কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
মারাত্মক বিষধর সাপের বিষ মানুষের মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি বা মৃত্যুর কারণ
হতে পারে। তাই প্রত্যেকের মাঝেই সাপভীতি রয়েছে। সাপ দেখলেই অনেকের গা
শিরশির করে।
সাপ পৃথিবীর অন্যতম বিষাক্ত এবং ভয়ংকর প্রাণীর মধ্যে অন্যতম। কিন্তু আমাদের বাস্তুতন্ত্রের জন্য সাপের গুরত্ব অপরিসীম। বিরক্ত করা ছাড়া সাপ সাধারণত কোনো প্রাণীকেই আক্রমণ করে না। এরা শুধু আত্নরক্ষার জন্যই ছোবল মারে।
আজ থাকছে পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত ১০টি সাপ সম্পর্কে জানা-অজানা তথ্য.....
১. কিং কোবরা
ভূমিতে বসবাসকারী বিষাক্ত সাপের মধ্যে কোবরা অন্যতম। ফিলিপাইন কোবরার পর এরাই পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত সাপ। এর সাধারণত ৩.৫ মিটার থেকে ৫.৫ মিটার লম্বা হয়ে থাকে।
এরা বেশি ক্ষুধার্ত হলে বিষাক্ত সাপকেও এমনকি নিজের প্রজাতির সাপকেও হজম করে। এরা জংলি প্রজাতির এবং সাপের খাদক হিসেবে পরিচিত। এরা ছোবলের সময় যে কোনো সাপ থেকে বেশি বিষ নিক্ষেপ করে। স্ত্রী কিং কোবরা এর ডিমের চারপাশে বাসা বাঁধে। তবে কোবরার বাসার কাছাকাছি কিছু এলে এটি অস্বাভাবিক আক্রমণাত্নক আচরণ করে।
২. রাসেল ভাইপার
এটি খুবই রাগী সাপ। সম্ভবত অন্য যে কোনো বিষাক্ত সাপের চেয়ে এ সাপই মানুষের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে থাকে। এটি কুন্ডলী পাকিয়ে থাকে এবং প্রচন্ড বেগে শিকারকে ছোবল মারে। রাসেল ভাইপারের বিভিন্ন প্রজাতি রয়েছে। এরা সাধারণত ১ মিটার থেকে ১.৫ মিটার লম্বা হয়ে থাকে।
৩. ব্ল্যাক মাম্বা
ব্ল্যাক মাম্বা আফ্রিকার সবচেয়ে ভয়ংকর সাপ। এটি শুধু বিষাক্তই নয় প্রচন্ড আক্রমণাত্নকও। এর কামড় থেকে শিকারের বাঁচার সম্ভাবনা খুবই কম। এটি ভূমিতে বসবাসকারী সকল সাপ থেকে দ্রুত গতির এবং ঘন্টায় প্রায় ১৬ থেকে ১৯ কি.মি. যেতে পারে। এ প্রজাতির সাপগুলো প্রায় ৪.৩ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে।
৪. হাইড্রোফিলিস বেলচেরি
অনেকে ইনল্যান্ড তাইপানকে বিষাক্ত সাপ হিসেবে ধারণা করলেও প্রকৃতপক্ষে সবচেয়ে বিষাক্ত সাপ হল বেলচেরি। এটি ইনল্যান্ড তাইপানের চেয়েও প্রায় ১০০ গুন বেশি বিষাক্ত।
সমুদ্রে বসবাসকারী এ সাপটি ০.৫ মিটার থেকে ১ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। এর মাথা শরীর থেকে ছোট এবং এর পেছনে মাছের মত সাতারে সহায়ক লেজ রয়েছে। এ সাপটি একবার শ্বাস নিয়ে প্রায় ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা পানির নিচে ঘুরে বেড়াতে বা ঘুমাতে পারে। বিষাক্ত এ সাপটি খুবই ভদ্র স্বভাবের। এটি সাধারণত কাউকে কামড়ায় না। তবে বার বার একে বিরক্ত করলে এটি কামড় দিতে পারে। এর বিষাক্ত ছোবলে ১৫মিনিটের কম সময়েই মৃত্যু হতে পারে। মাত্র কয়েক মিলিগ্রাম বেলচেরির বিষ ১০০০ এর বেশি লোক বা ২৫ লক্ষ ইদুরকে মারার জন্য যথেষ্ট্য।
৫. তাইপান সর্প
ভয়ংকর প্রজাতির সাপগুলোর মধ্যে তাইপানও অন্যতম। এর বিষাক্ত ছোবলে একজন মানুষ সর্বোচ্চ এক ঘন্টা পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে।
তাইপান সর্প পরিবারের পাঁচটি উপ-প্রজাতির মধ্যে ইনল্যান্ড তাইপান অনেক বেশি বিষাক্ত। ইনল্যান্ড তাইপানের ক্ষেত্রে এক ছোবলে সবচেয়ে বেশি প্রায় ১১০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত বিষ নিক্ষিপ্ত হয়েছিল। এর কয়েক মিলিগ্রাম বিষ ১০০ লোক মারার জন্য যথেষ্ট। এ সাপগুলো ১.৮ মিটার থেকে ৩.৭ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে।
৬. ক্রেইট
এ সাপগুলো এশিয়ায় পাওয়া যায় এবং ৯০ সেন্টিমিটার থেকে ১.৫ মিটার লম্বা হয়। এরা যে কোনো সাধারণ কোবরা থেকে প্রায় ১৫গুন বেশি বিষাক্ত। দিনের বেলায় নিষ্ক্রিয় থাকলেও এরা রাতের বেলায় বের হয়। মানুষের শ্লিপিং বেগ, বুট বা তাবুর নিচে লুকানো এই সাপের একটি বড় অভ্যাস।
৭. ফিলিপাইন কোবরা
এরা প্রায় ১০০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। ক্রেইটের পরেই এরা সবচেয়ে বিষাক্ত প্রজাতির সাপ। শারীরিক অঙ্গভঙ্গির সাথে সবচেয়ে বেশি সাড়া দেয় বলে ফিলিপাইনের সবচেয়ে বিষাক্ত এ সাপগুলোকেও অনেকেই ভয় পায়। সকল কোবরার মত এরাও রেগে গেলে মাথার দুইপাশে হুড দেখা যায়।
৮. টম্মিগফ
এরাও প্রচন্ড রাগী ধরনের সাপ এবং সামান্য উত্তেজিত করলেই প্রচণ্ড জোরে ছোবল মারে। এ সাপের কামড়ে মানুষের মৃত্যুর হার খুবই বেশি। এর কামড়ে মানুষের দেহকোষ মারাত্নকভাবে ধ্বংস হতে থাকে যে শরীরে পঁচন দেখা দেয়। সাধারণত কৃষি জমি এবং খামার বাড়িতে এদের দেখা যায়। এরা গড়ে ১.৪ মিটার থেকে ২.৪ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে।
৯. মাল্টি-ব্র্যান্ডেড ক্রেইট
সাধারণ ক্রেইটের মত এরাও রাতের বেলা খুবই সক্রিয় হয়ে উঠে। এদেরকে সাধারণত জলাভূমিতে মাছ, ব্যঙ্গ বা অন্য সাপের সন্ধানে বের হতে দেখা যায়। এরা গড়ে ১.৮ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। চীন ও ফিজিতে এদের বেশি দেখা যায়।
১০. টাইগার স্নেক
টাইগার স্নেক তাদের শরীরে প্রচুর পরিমাণে বিষ তৈরি করতে পারে। এদেরকে শুষ্ক অঞ্চল, তৃণভূমি, জলাভূমি, মানববসতি সব জায়গায়ই দেখা যায়। এরা সাধারণত ১.২ মিটার থেকে ১.৮ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে।
সাপ পৃথিবীর অন্যতম বিষাক্ত এবং ভয়ংকর প্রাণীর মধ্যে অন্যতম। কিন্তু আমাদের বাস্তুতন্ত্রের জন্য সাপের গুরত্ব অপরিসীম। বিরক্ত করা ছাড়া সাপ সাধারণত কোনো প্রাণীকেই আক্রমণ করে না। এরা শুধু আত্নরক্ষার জন্যই ছোবল মারে।
আজ থাকছে পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত ১০টি সাপ সম্পর্কে জানা-অজানা তথ্য.....
১. কিং কোবরা
ভূমিতে বসবাসকারী বিষাক্ত সাপের মধ্যে কোবরা অন্যতম। ফিলিপাইন কোবরার পর এরাই পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত সাপ। এর সাধারণত ৩.৫ মিটার থেকে ৫.৫ মিটার লম্বা হয়ে থাকে।
এরা বেশি ক্ষুধার্ত হলে বিষাক্ত সাপকেও এমনকি নিজের প্রজাতির সাপকেও হজম করে। এরা জংলি প্রজাতির এবং সাপের খাদক হিসেবে পরিচিত। এরা ছোবলের সময় যে কোনো সাপ থেকে বেশি বিষ নিক্ষেপ করে। স্ত্রী কিং কোবরা এর ডিমের চারপাশে বাসা বাঁধে। তবে কোবরার বাসার কাছাকাছি কিছু এলে এটি অস্বাভাবিক আক্রমণাত্নক আচরণ করে।
২. রাসেল ভাইপার
এটি খুবই রাগী সাপ। সম্ভবত অন্য যে কোনো বিষাক্ত সাপের চেয়ে এ সাপই মানুষের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে থাকে। এটি কুন্ডলী পাকিয়ে থাকে এবং প্রচন্ড বেগে শিকারকে ছোবল মারে। রাসেল ভাইপারের বিভিন্ন প্রজাতি রয়েছে। এরা সাধারণত ১ মিটার থেকে ১.৫ মিটার লম্বা হয়ে থাকে।
৩. ব্ল্যাক মাম্বা
ব্ল্যাক মাম্বা আফ্রিকার সবচেয়ে ভয়ংকর সাপ। এটি শুধু বিষাক্তই নয় প্রচন্ড আক্রমণাত্নকও। এর কামড় থেকে শিকারের বাঁচার সম্ভাবনা খুবই কম। এটি ভূমিতে বসবাসকারী সকল সাপ থেকে দ্রুত গতির এবং ঘন্টায় প্রায় ১৬ থেকে ১৯ কি.মি. যেতে পারে। এ প্রজাতির সাপগুলো প্রায় ৪.৩ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে।
৪. হাইড্রোফিলিস বেলচেরি
অনেকে ইনল্যান্ড তাইপানকে বিষাক্ত সাপ হিসেবে ধারণা করলেও প্রকৃতপক্ষে সবচেয়ে বিষাক্ত সাপ হল বেলচেরি। এটি ইনল্যান্ড তাইপানের চেয়েও প্রায় ১০০ গুন বেশি বিষাক্ত।
সমুদ্রে বসবাসকারী এ সাপটি ০.৫ মিটার থেকে ১ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। এর মাথা শরীর থেকে ছোট এবং এর পেছনে মাছের মত সাতারে সহায়ক লেজ রয়েছে। এ সাপটি একবার শ্বাস নিয়ে প্রায় ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা পানির নিচে ঘুরে বেড়াতে বা ঘুমাতে পারে। বিষাক্ত এ সাপটি খুবই ভদ্র স্বভাবের। এটি সাধারণত কাউকে কামড়ায় না। তবে বার বার একে বিরক্ত করলে এটি কামড় দিতে পারে। এর বিষাক্ত ছোবলে ১৫মিনিটের কম সময়েই মৃত্যু হতে পারে। মাত্র কয়েক মিলিগ্রাম বেলচেরির বিষ ১০০০ এর বেশি লোক বা ২৫ লক্ষ ইদুরকে মারার জন্য যথেষ্ট্য।
৫. তাইপান সর্প
ভয়ংকর প্রজাতির সাপগুলোর মধ্যে তাইপানও অন্যতম। এর বিষাক্ত ছোবলে একজন মানুষ সর্বোচ্চ এক ঘন্টা পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে।
তাইপান সর্প পরিবারের পাঁচটি উপ-প্রজাতির মধ্যে ইনল্যান্ড তাইপান অনেক বেশি বিষাক্ত। ইনল্যান্ড তাইপানের ক্ষেত্রে এক ছোবলে সবচেয়ে বেশি প্রায় ১১০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত বিষ নিক্ষিপ্ত হয়েছিল। এর কয়েক মিলিগ্রাম বিষ ১০০ লোক মারার জন্য যথেষ্ট। এ সাপগুলো ১.৮ মিটার থেকে ৩.৭ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে।
৬. ক্রেইট
এ সাপগুলো এশিয়ায় পাওয়া যায় এবং ৯০ সেন্টিমিটার থেকে ১.৫ মিটার লম্বা হয়। এরা যে কোনো সাধারণ কোবরা থেকে প্রায় ১৫গুন বেশি বিষাক্ত। দিনের বেলায় নিষ্ক্রিয় থাকলেও এরা রাতের বেলায় বের হয়। মানুষের শ্লিপিং বেগ, বুট বা তাবুর নিচে লুকানো এই সাপের একটি বড় অভ্যাস।
৭. ফিলিপাইন কোবরা
এরা প্রায় ১০০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। ক্রেইটের পরেই এরা সবচেয়ে বিষাক্ত প্রজাতির সাপ। শারীরিক অঙ্গভঙ্গির সাথে সবচেয়ে বেশি সাড়া দেয় বলে ফিলিপাইনের সবচেয়ে বিষাক্ত এ সাপগুলোকেও অনেকেই ভয় পায়। সকল কোবরার মত এরাও রেগে গেলে মাথার দুইপাশে হুড দেখা যায়।
৮. টম্মিগফ
এরাও প্রচন্ড রাগী ধরনের সাপ এবং সামান্য উত্তেজিত করলেই প্রচণ্ড জোরে ছোবল মারে। এ সাপের কামড়ে মানুষের মৃত্যুর হার খুবই বেশি। এর কামড়ে মানুষের দেহকোষ মারাত্নকভাবে ধ্বংস হতে থাকে যে শরীরে পঁচন দেখা দেয়। সাধারণত কৃষি জমি এবং খামার বাড়িতে এদের দেখা যায়। এরা গড়ে ১.৪ মিটার থেকে ২.৪ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে।
৯. মাল্টি-ব্র্যান্ডেড ক্রেইট
সাধারণ ক্রেইটের মত এরাও রাতের বেলা খুবই সক্রিয় হয়ে উঠে। এদেরকে সাধারণত জলাভূমিতে মাছ, ব্যঙ্গ বা অন্য সাপের সন্ধানে বের হতে দেখা যায়। এরা গড়ে ১.৮ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। চীন ও ফিজিতে এদের বেশি দেখা যায়।
১০. টাইগার স্নেক
টাইগার স্নেক তাদের শরীরে প্রচুর পরিমাণে বিষ তৈরি করতে পারে। এদেরকে শুষ্ক অঞ্চল, তৃণভূমি, জলাভূমি, মানববসতি সব জায়গায়ই দেখা যায়। এরা সাধারণত ১.২ মিটার থেকে ১.৮ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে।
খবর বিভাগঃ
দেশের বাইরে
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়