Wednesday, August 17

দার্জিলিংয়ে সিগারেট ধরালেই জরিমানা!

দার্জিলিংয়ে সিগারেট ধরালেই জরিমানা!

কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: ভুল করেও দার্জিলিং গিয়ে সিগারেট ধরালেই পকেট থেকে খোয়াতে হবে দু'শত টাকা। প্রকাশ্যে ধূমপান বন্ধ করতে উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রসাশন। ১৫ই অগাস্ট থেকে গোটা জেলাতেই এই নিয়ম প্রয়োগ করতে শুরু করেছে প্রশাসন।

রাস্তায় বা হোটেল-রেস্তোঁরায় সিগারেট ধরালেই জরিমানা দিতে হবে এখন থেকে। দার্জিলিং শহরের চৌরাস্তা বা ‘ম্যাল’-এ ধূমপান বেশ কয়েক বছর ধরেই বন্ধ থাকলেও জেলাতে প্রয়োগ ছিল না এই নিয়ম।

ভারতে ২০০৩ সাল থেকেই রাস্তা, হোটেল, রেস্তোঁরা, হাসপাতাল, ট্রেন-বাস-বিমানবন্দর সব জায়গাতেই ধূমপান নিষিদ্ধ। কিছু হোটেল বা রেস্তোঁরায় অবশ্য সিগারেট খাওয়ার জন্য পৃথক ঘর রাখার নিয়ম রয়েছে।

দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, 'আইনটাতো অনেক পুরোনো। ২০০৩ সালের, যেখানে প্রকাশ্য ধূমপান নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু কিছুদিন আগে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর সব জেলা প্রশাসনকেই চিঠি দিয়ে ওই আইনটা কঠোর ভাবে প্রয়োগ করতে বলেছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় সরকারও একটা ধূমপান বিরোধী জনসচেতনতা গড়ে তোলার জন্য কিছু অর্থ দিয়েছে। সেটা দিয়েই আমরা কাজ শুরু করেছি।'

হাসপাতাল বা হোটেল রেস্তোঁরা বা ট্রেনে ধূমপান একরকম বন্ধ হয়ে গেলেও রাস্তায় সিগারেট খাওয়া মানুষের কাছে স্বাভাবিক ব্যাপার।

প্রকাশ্যে সিগারেট খেলে জরিমানা দতে হবে ২০০ টাকা। ১০০০ টাকা থেকে ৫০০০ টাকা জরিমানা আর সঙ্গে জেলও হতে পারে কোনও স্কুলের কাছে সিগারেট বিক্রি করা হলে অথবা ২১ বছরের কম বয়সীদের কাছে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি করা হলে।

ভারতের প্রথম ‘স্মোক-ফ্রি’ রাজ্য হিসাবে স্বীকৃতিও পেয়েছে দার্জিলিং'য়ের পাশের রাজ্য সিকিম। অনেক বছর ধরেই সিগারেট খাওয়া আর বিক্রি সম্পূর্ণ বন্ধ ওই রাজ্যে। জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে দোকানদার অথবা গাড়ি চালকদেরও অধিকার দেওয়া রয়েছে কাউকে ধূমপান করতে দেখলেই রসিদ দিয়ে জরিমানা আদায় করার।

দার্জিলিং-য়ে গত দু'তিন দিনে জরিমানা করা হয় নি কাউকে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন নতুন নিয়ম বলে ভয়ে কেউ এখন আর রাস্তা-ঘাটে সিগারেট খাচ্ছে না। পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি জেলায় আর এখন দার্জিলিংয়ের মতো পর্যটন কেন্দ্রেও প্রকাশ্যে ধূমপানের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়