কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: কোন
কিছু অর্জনের চাইতে সেটা যেমন রক্ষা করা কঠিন, ঠিক তেমনি সন্তানকে পৃথিবীর
আলো দেখানোর চাইতেও কঠিন তাকে সুস্থভাবে, সুন্দরভাবে বড় করে তোলা। সেটা
কেবল পৃথিবীতে আসবার পরেই নয়, এর আগে গর্ভকালীন সময়েও।
অনেক সময় খুব ছোটছোট কারণেই হয়ে যেতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভপাত, সন্তানের নানারকম সমস্যাসহ আরো অনেক ঝামেলাপূর্ণ ঘটনা। তবে অন্যান্য সময়ের মতন এ সময়েও কোন একটি দূর্ঘটনা ঘটতে চলার আগেই আমাদের শরীর ইঙ্গিত দেয় নানাভাবে, জানান দিতে চায় আসতে যাওয়া সমস্যাকে।
কিন্তু অনভিজ্ঞতার ফলে সেসব ভুলে যায় বা এড়িয়ে যায় অনেকেই। ফলে দেখা দেয় গর্ভকালীন সমস্যা। চলুন এক নজরে দেখে আসি গর্ভকালীন সমস্যা ও এর শারীরিক চিহ্নগুলোকে।
রক্তপাত: গর্ভকালীন সময়ে যে কোন ধরনের রক্তপাতই হতে পারে মায়ের স্বাস্থের জন্যে বিপদজনক। এক্ষেত্রে সবক্ষেত্রেই মাকে সাথে সাথে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে আসা উচিত। এসময় অতিরিক্ত ও ভারী রক্তপাত দ্বারা অনেকগুলো চিহ্ন প্রকাশ করে শরীর। জরায়ু ছাড়া অন্যকোন স্থানে ডিম্বানুর অবস্থান, ছোটখাটো আভ্যন্তরীন ঝামেলাসহ গর্ভপাত অব্দি হয়ে যেতে পারে এই সামান্য একটি কারণে।
অতিরিক্ত বমিভাব: সামান্য একটু বমিভাব বা না খেতে চাওয়ার প্রবণতা এসময় মায়েরদের ভেতরে থাকতেই পারে। তবে সেটারও একটা সীমা থাকে। আর তাই খেয়াল করুন ঠিক কতটা বেশি পানি বা খাবার-দাবার না খাওয়ার পরিমাণ প্রকাশ করছে আপনার শরীর। যদি পরিমাণ বেশি হয় তাহলে খুব দ্রুত চিকিৎসকের কাছে চলে যান। অন্যথায় পরিমাণমতন খাবার কিংবা পানির অভাবে দেখা দেবে নানারকম বড় ধরনের সমস্যা।
বাচ্চার কম নড়াচড়া: গর্ভকালীন সময়ে বাচ্চা কতটা নড়বে সেটার কোন নির্দিষ্ট পরিমাপ না থাকলেও একেবারেই কম গতিবিধি বা কার্যক্রম হতে পারে সমস্যার কারণ। এক্ষেত্রে বাচ্চা ঠিকঠাক আছে কিনা সেটা বঝতে প্রথমে খানিকটা ঠান্ডা খাবার বা পানি পান করুন। তারপর শুয়ে পড়ুন বিছানায়। যদি সে পেটে লাথি মারে তাহলে বুঝতে হবে সবকিছু ঠিক আছে। চিকিৎসকদের মতে, দু ঘন্টায় কমপক্ষে ১০ বার লাথি মারলে বাচ্চাকে সুস্থ বলে মনে করা যায়। তবে এর কম-বেশিও হতে পারে ক্ষেত্রবিশেষে। তবে ১০ বারের কম হলে চিকিৎসকের কাছে একবার চলে যাওয়াটাই ভালো।
অতিরিক্ত ঘাম: গর্ভকালীন সময়ে ঘেমে যাওয়া খুব স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। এটা নির্ভর করবে ঠিক কতখানি তরল আপনি পান করছেন আর লবন শরীরে নিচ্ছেন। তবে তারপরেও যদি হঠাৎ করে মাথাব্যথাসহ অতিরিক্ত ঘেমে যায় আপনার শরীর, বিশেষ করে ২৮ তম সপ্তাহের দিকে হাত, পা ও পায়ের পাতা অতিরিক্ত ঘামে তাহলে চিকিৎসককে ডাকুন। এটি প্রিকাম্পশিয়া, একটি অত্যন্ত বিপদজনক উচ্চরক্তচাপসহ অবস্থার ইঙ্গিত দেয়।
এছাড়াও গর্ভকালীন সময়ে হওয়া-
ক. দৃষ্টিশক্তিসংক্রান্ত সমস্যা
খ. প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া ও অতিরিক্ত প্রস্রাব
গ. ২৪ ঘন্টার বেশি শরীরের তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রীর বেশি থাকা
ঘ. ডায়রিয়সহ পেটের যেকোন পীড়া ইত্যাদির ভেতরে কোন একটা সমস্যা দেখা গেলেও সাথে সাথে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন। কারণ এর যেকোন একটা চিহ্ন আপনার গর্ভের সন্তানের জন্যে হতে পারে প্রচন্ড রকম বিপদজনক।
অনেক সময় খুব ছোটছোট কারণেই হয়ে যেতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভপাত, সন্তানের নানারকম সমস্যাসহ আরো অনেক ঝামেলাপূর্ণ ঘটনা। তবে অন্যান্য সময়ের মতন এ সময়েও কোন একটি দূর্ঘটনা ঘটতে চলার আগেই আমাদের শরীর ইঙ্গিত দেয় নানাভাবে, জানান দিতে চায় আসতে যাওয়া সমস্যাকে।
কিন্তু অনভিজ্ঞতার ফলে সেসব ভুলে যায় বা এড়িয়ে যায় অনেকেই। ফলে দেখা দেয় গর্ভকালীন সমস্যা। চলুন এক নজরে দেখে আসি গর্ভকালীন সমস্যা ও এর শারীরিক চিহ্নগুলোকে।
রক্তপাত: গর্ভকালীন সময়ে যে কোন ধরনের রক্তপাতই হতে পারে মায়ের স্বাস্থের জন্যে বিপদজনক। এক্ষেত্রে সবক্ষেত্রেই মাকে সাথে সাথে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে আসা উচিত। এসময় অতিরিক্ত ও ভারী রক্তপাত দ্বারা অনেকগুলো চিহ্ন প্রকাশ করে শরীর। জরায়ু ছাড়া অন্যকোন স্থানে ডিম্বানুর অবস্থান, ছোটখাটো আভ্যন্তরীন ঝামেলাসহ গর্ভপাত অব্দি হয়ে যেতে পারে এই সামান্য একটি কারণে।
অতিরিক্ত বমিভাব: সামান্য একটু বমিভাব বা না খেতে চাওয়ার প্রবণতা এসময় মায়েরদের ভেতরে থাকতেই পারে। তবে সেটারও একটা সীমা থাকে। আর তাই খেয়াল করুন ঠিক কতটা বেশি পানি বা খাবার-দাবার না খাওয়ার পরিমাণ প্রকাশ করছে আপনার শরীর। যদি পরিমাণ বেশি হয় তাহলে খুব দ্রুত চিকিৎসকের কাছে চলে যান। অন্যথায় পরিমাণমতন খাবার কিংবা পানির অভাবে দেখা দেবে নানারকম বড় ধরনের সমস্যা।
বাচ্চার কম নড়াচড়া: গর্ভকালীন সময়ে বাচ্চা কতটা নড়বে সেটার কোন নির্দিষ্ট পরিমাপ না থাকলেও একেবারেই কম গতিবিধি বা কার্যক্রম হতে পারে সমস্যার কারণ। এক্ষেত্রে বাচ্চা ঠিকঠাক আছে কিনা সেটা বঝতে প্রথমে খানিকটা ঠান্ডা খাবার বা পানি পান করুন। তারপর শুয়ে পড়ুন বিছানায়। যদি সে পেটে লাথি মারে তাহলে বুঝতে হবে সবকিছু ঠিক আছে। চিকিৎসকদের মতে, দু ঘন্টায় কমপক্ষে ১০ বার লাথি মারলে বাচ্চাকে সুস্থ বলে মনে করা যায়। তবে এর কম-বেশিও হতে পারে ক্ষেত্রবিশেষে। তবে ১০ বারের কম হলে চিকিৎসকের কাছে একবার চলে যাওয়াটাই ভালো।
অতিরিক্ত ঘাম: গর্ভকালীন সময়ে ঘেমে যাওয়া খুব স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। এটা নির্ভর করবে ঠিক কতখানি তরল আপনি পান করছেন আর লবন শরীরে নিচ্ছেন। তবে তারপরেও যদি হঠাৎ করে মাথাব্যথাসহ অতিরিক্ত ঘেমে যায় আপনার শরীর, বিশেষ করে ২৮ তম সপ্তাহের দিকে হাত, পা ও পায়ের পাতা অতিরিক্ত ঘামে তাহলে চিকিৎসককে ডাকুন। এটি প্রিকাম্পশিয়া, একটি অত্যন্ত বিপদজনক উচ্চরক্তচাপসহ অবস্থার ইঙ্গিত দেয়।
এছাড়াও গর্ভকালীন সময়ে হওয়া-
ক. দৃষ্টিশক্তিসংক্রান্ত সমস্যা
খ. প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া ও অতিরিক্ত প্রস্রাব
গ. ২৪ ঘন্টার বেশি শরীরের তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রীর বেশি থাকা
ঘ. ডায়রিয়সহ পেটের যেকোন পীড়া ইত্যাদির ভেতরে কোন একটা সমস্যা দেখা গেলেও সাথে সাথে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন। কারণ এর যেকোন একটা চিহ্ন আপনার গর্ভের সন্তানের জন্যে হতে পারে প্রচন্ড রকম বিপদজনক।
খবর বিভাগঃ
স্বাস্থ্য
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়