কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
প্রাকৃতিক নিসর্গের মধ্যে হাওড়ের নান্দনিকতাটা মনে হয় একটু বেশিই থাকে। আর
হাওড়গুলোর মধ্যে টাঙ্গুয়ার হাওড়ের প্রাকৃতিক পরিবেশ বাংলাদেশের অন্য সকল
জলাভূমির চেয়ে অনেক বেশি সুন্দর। মেঘালয়ের কোল ঘেঁষে এই হাওড়ের জন্ম।
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা ও তাহেরপুর উপজেলায় এই হাওড়টি অবস্থিত।
মেঘালয়ের সুবিশাল ও বিস্তৃত পাহাড়ের হাজারো ছড়া ও বেশ কিছু ঝর্ণা হল টাঙ্গুয়ার হাওড়ের পানির উৎস। শীতকালে এই হাওরে অনেক কান্দা বা পাড় জেগে উঠে। পুরো হাওর অনেকগুলি বিলে ভাগ হয়ে যায়। তখন শুধু বিলেই পানি থাকে। তবে বর্ষাকালে এই হাওড় যেন এক বিশাল সমুদ্র।
আর সেই সমুদ্রের উত্তর পাড়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে ভারতের মেঘালয়ের বিশাল পাহাড়। শীতকালে এখানে প্রচুর পরিযায়ী পাখি ভিড় জমায়। রয়েছে অনেকপাখিও। নিয়মিত দেখা যায় পানকৌড়ি, বেগুনি কালেম, বালিহাঁস, শঙ্খচিল, বিভিন্ন প্রজাতির বক, সারস, পাতি কুট, সরালি হাঁস, ডাহুক ইত্যাদি। এছাড়া অন্যান্য বন্যপ্রানী ও জীববৈচিত্রে টাঙ্গুয়ার হাওড় সমৃদ্ধ। টাঙ্গুয়ার হাওড় স্থানীয় ভাষায় টাঙ্গুয়াকে বলা হয়- নয় কুড়ি কান্দা, ছয় কুড়ি বিল। বিশ্বের এক হাজার ৩১টি রামসার সাইটের মধ্যে টাঙ্গুয়া বাংলাদেশের দ্বিতীয় রামসার সাইট। এ হাওর শুধু একটি জলমহাল বা মাছ প্রতিপালন, সংরক্ষণ ও আহরণেরই স্থান নয়। এটি একটি মাদার ফিশারী। এর একদিকে মেঘালয় পাহাড়।
বাকি তিনদিকে দুইটি উপজেলা তাহিরপুর ও র্ধমপাশা। ভারতের মেঘালয়ের খাসিয়া, জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে সারি সারি হিজল-করচ শোভিত, পাখিদের কলকাকলি মুখরিত টাঙ্গুয়ার হাওর মাছ, পাখি এবং অন্যান্য জলজ প্রাণীর এক বিশাল অভয়াশ্রম।
৫১ টি বিল আর ৮৮ টি গ্রাম বেষ্টিত টাঙ্গুয়ার হাওড়ের আয়তন বর্ষায় ও হেমন্তে বাড়ে-কমে। হাওরের দৈর্ঘ্য ১১ কিলোমিটার এবং প্রস্থ সাত কিলোমিটার। বর্ষায় এর আয়তন দাঁড়ায় ২০ হাজার একরের বেশি আর হেমন্তে সাত হাজার একর। টাঙ্গুয়ার হাওড় প্রকৃতির এক অকৃপণ দানে সমৃদ্ধ। দৃষ্টিনন্দন সারি সারি হিজল ও করচ বন হাওড়কে আকর্ষণীয় করে তুলেছে। এ ছাড়াও নলখাগড়া, দুধিলতা, নীল শাপলা, পানিফল, শোলা, হেলেঞ্চা, শতমূলি, শীতলপাটি, স্বর্ণলতা, বনতুলসী ইত্যাদি সহ দুশ প্রজাতিরও বেশী গাছগাছালী। এই হাওড়কে প্রকৃতি তার অপরূপ রূপে সাজিয়েছে।
সুনামগঞ্জের সাহেববাজার ঘাট থেকে ইঞ্জিন নৌকা চারপাশের চৌহদ্দি ছাড়ানো সবুজ দেখে আপনি ভুল করে ভেবে বসতে পারেন যে নিউজিল্যান্ডের কোথাও আছেন। মনে হবে যেন সুরমা নদীর ওপারেই মেঘালয়ের পাহাড় মেঘ কোলে নিয়ে অতিথির জন্য বসে আছে।চোখের সামনে ঠিক যেন নিউজিল্যান্ডের ডেইরি ফার্মের গরুগুলো ঘাস খাচ্ছে। তাদের পেছনে বাঁক খেয়ে উঠে গেছে পাহাড়ের দেয়াল। যত দূর চোখ যায়, সবুজের মখমল। নিচে নীলচে পানি, পানির নিচে শেওলার অস্তিত্ব পরিষ্কার বোঝা যায়। নলখাগড়ার ডগা ভেসে ভেসে ঢেউয়ের দোলায় নাচে হাওড়জুড়ে।
যাওয়ার পথে আনোয়ার পুর গ্রামে দেখা পাবেন পাথরের স্তূপের। এখানে পাথর ভাঙা হয়, হলদে বালির বিছানায় শুয়ে শুয়ে পাথরগুলো রোদ পোহাচ্ছে। যতই সময় যাবে, ধীরে ধীরে রং বদলে যাবে পানির। নীল থেকে কালো, কালো থেকে সবুজ, আবার গাঢ় নীল। এভাবে প্রায় ছয় ঘণ্টা পর টাঙ্গুয়া হাওড়ে পৌঁছা যায়। বর্ষা মৌসুমে গোটা টাঙ্গুয়ার পরিণত হয় ২০ থেকে ২৫ ফুট জলের এক স্বচ্ছ অ্যাকুরিয়ামে। হঠাৎ করে কেউ দেখলে নির্দ্বিধায় বঙ্গোপসাগর ভেবে ভুল করবে। এই সেই টাঙ্গুয়ার হাওড়, যেখানে জল আকাশের রং চুরি করে নীলের ভুবন সাজিয়েছে।
মেঘমালা অনেক নিচ দিয়ে উড়ে যাওয়র সময়, দূর থেকে দেখে মনে হবে পানিতে বুঝি তুলোর ভেলা ভাসছে। সীমাহীন এই হাওড়ে বর্ষাকালে চলে বিশাল ঢেউয়ের রাজত্ব। পানি এতই পরিষ্কার যে ২০ ফুট নিচের ঘাস, গাছ, লতাগুলো মনে হয় অ্যাকুরিয়ামে সাজানো। অচেনা এক পৃথিবী মনে হয় যখন দেখি কোনো রকম ভেলা বা জাহাজ ছাড়াই থইথই পানিতে পইপই ভাসছে ছোট ছোট গ্রাম।পুরো হাওড় গাছের সীমানা দিয়ে ঘেরা।
সেই গাছও মাথাটুকু বাদে ডুবে আছে নীলের সমুদ্রে। এখানে বাতাস কখনো ক্লান্ত হয় না, এখানে আকাশের নিচে সাদা মেঘের বুক চিরে দাঁড়িয়ে আছে কচি পাহাড়, আর সেই পাহাড়ের কোলে নাচে উদ্দাম, উত্তাল, দুরন্ত সবুজ জ্যাকেট পরা নীল পানি, হাওড়ের পানি।
আরও দেখতে পারেন মেঘালয় ও জাদুকাটা নদী:
হাওড় ছাড়াও মেঘালয়ের প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো অত্যন্ত মনোরোম ও সুন্দর দৃশ্যগুলির মধ্যে অন্যতম। মেঘালয় অর্থাৎ মেঘের বাড়ি নামটি আসলেই যথার্থ। সারাক্ষণ মেঘ এখানে খেলা করে। মুহুর্তে মুহুর্তে পরিবর্তন হয় তার রপ। কখনো কালো মেঘে পাহাড় ঢাকা তুমুল বৃষ্টি একটু পর আবার সব পরিষ্কার। সাদা মেঘ পাহাড় চূড়াগুলিতে সারাক্ষণই নেচে বেড়ায়। জাদুকাটা নদীর বালুর সৈকত যেন প্রকৃতির আরেক মোহনীয় রূপ। চিক চিক হলুদ বালুর সাথে পরিষ্কার নীলচে পানির মিলন প্রকৃতিকে সাজিয়েছে অপরূপ সাজে। জাদুকাটা নদীর পানি খুবই আরামদায়ক ঠাণ্ডা ও শীতল। পানিতে নামলেই সুখের পরশে গা জুড়িয়ে যায়।
কীভাবে যাবেন ও কোথায় থাকবেন:
ঢাকা থেকে যেকোনো পরিবহনের বাসে চড়ে সুনামগঞ্জ শহরে যাবেন। তারপর সুনামগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে সাহেববাজার ঘাট পর্যন্ত রিকশায় চড়ে। সেখান থেকে টাঙ্গুয়া হাওরের উদ্দেশ্যে ইঞ্জিনচালিত নৌকা ভাড়া করবেন, প্রতিদিনের জন্য ইঞ্জিন বোটে খরচ হয় আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার টাকা খরচ রাখে। চাইলে স্পীড বোডেও যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে ভাড়া একটু বেশি গুনতে হবে।
হাওড়ে যেতে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টার মতো সময় লাগবে। দুই থেকে তিন দিনের জন্য নৌকা ভাড়া করলে প্রয়োজনীয় বাজার সদাই করে নেবেন। সঙ্গে তেমন কিছুই নিতে হবে না, তবে লাইফ জ্যাকেট থাকলে নিয়ে নিতে পারেন। হাওড় ঘুরে রাতটা তাহিরপুর থানার ডাকবাংলোতে থাকতে পারেন। এছাড়াও সরকারি ব্যবস্থাপনায় তাহিরপুর থেকে তিনি কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে টেকেরঘাট চুনাপাথর খনি প্রকল্পের রেস্ট হাউজে অবস্থান করতে পারেন।
এছাড়া সুনামগঞ্জ থেকে সড়কপথে তাহেরপুর গিয়ে সেখান থেকে নৌকা ভাড়া করেও টাঙ্গুয়ার হাওর যাওয়া যায়। তবে শীতকালে ও শুষ্ক মৌসুমে সাহেব বাড়ি খেয়া ঘাট পার হয়ে অপর পার থেকে প্রথমে মোটর সাইকেল যোগে ঘণ্টা দুয়েকের পথ পারি দিয়ে শ্রীপুর বাজার অথবা ডাম্পের বাজার যেতে হয়। সেখান থেকে ভাড়াটে নৌকা যোগে টাঙ্গুয়ার হাওড় যাওয়া যায়।
মেঘালয়ের সুবিশাল ও বিস্তৃত পাহাড়ের হাজারো ছড়া ও বেশ কিছু ঝর্ণা হল টাঙ্গুয়ার হাওড়ের পানির উৎস। শীতকালে এই হাওরে অনেক কান্দা বা পাড় জেগে উঠে। পুরো হাওর অনেকগুলি বিলে ভাগ হয়ে যায়। তখন শুধু বিলেই পানি থাকে। তবে বর্ষাকালে এই হাওড় যেন এক বিশাল সমুদ্র।
আর সেই সমুদ্রের উত্তর পাড়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে ভারতের মেঘালয়ের বিশাল পাহাড়। শীতকালে এখানে প্রচুর পরিযায়ী পাখি ভিড় জমায়। রয়েছে অনেকপাখিও। নিয়মিত দেখা যায় পানকৌড়ি, বেগুনি কালেম, বালিহাঁস, শঙ্খচিল, বিভিন্ন প্রজাতির বক, সারস, পাতি কুট, সরালি হাঁস, ডাহুক ইত্যাদি। এছাড়া অন্যান্য বন্যপ্রানী ও জীববৈচিত্রে টাঙ্গুয়ার হাওড় সমৃদ্ধ। টাঙ্গুয়ার হাওড় স্থানীয় ভাষায় টাঙ্গুয়াকে বলা হয়- নয় কুড়ি কান্দা, ছয় কুড়ি বিল। বিশ্বের এক হাজার ৩১টি রামসার সাইটের মধ্যে টাঙ্গুয়া বাংলাদেশের দ্বিতীয় রামসার সাইট। এ হাওর শুধু একটি জলমহাল বা মাছ প্রতিপালন, সংরক্ষণ ও আহরণেরই স্থান নয়। এটি একটি মাদার ফিশারী। এর একদিকে মেঘালয় পাহাড়।
বাকি তিনদিকে দুইটি উপজেলা তাহিরপুর ও র্ধমপাশা। ভারতের মেঘালয়ের খাসিয়া, জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে সারি সারি হিজল-করচ শোভিত, পাখিদের কলকাকলি মুখরিত টাঙ্গুয়ার হাওর মাছ, পাখি এবং অন্যান্য জলজ প্রাণীর এক বিশাল অভয়াশ্রম।
৫১ টি বিল আর ৮৮ টি গ্রাম বেষ্টিত টাঙ্গুয়ার হাওড়ের আয়তন বর্ষায় ও হেমন্তে বাড়ে-কমে। হাওরের দৈর্ঘ্য ১১ কিলোমিটার এবং প্রস্থ সাত কিলোমিটার। বর্ষায় এর আয়তন দাঁড়ায় ২০ হাজার একরের বেশি আর হেমন্তে সাত হাজার একর। টাঙ্গুয়ার হাওড় প্রকৃতির এক অকৃপণ দানে সমৃদ্ধ। দৃষ্টিনন্দন সারি সারি হিজল ও করচ বন হাওড়কে আকর্ষণীয় করে তুলেছে। এ ছাড়াও নলখাগড়া, দুধিলতা, নীল শাপলা, পানিফল, শোলা, হেলেঞ্চা, শতমূলি, শীতলপাটি, স্বর্ণলতা, বনতুলসী ইত্যাদি সহ দুশ প্রজাতিরও বেশী গাছগাছালী। এই হাওড়কে প্রকৃতি তার অপরূপ রূপে সাজিয়েছে।
সুনামগঞ্জের সাহেববাজার ঘাট থেকে ইঞ্জিন নৌকা চারপাশের চৌহদ্দি ছাড়ানো সবুজ দেখে আপনি ভুল করে ভেবে বসতে পারেন যে নিউজিল্যান্ডের কোথাও আছেন। মনে হবে যেন সুরমা নদীর ওপারেই মেঘালয়ের পাহাড় মেঘ কোলে নিয়ে অতিথির জন্য বসে আছে।চোখের সামনে ঠিক যেন নিউজিল্যান্ডের ডেইরি ফার্মের গরুগুলো ঘাস খাচ্ছে। তাদের পেছনে বাঁক খেয়ে উঠে গেছে পাহাড়ের দেয়াল। যত দূর চোখ যায়, সবুজের মখমল। নিচে নীলচে পানি, পানির নিচে শেওলার অস্তিত্ব পরিষ্কার বোঝা যায়। নলখাগড়ার ডগা ভেসে ভেসে ঢেউয়ের দোলায় নাচে হাওড়জুড়ে।
যাওয়ার পথে আনোয়ার পুর গ্রামে দেখা পাবেন পাথরের স্তূপের। এখানে পাথর ভাঙা হয়, হলদে বালির বিছানায় শুয়ে শুয়ে পাথরগুলো রোদ পোহাচ্ছে। যতই সময় যাবে, ধীরে ধীরে রং বদলে যাবে পানির। নীল থেকে কালো, কালো থেকে সবুজ, আবার গাঢ় নীল। এভাবে প্রায় ছয় ঘণ্টা পর টাঙ্গুয়া হাওড়ে পৌঁছা যায়। বর্ষা মৌসুমে গোটা টাঙ্গুয়ার পরিণত হয় ২০ থেকে ২৫ ফুট জলের এক স্বচ্ছ অ্যাকুরিয়ামে। হঠাৎ করে কেউ দেখলে নির্দ্বিধায় বঙ্গোপসাগর ভেবে ভুল করবে। এই সেই টাঙ্গুয়ার হাওড়, যেখানে জল আকাশের রং চুরি করে নীলের ভুবন সাজিয়েছে।
মেঘমালা অনেক নিচ দিয়ে উড়ে যাওয়র সময়, দূর থেকে দেখে মনে হবে পানিতে বুঝি তুলোর ভেলা ভাসছে। সীমাহীন এই হাওড়ে বর্ষাকালে চলে বিশাল ঢেউয়ের রাজত্ব। পানি এতই পরিষ্কার যে ২০ ফুট নিচের ঘাস, গাছ, লতাগুলো মনে হয় অ্যাকুরিয়ামে সাজানো। অচেনা এক পৃথিবী মনে হয় যখন দেখি কোনো রকম ভেলা বা জাহাজ ছাড়াই থইথই পানিতে পইপই ভাসছে ছোট ছোট গ্রাম।পুরো হাওড় গাছের সীমানা দিয়ে ঘেরা।
সেই গাছও মাথাটুকু বাদে ডুবে আছে নীলের সমুদ্রে। এখানে বাতাস কখনো ক্লান্ত হয় না, এখানে আকাশের নিচে সাদা মেঘের বুক চিরে দাঁড়িয়ে আছে কচি পাহাড়, আর সেই পাহাড়ের কোলে নাচে উদ্দাম, উত্তাল, দুরন্ত সবুজ জ্যাকেট পরা নীল পানি, হাওড়ের পানি।
আরও দেখতে পারেন মেঘালয় ও জাদুকাটা নদী:
হাওড় ছাড়াও মেঘালয়ের প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো অত্যন্ত মনোরোম ও সুন্দর দৃশ্যগুলির মধ্যে অন্যতম। মেঘালয় অর্থাৎ মেঘের বাড়ি নামটি আসলেই যথার্থ। সারাক্ষণ মেঘ এখানে খেলা করে। মুহুর্তে মুহুর্তে পরিবর্তন হয় তার রপ। কখনো কালো মেঘে পাহাড় ঢাকা তুমুল বৃষ্টি একটু পর আবার সব পরিষ্কার। সাদা মেঘ পাহাড় চূড়াগুলিতে সারাক্ষণই নেচে বেড়ায়। জাদুকাটা নদীর বালুর সৈকত যেন প্রকৃতির আরেক মোহনীয় রূপ। চিক চিক হলুদ বালুর সাথে পরিষ্কার নীলচে পানির মিলন প্রকৃতিকে সাজিয়েছে অপরূপ সাজে। জাদুকাটা নদীর পানি খুবই আরামদায়ক ঠাণ্ডা ও শীতল। পানিতে নামলেই সুখের পরশে গা জুড়িয়ে যায়।
কীভাবে যাবেন ও কোথায় থাকবেন:
ঢাকা থেকে যেকোনো পরিবহনের বাসে চড়ে সুনামগঞ্জ শহরে যাবেন। তারপর সুনামগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে সাহেববাজার ঘাট পর্যন্ত রিকশায় চড়ে। সেখান থেকে টাঙ্গুয়া হাওরের উদ্দেশ্যে ইঞ্জিনচালিত নৌকা ভাড়া করবেন, প্রতিদিনের জন্য ইঞ্জিন বোটে খরচ হয় আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার টাকা খরচ রাখে। চাইলে স্পীড বোডেও যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে ভাড়া একটু বেশি গুনতে হবে।
হাওড়ে যেতে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টার মতো সময় লাগবে। দুই থেকে তিন দিনের জন্য নৌকা ভাড়া করলে প্রয়োজনীয় বাজার সদাই করে নেবেন। সঙ্গে তেমন কিছুই নিতে হবে না, তবে লাইফ জ্যাকেট থাকলে নিয়ে নিতে পারেন। হাওড় ঘুরে রাতটা তাহিরপুর থানার ডাকবাংলোতে থাকতে পারেন। এছাড়াও সরকারি ব্যবস্থাপনায় তাহিরপুর থেকে তিনি কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে টেকেরঘাট চুনাপাথর খনি প্রকল্পের রেস্ট হাউজে অবস্থান করতে পারেন।
এছাড়া সুনামগঞ্জ থেকে সড়কপথে তাহেরপুর গিয়ে সেখান থেকে নৌকা ভাড়া করেও টাঙ্গুয়ার হাওর যাওয়া যায়। তবে শীতকালে ও শুষ্ক মৌসুমে সাহেব বাড়ি খেয়া ঘাট পার হয়ে অপর পার থেকে প্রথমে মোটর সাইকেল যোগে ঘণ্টা দুয়েকের পথ পারি দিয়ে শ্রীপুর বাজার অথবা ডাম্পের বাজার যেতে হয়। সেখান থেকে ভাড়াটে নৌকা যোগে টাঙ্গুয়ার হাওড় যাওয়া যায়।
খবর বিভাগঃ
দর্শনীয় স্থান
ফিচার
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়