কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
জাতিসংঘের পরবর্তী মহাসিচব হিসেবে একজন নারীকে দেখতে চান বর্তমান মহাসচিব বান কি মুন। জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, একজন নারীকে জাতিসংঘের নেতৃত্ব দেয়া উচিত। জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ৭০ বছর আগে। এখন পর্যন্ত কোনো নারী মহাসচিব হননি।
বান কি মুন মহাসচিব হিসেবে তার দ্বিতীয় মেয়াদের শেষ প্রান্তে। তিনি বলেছেন, একজন নারীর জাতিসংঘের নেতৃত্ব দেয়ার উপযুক্ত সময় এসেছে। এই পদের আগে আট জন পুরুষ নেতৃত্ব দিয়েছেন।
মহাসচিবের পদের জন্য বর্তমানে ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারমধ্যে ছয় জন পুরুষ, পাঁচ জন নারী।
বান কি মুন জোর দিয়ে বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা তার নেই। নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের ভোটে মহাসচিব নির্বাচিত হবেন। তবে প্রার্থীকে অবশ্যই ১৯৩ সদস্যের সাধারণ পরিষদের সদস্যেরা সুপারিশ করতে হবে।
বান কি মুন বলেন, ‘জাতীয় সরকার, ব্যবসায় সংগঠন, রাজনৈতিক সংগঠন, সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশিষ্ট অনেক নারী নেত্রী রয়েছেন। অতএব জাতিসংঘের নেতৃত্বে না থাকার কোনো কারণ নেই।’
কারো নাম প্রকাশ না করে বান কি মুন বলেন, অনেক বিশিষ্ট ও যোগ্য নেত্রী আছেন যারা আসলেই বিশ্ব পরিবর্তনে ভূমিকা রাখতে পারেন। বিশ্বের অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে পারবেন। তাই আমার আন্তরিক পরামর্শ কোনো নারীকে মহাসচিব নির্বাচিত করা হোক। যদিও এটি সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ওপর নির্ভর করে।’
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালফোর্নিয়ার নভাতোতে ৯৯ বছর বয়সী নারী লাবিবা প্যাটারসনের সঙ্গে দেখা করা পর বান কি মুন এসব কথা বলেন। ১৮ বছর বয়সে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে যখন তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশুনা করতে আসেন তখন তিনি এই বৃদ্ধার বাড়িতেই ছিলেন।
প্রথম বারের মতো সাধারণ পরিষদে মহাসচিব প্রার্থীদের গণশুনানির বিষয়টির প্রশংসা করে বান কি মুন।
ঐতিহ্যগতভাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে থেকে পর্যায়ক্রমে জাতিসংঘের মহাসচিব নির্বাচিত করা হয়। এশিয়া, আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা বং পূর্ব ইউরোপ থেকে ইতিমধ্যে জাতিসংঘ মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন। রাশিয়াসহ পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত এসব অঞ্চলের দেশগুলো থেকে মহাসচিব নির্বাচিত হয়নি। এবার তাদের পালা। ৫৬টি দেশের একটি গ্রুপ জাতিসংঘের প্রথম মহাসচিব হিসেবে একজন নারীকে নির্বাচিত করার জন্য ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা পরবর্তী মহাসচিব নির্বাচনের লক্ষ্যে দুটি ‘স্ট্র পোল’ বা অনানুষ্ঠানিক ভোটে অংশ নিয়েছে। এতে ১২ জন প্রার্থী অংশ নেয়। দুটি ভোটেই সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে প্রথম হয়েছেন পর্তুগালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও গুতিরেস।
নিরাপত্তা পরিষদের প্রথম ভোটে তৃতীয় হয়েছিলেন ইউনেস্কোর প্রধান বুলগেরিয়ার ইরিনা বকোভা। তব তিনি দ্বিতীয় ভোটে পঞ্চম স্থানে চলে যান। আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্র মন্ত্রী সুসানা মালকোরা দ্বিতীয় ভোটে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন। দ্বিতীয় ভোটের সর্বশেষ স্থান অর্জন করায় ক্রোয়েশিয়ার ভেসনা পুসিচ নির্বাচন থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এখন মহাসচিব পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ১১ জন। নিরাপত্তা পরিষদের পরবর্তী স্ট্র পোল অনুষ্ঠিত হবে ২৯ আগস্ট। সূত্র: আল-জাজিরা।
খবর বিভাগঃ
দেশের বাইরে
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়