কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: আজ
শনিবার কিউবায় উদযাপিত হচ্ছে ২০ শতকের সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের মহানায়ক ও
কমিউনিস্ট শাসিত কিউবার স্থপতি, সাবেক প্রেসিডেন্ট ফিদেল ক্যাস্ত্রোর
জন্মদিন। প্রায় অর্ধশতাব্দী সময় ধরে কিউবার নেতৃত্বে থাকা এই সমাজতান্ত্রিক
নেতার জন্মদিন উপলক্ষে কিউবার সরকারি পত্রিকায় বিশেষ সংখ্যা করা হয়েছে। এ
ছাড়া জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে ছুটে গেছেন ভেনেজুয়েলার সমাজতান্ত্রিক নেতা
নিকোলাস মাদুরো।
অনেক আগেই বৈশ্বিক রাজনীতির ইতিহাসের একটি বড় অংশে নিজের অবস্থান পোক্ত করেছেন কাস্ত্রো। কোনো দেশে কাস্ত্রোকে সমাজতান্ত্রিকরা তাদের নায়ক হিসেবে কল্পনা করে। আবার পশ্চিমাসহ অনেক দেশেই ঘৃণার পাত্র বিপ্লবী এই নেতা। ১৯৫৯ সালে কিউবার স্বৈরশাসক বাতিস্তুতার সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা নেয়া কাস্ত্রোর ৪৮ বছরের শাসনামলে ১০ জন মার্কিন প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার পালাবদল ঘটেছে। তবে সেই চিরশত্রু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর কিউবার শত্রু নেই, তাকে বন্ধু বলেই গ্রহণ করেছে কাস্ত্রোর দেশ। এই কিউবাকে কাস্ত্রোর কিউবা বলে চিনতেই ভুল হয়- বদলে গেছে কিউবা।
ফিদেল আলেসান্দ্রো কাস্ত্রো রুজের জন্ম ১৯২৬ সালের ১৩ আগস্ট। বাতিস্তুতা সরকারকে উচ্ছেদের পর ১৯৫৯ সালের ডিসেম্বর থেকে ১৯৭৬ পর্যন্ত কিউবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি। এরপর ২০০৮ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট থাকাকালে ফিদেল ক্যাস্ত্রো দেশের অর্থনীতিকে জাতীয়করণ করেছিলেন। মার্ক্সবাদের ‘সর্বহারার একনায়কত্ব’ ধারণার অধীনে একাই দেশ শাসন করেন। মুনাফাকেন্দ্রিক বাজার অর্থনীতির বাইরে এসে দেশের মানুষের জন্য জনকল্যাণের নীতি নিয়েছিলেন ক্যাস্ত্রো। জনগণকে দিতে চেয়েছিলেন সামাজিক সুরক্ষা। আর তা পেরেছিলেনও তিনি।
স্বাস্থ্যগত কারণে ২০০৮ সালে আরেক বিপ্লবী নেতা ছোটভাই রাউল ক্যাস্ত্রোর (৮৫) কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন ফিদেল। রাউল ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকে কিউবার অর্থনীতিকে ‘সোভিয়েত-ধাঁচের রক্ষণশীলতা’ থেকে বের করে এনে বাজার-ভিত্তিক অর্থনীতিতে পরিবর্তন করার পথে বিভিন্ন সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে বাধ্য হচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গের সুদীর্ঘকালের তিক্ততার বরফও গলতে শুরু করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ঐতিহাসিক কিউবা সফরের পর। কমছে দীর্ঘদিন ধরে জারি থাকা মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব থেকে কিউবাকে বের করে নিয়ে এসে বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করাসহ বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষার নীতির কারণে দেশটির অনেকেই তাকে গভীর শ্রদ্ধা করেন। তবে দীর্ঘদিন ক্ষমতা ধরে রাখায় অনেকে আবার তার সমালোচকও। তবে সব কিউবানদের কাছেই তিনি প্রাণের নেতা।
তাই যেন এক কিউবানের বলা কথাতেই ধ্বনিত হলো সমগ্র কিউবার কন্ঠ, ‘হয়তো ক্যাস্ত্রোর নীতি আজ আর কাজ করছে না। হয়তো তিনি কিছু ভুলও করেছিলেন। তবে তার চিন্তা ও কর্মের মহত্ত্ব নিয়ে আমাদের মনে কোনও সন্দেহ নেই।’
অনেক আগেই বৈশ্বিক রাজনীতির ইতিহাসের একটি বড় অংশে নিজের অবস্থান পোক্ত করেছেন কাস্ত্রো। কোনো দেশে কাস্ত্রোকে সমাজতান্ত্রিকরা তাদের নায়ক হিসেবে কল্পনা করে। আবার পশ্চিমাসহ অনেক দেশেই ঘৃণার পাত্র বিপ্লবী এই নেতা। ১৯৫৯ সালে কিউবার স্বৈরশাসক বাতিস্তুতার সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা নেয়া কাস্ত্রোর ৪৮ বছরের শাসনামলে ১০ জন মার্কিন প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার পালাবদল ঘটেছে। তবে সেই চিরশত্রু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর কিউবার শত্রু নেই, তাকে বন্ধু বলেই গ্রহণ করেছে কাস্ত্রোর দেশ। এই কিউবাকে কাস্ত্রোর কিউবা বলে চিনতেই ভুল হয়- বদলে গেছে কিউবা।
ফিদেল আলেসান্দ্রো কাস্ত্রো রুজের জন্ম ১৯২৬ সালের ১৩ আগস্ট। বাতিস্তুতা সরকারকে উচ্ছেদের পর ১৯৫৯ সালের ডিসেম্বর থেকে ১৯৭৬ পর্যন্ত কিউবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি। এরপর ২০০৮ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট থাকাকালে ফিদেল ক্যাস্ত্রো দেশের অর্থনীতিকে জাতীয়করণ করেছিলেন। মার্ক্সবাদের ‘সর্বহারার একনায়কত্ব’ ধারণার অধীনে একাই দেশ শাসন করেন। মুনাফাকেন্দ্রিক বাজার অর্থনীতির বাইরে এসে দেশের মানুষের জন্য জনকল্যাণের নীতি নিয়েছিলেন ক্যাস্ত্রো। জনগণকে দিতে চেয়েছিলেন সামাজিক সুরক্ষা। আর তা পেরেছিলেনও তিনি।
স্বাস্থ্যগত কারণে ২০০৮ সালে আরেক বিপ্লবী নেতা ছোটভাই রাউল ক্যাস্ত্রোর (৮৫) কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন ফিদেল। রাউল ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকে কিউবার অর্থনীতিকে ‘সোভিয়েত-ধাঁচের রক্ষণশীলতা’ থেকে বের করে এনে বাজার-ভিত্তিক অর্থনীতিতে পরিবর্তন করার পথে বিভিন্ন সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে বাধ্য হচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গের সুদীর্ঘকালের তিক্ততার বরফও গলতে শুরু করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ঐতিহাসিক কিউবা সফরের পর। কমছে দীর্ঘদিন ধরে জারি থাকা মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব থেকে কিউবাকে বের করে নিয়ে এসে বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করাসহ বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষার নীতির কারণে দেশটির অনেকেই তাকে গভীর শ্রদ্ধা করেন। তবে দীর্ঘদিন ক্ষমতা ধরে রাখায় অনেকে আবার তার সমালোচকও। তবে সব কিউবানদের কাছেই তিনি প্রাণের নেতা।
তাই যেন এক কিউবানের বলা কথাতেই ধ্বনিত হলো সমগ্র কিউবার কন্ঠ, ‘হয়তো ক্যাস্ত্রোর নীতি আজ আর কাজ করছে না। হয়তো তিনি কিছু ভুলও করেছিলেন। তবে তার চিন্তা ও কর্মের মহত্ত্ব নিয়ে আমাদের মনে কোনও সন্দেহ নেই।’
খবর বিভাগঃ
দেশের বাইরে
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়