কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
এমাজউদ্দীন আহমদের বক্তব্যকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
তার ব্যক্তিগত মতামত বললেও নেপথ্যে জামায়াতে ইসলামীকে ২০-দলীয় জোট থেকে
সরানোর জোর তৎপরতা চলছে দলটিতে। বিএনপি ও ২০-দলীয় জোটের নেতাদের অনেকে
মনে করছেন, দৃশ্যত জামায়াতকে জোটে না রাখার চিন্তা নিয়েই এগোচ্ছে বিএনপি।
এমাজউদ্দীন আহমদ গত মঙ্গলবার কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের এক মতবিনিময় সভায় বলেছিলেন, ‘দেশের যে অবস্থা, তাতে জাতীয় ঐক্য করতে একটি রাজনৈতিক দলই বড় প্রতিবন্ধকতা বলে মনে হয়। খালেদা জিয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ২০ দলের মধ্যে এই দলটিকে আর ওইভাবে রাখার কোনো প্রয়োজন নেই।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, বিএনপির নেওয়া জঙ্গিবাদবিরোধী ঐক্যের উদ্যোগ সফল হলে পরবর্তী ধাপে জামায়াতকে জোট থেকে সরানোর প্রক্রিয়া দৃশ্যমান হতে পারে। কিন্তু এমাজউদ্দীন আহমদ বিষয়টি আগাম বলে ফেলায় বিএনপি বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছে। এ সম্পর্কে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেছেন, ওই বক্তব্য এমাজউদ্দীন আহমদের একান্ত ব্যক্তিগত।
বিএনপির নেতারা প্রকাশ্যে এ বক্তব্য সমর্থন করেননি। আর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে জামায়াত। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় দাবি করেন, জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক যেখানে ছিল, সেখানেই আছে।
এমাজউদ্দীন আহমদ জামায়াতকে ছাড়ার পরামর্শ কি বুঝে দিয়েছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির নেতা বলেন, ‘তিনি বিএনপির শুভাকাঙ্ক্ষী, দলের কোনো পদে নেই। তাই ওনার বলতে তো সীমাবদ্ধতা নেই, যা আমাদের আছে।’ বিএনপি ও জামায়াতের বক্তব্যের পর এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে গতকাল সকালে মুঠোফোনে ও বিকেলে বাসায় এমাজউদ্দীন আহমদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তিনি কথা বলতে রাজি হননি।
জামায়াত বিএনপি জোটে থাকছে কি না, জানতে চাইলে জোটের আরেক শরিক বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ‘আমার মূল্যায়ন হচ্ছে, খালেদা জিয়া আমন্ত্রিত দলগুলোর সঙ্গে কথা বলার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।’
এদিকে জঙ্গিবাদ মোকাবিলা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে বাম প্রগতিশীল ও গণতন্ত্রমনা দলগুলোকে নিয়ে বিএনপি যে বৃহত্তর ঐক্য গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে, তার ফলাফল নিয়ে অস্পষ্টতা আছে বলে মনে করছে দলের একটি অংশ। তারা মনে করে, সরকার বিএনপিকে কোনোভাবেই বৃহত্তর ঐক্য গড়তে দেবে না। কারণ জামায়াতকে বাইরে রেখে এ ধরনের জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠায় সরকার চাপে পড়তে পারে। তখন খালেদা জিয়ার পাশে বি. চৌধুরী, কামাল হোসেন, আ স ম আবদুর রব, আবদুল কাদের সিদ্দিকী, মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা দাঁড়াবেন, তা কখনো হতে দেবে না সরকার।
জানা গেছে, জামায়াতকে বাইরে রেখে বিএনপির চলমান ঐক্য প্রচেষ্টা নিয়ে ২০-দলীয় জোটের শরিকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া আছে। শরিকদের অনেকে জামায়াতকে বাইরে রেখে ঐক্য প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার পক্ষপাতি। তবে তারা জামায়াতকে জোট থেকে বের করে দিতে চায় না।
এমাজউদ্দীন আহমদ গত মঙ্গলবার কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের এক মতবিনিময় সভায় বলেছিলেন, ‘দেশের যে অবস্থা, তাতে জাতীয় ঐক্য করতে একটি রাজনৈতিক দলই বড় প্রতিবন্ধকতা বলে মনে হয়। খালেদা জিয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ২০ দলের মধ্যে এই দলটিকে আর ওইভাবে রাখার কোনো প্রয়োজন নেই।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, বিএনপির নেওয়া জঙ্গিবাদবিরোধী ঐক্যের উদ্যোগ সফল হলে পরবর্তী ধাপে জামায়াতকে জোট থেকে সরানোর প্রক্রিয়া দৃশ্যমান হতে পারে। কিন্তু এমাজউদ্দীন আহমদ বিষয়টি আগাম বলে ফেলায় বিএনপি বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছে। এ সম্পর্কে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেছেন, ওই বক্তব্য এমাজউদ্দীন আহমদের একান্ত ব্যক্তিগত।
বিএনপির নেতারা প্রকাশ্যে এ বক্তব্য সমর্থন করেননি। আর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে জামায়াত। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় দাবি করেন, জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক যেখানে ছিল, সেখানেই আছে।
এমাজউদ্দীন আহমদ জামায়াতকে ছাড়ার পরামর্শ কি বুঝে দিয়েছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির নেতা বলেন, ‘তিনি বিএনপির শুভাকাঙ্ক্ষী, দলের কোনো পদে নেই। তাই ওনার বলতে তো সীমাবদ্ধতা নেই, যা আমাদের আছে।’ বিএনপি ও জামায়াতের বক্তব্যের পর এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে গতকাল সকালে মুঠোফোনে ও বিকেলে বাসায় এমাজউদ্দীন আহমদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তিনি কথা বলতে রাজি হননি।
জামায়াত বিএনপি জোটে থাকছে কি না, জানতে চাইলে জোটের আরেক শরিক বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ‘আমার মূল্যায়ন হচ্ছে, খালেদা জিয়া আমন্ত্রিত দলগুলোর সঙ্গে কথা বলার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।’
এদিকে জঙ্গিবাদ মোকাবিলা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে বাম প্রগতিশীল ও গণতন্ত্রমনা দলগুলোকে নিয়ে বিএনপি যে বৃহত্তর ঐক্য গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে, তার ফলাফল নিয়ে অস্পষ্টতা আছে বলে মনে করছে দলের একটি অংশ। তারা মনে করে, সরকার বিএনপিকে কোনোভাবেই বৃহত্তর ঐক্য গড়তে দেবে না। কারণ জামায়াতকে বাইরে রেখে এ ধরনের জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠায় সরকার চাপে পড়তে পারে। তখন খালেদা জিয়ার পাশে বি. চৌধুরী, কামাল হোসেন, আ স ম আবদুর রব, আবদুল কাদের সিদ্দিকী, মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা দাঁড়াবেন, তা কখনো হতে দেবে না সরকার।
জানা গেছে, জামায়াতকে বাইরে রেখে বিএনপির চলমান ঐক্য প্রচেষ্টা নিয়ে ২০-দলীয় জোটের শরিকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া আছে। শরিকদের অনেকে জামায়াতকে বাইরে রেখে ঐক্য প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার পক্ষপাতি। তবে তারা জামায়াতকে জোট থেকে বের করে দিতে চায় না।
খবর বিভাগঃ
রাজনীতি
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়