল দলিল ফেরত পাব সেটা কখনো চিন্তার মধ্যেও ছিল না। মনে হচ্ছে, বাংলাদেশ ইউরোপের মতো হয়ে যাচ্ছে।’
এত দ্রুত মূল দলিল ফেরত পাওয়ায় সেবাগ্রহীতাদের পাশাপাশি দলিল লেখক, ভেন্ডার ও নকলনবিশ সবাই খুশি। এতে রেজিস্ট্রি অফিসে কাজে গতি আসবে বলে তাঁরা মনে করছেন। একই সঙ্গে সেবা প্রার্থীদের মূল দলিল পাওয়ার জন্য জুতার তলি ক্ষয় করতে হবে না।
শ্যামপুর সাবরেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক আব্দুল লতিফ ভূঁইয়া বলেন, ‘নতুন অফিসে দলিল রেজিস্ট্রির কাজ করতে এসেই এক অভূতপূর্ব ঘটনা দেখলাম। ৭ তারিখে দলিল রেজিস্ট্রি শেষ করে ১১ তারিখে তা হস্তান্তর করা হয়েছে। ফলে রেজিস্ট্রি অফিস নিয়ে সাধারণ মানুষের মান্ধাতা আমলের ধ্যান-ধারণা বদলে যাচ্ছে।’
একাধিক সাবরেজিস্ট্রার জানান, মূলত বালাম এবং সূচি বই সময়মতো লেখা হয় না বলে মূল দলিল ফেরত দিতে সমস্যা হয়। মানুষের দলিল রেজিস্ট্রি অফিসে সংরক্ষণ করা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। ইচ্ছা করে কেউ দেরিতে দলিল ফেরত দেন না। এর জন্য পদ্ধতিগত সমস্যার পাশাপাশি বালাম বই সংকট কাজ করে। অনেক সময় নকলনবিশরা বালাম বই না লিখে অন্য কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন।
সঠিক সময়ে বালাম বইয়ে দলিল কপি করা হলে তিন-চার দিনের মধ্যে দেশের প্রতিটি সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে মূল দলিল হস্তান্তর করা যাবে বলেও জানান তারা।
গত ৭ আগস্ট আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক ওই তিনটি অফিস উদ্বোধন করে সাবরেজিস্ট্রারদের হয়রানির পরিবর্তে সেবা প্রদানের নির্দেশ দিয়ে বলেছিলেন, ন্যূনতম সময়ের মধ্যে গ্রহীতাদের হাতে মূল দলিল ফেরত দিতে হবে। সে নির্দেশ অনুযায়ী গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের হাতে রেজিস্ট্রীকৃত দলিল তুলে দেওয়া হয়। এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নিবন্ধন পরিদপ্তরের মহাপরিদর্শক ও সিনিয়র জেলা জজ খান মো. আব্দুল মান্নান দলিল হস্তান্তর করেন। তিন দিনের মধ্যে মূল দলিল হাতে পেয়ে বেশ খুশি গ্রহীতারা।
বাংলাদেশ রেজিস্ট্রেশন অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব এবং শ্যামপুরের সাবরেজিস্ট্রার শেখ কাওসার আহমেদ বলেন, ‘নানা কারণে মূল দলিল পেতে লোকজনের বছরের পর বছর ঘুরতে হয়। মূলত বালাম ও সূচি বই স্বল্পতা, জনবল সংকট এবং সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা না থাকার কারণে সেটা হচ্ছে। কিন্তু বর্তমান আইনমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে এসব সমস্যার বেশির ভাগই সমাধান হয়েছে। তিনি নিজে হস্তক্ষেপ করে দীর্ঘদিনের বালাম বই সংকট দূর করেছেন। যার কারণে মাত্র তিন দিনের মধ্যে সেবাপ্রার্থীদের মূল দলিল হস্তান্তর সম্ভব হয়েছে, যা শুধু নজিরবিহীনই নয়, এতে রেজিস্ট্রেশন বিভাগের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে।’
সরেজমিনে শ্যামপুর রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে হস্তান্তরের জন্য ১ থেকে ১০ নম্বর পর্যন্ত মোট ১০টি দলিল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। একইভাবে পল্লবী অফিসে পাঁচটি এবং ধানমণ্ডি অফিসে আটটি দলিল প্রস্তুত অবস্থায় পাওয়া যায়। এর মধ্যে নিবন্ধন মহাপরিদর্শক উপস্থিত গ্রহীতাদের হাতে ১২টি দলিল হস্তান্তর করেন।
কদমতলী থেকে আসা দলিল গ্রহীতা নুরুন্নাহার বেগম বলেন, ‘তিন দিনে মূল দলিল হাতে পাওয়া কল্পনাতীত ব্যাপার। এত অল্প সময়ের মধ্যে মূল দলিল ফেরত পাব সেটা কখনো চিন্তার মধ্যেও ছিল না। মনে হচ্ছে, বাংলাদেশ ইউরোপের মতো হয়ে যাচ্ছে।’
এত দ্রুত মূল দলিল ফেরত পাওয়ায় সেবাগ্রহীতাদের পাশাপাশি দলিল লেখক, ভেন্ডার ও নকলনবিশ সবাই খুশি। এতে রেজিস্ট্রি অফিসে কাজে গতি আসবে বলে তাঁরা মনে করছেন। একই সঙ্গে সেবা প্রার্থীদের মূল দলিল পাওয়ার জন্য জুতার তলি ক্ষয় করতে হবে না।
শ্যামপুর সাবরেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক আব্দুল লতিফ ভূঁইয়া বলেন, ‘নতুন অফিসে দলিল রেজিস্ট্রির কাজ করতে এসেই এক অভূতপূর্ব ঘটনা দেখলাম। ৭ তারিখে দলিল রেজিস্ট্রি শেষ করে ১১ তারিখে তা হস্তান্তর করা হয়েছে। ফলে রেজিস্ট্রি অফিস নিয়ে সাধারণ মানুষের মান্ধাতা আমলের ধ্যান-ধারণা বদলে যাচ্ছে।’
একাধিক সাবরেজিস্ট্রার জানান, মূলত বালাম এবং সূচি বই সময়মতো লেখা হয় না বলে মূল দলিল ফেরত দিতে সমস্যা হয়। মানুষের দলিল রেজিস্ট্রি অফিসে সংরক্ষণ করা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। ইচ্ছা করে কেউ দেরিতে দলিল ফেরত দেন না। এর জন্য পদ্ধতিগত সমস্যার পাশাপাশি বালাম বই সংকট কাজ করে। অনেক সময় নকলনবিশরা বালাম বই না লিখে অন্য কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন।
সঠিক সময়ে বালাম বইয়ে দলিল কপি করা হলে তিন-চার দিনের মধ্যে দেশের প্রতিটি সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে মূল দলিল হস্তান্তর করা যাবে বলেও জানান তারা।
খবর বিভাগঃ
বিশেষ খবর
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়