Wednesday, August 17

স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর কিছু অভ‌্যাস

স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর কিছু অভ‌্যাস
কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: প্রতিদিন আমরা এমন কিছু কাজ করি যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। আর প্রতিনিয়ত করার ফলে এগুলো আমাদের অভ্যাসে পরিণত হয়। সচেতনতার অভাবে আমরা বুঝতেও পারি না যে এসব অভ্যাস স্বাস্থ্যকে ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে। কিন্তু একটু সচেতন হলেই এসব অভ্যাসকে ত্যাগ করে সুস্থ থাকা সম্ভব।

আজ এমন কয়েকটি ক্ষতিকর অভ্যাসের কথা তুলে ধরা হয়েছে যা আমাদের শরীরের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকর-

মাত্রাতিরিক্ত ঘুম
গভীর ঘুম স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত ঘুমালে তা আপনার শরীরে বিরূপ প্রভাব ফেলে। প্রতিদিন সাত থেকে ১০ ঘণ্টা ঘুমান উচিত। এর কমবেশি হলে তা শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। প্রতিরাতে নিয়ম করে একই সময়ে ঘুমাতে যান এবং সকালে একই সময়ে জেগে ওঠার অভ্যাস করুন।

একনাগাড়ে বসে থাকা
আপনি যদি চাকরিজীবী হন তাহলে কাজের জন্য দীর্ঘক্ষণ অফিসের চেয়ারে বসে থাকতে হতে পারে। প্রতিদিন একনাগাড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকাটা শরীরের জন্য খুব ক্ষতিকর। সুস্থ থাকতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই এই অভ্যাস বাদ দিতে হবে। একনাগাড়ে বসে না থেকে কাজে বিরতি নিয়ে হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। অফিস শেষে বাসায় গিয়েই টিভি দেখতে বসে পড়ার অভ্যাস থাকলে সেটাও দূর করতে হবে।

ভারী ব্যায়াম শুরুর আগে হালকা ব্যায়াম না করা
শরীর ফিট রাখতে প্রতিদিন নিয়ম করে দৌড়াচ্ছেন কিংবা জিমে ঢুকেই ভারী ব্যায়াম শুরু করে দেওয়া উচিত না। হালকা ব্যায়াম না করে এসব করবেন না। ওয়ার্মআপ বা হালকা ব্যায়ামের মাধ্যমে আগে শরীরের মাংসপেশিকে উজ্জীবিত করে নিন। তারপর ভারী ব্যায়াম শুরু করুন। এতে করে আপনার শরীরের রক্ত চলাচল প্রক্রিয়া স্বাভাবিক থাকবে এবং পরিশ্রম করার শক্তিও বেশি পাবেন। গবেষণায় দেখা গেছে, আগে হালকা ব্যায়াম করে নিলে ভারী ব্যায়াম করার সময় চোট পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়।

পর্যাপ্ত পানি পান না করা
প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করার চেয়ে ভালো অভ্যাস আর হতে পারে না। কিন্তু যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান না করেন, তাহলে শরীরকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান থেকে বঞ্চিত করছেন আপনি। পর্যাপ্ত পানি পান না করার অভ্যাস থাকলে এখনই তাকে বিদায় জানান। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, প্রতিদিন একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের কমপক্ষে আট গ্লাস পানি পান করা উচিত।

নখ কামড়ানো
নখ কামড়ানো যদি নিয়মিত অভ্যাস হয় তাহলে এতে নখ এবং চারপাশের ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। মুখগহ্বর থেকে জীবানু স্থানান্তরিত হতে পারে ত্বকে এমনকি ত্বক থেকে মুখেও অনুরূপ স্থানান্তরিত হতে পারে। নখের নিচে রোগ জীবানু যেতে পারে মুখে, হতে পারে মাড়ি ও গলদেশের সংক্রমণ।

চুল মোচড়ানো ও টানা
আঙ্গুল দিয়ে চুল মোচড়ানো, পেঁচানোর অভ্যাস হলে কালক্রমে চুলের গোড়ার অনেক ক্ষতি হয়। এতে কোনও কোনও স্থান চুলহীন হয়ে যেতে পারে। এমনকি হতে পারে সংক্রমণও।

বারবার মুখমন্ডল স্পর্শ করলে
বারবার মুখমন্ডল স্পর্শ করলে বা ব্রণ খোটালে ত্বকের উপরের স্তরের ক্ষতি হয়। এ থেকে রক্তক্ষরণ হলে ত্বকে স্থায়ী ক্ষত তৈরি হয়। তাই ব্রণ খোটা বা চুলকানো ঠিক নয়। বরং ওই স্থানে আলতোভাবে ক্রিম বা ময়শ্চারাইজার প্রয়োগ করা ভালো।

দাঁত কিড়মিড় করা
মানসিক চাপে দাঁত কিড়মিড় করা বা দাঁত জোরে ঘষা মুখের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। দাঁত কিড়মিড় করলে দাঁত চূর্ন হতে পারে বা দাঁতে ফাটল লাগতে পারে, তখন দাঁতের মেরামতি বা রুট ক্যানাল প্রয়োজন হতে পারে। চোয়ালের হাড়ের গিট ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়