কাহহার সামি: জাতীয় কবি
কাজী নজরুল ইসলামের ৪০ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা
একাডেমির পরীক্ষণ থিয়েটার হলে ৩১ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টায় মঞ্চায়িত হবে
প্রাঙ্গণেমোর-এর নাটক ‘দ্রোহ প্রেম নারী’।
কাজী নজরুল ইসলামের ‘আলেয়া’ গীতিনাট্য অবলম্বনে ‘দ্রোহ প্রেম নারী’ নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন রামিজ রাজু। নাটকটিতে অভিনয় করেছেন- অনন্ত হিরা, নূনা আফরোজ, সরোয়ার সৈকত, শুভেচ্ছা, অনিন্দ্র কিশোর, ইষ্টের সুমী, নিজাম লিটন, রিগ্যান রত্ন, মনির, বাধন, সীমান্ত, বিপ্লব, লিটু, সুজন, আশা, উষা, সুজয়।
নাটকের কথা: ১৯২৯ সালের জুন-জুলাই সংখ্যা ‘কল্লোল’ পত্রিকার সাহিত্য বিভাগে খবর প্রকাশিত হয়, “নজরুল মরুতৃষা নামে একটি অপেরা লিখেছেন। সম্প্রতি তার নাম বদলে রাখা হয়েছে আলেয়া। গীতিনাট্যখানী সম্ভবত মনোমোহনে অভিনীত হবে”। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নাটকটি মঞ্চস্থ হয় কলকাতার নাট্যনিকেতনে ১৯৩১ সালের ১৯ ডিসেম্বর এবং তা বিপুল জনপ্রিয়তা পায়।
এই ধূলির ধরায় প্রেম ভালোবাসা- আলেয়া’র আলো। সিক্ত হৃদয়ের জলাভূমিতে এর জন্ম। ভ্রান্ত পথিককে পথ থেকে পথান্তরে নিয়ে যাওয়াই এর ধর্ম। দুঃখী মানব এর লেলিহান শিখায় পতঙ্গের মত ঝাঁপিয়ে পড়ে। তিনটি পুরুষ তিনটি নারী- চিরকালের নর-নারীর প্রতীক- এই আগুনে দগ্ধ হল, তাই নিয়ে এই নাট্য।
নারীর হৃদয়-ভালোবাসা কুহেলিকাময়। এও এক আলেয়া। এ যে কখন কাকে পথ ভোলায়, কখন কাকে চায়, তা চির-রহস্যের তিমিরে আচ্ছন্ন। যাকে সে চিরকাল অবহেলা করে এসেছে, তাকেই সে ফিরে পেতে চায় তার চলে যাওয়ার পরে। যাকে সে চিরকাল চেয়েছে- সেই তখন ঐ চলে যাওয়া প্রতিদ্বন্দ্বীর পিছনে পড়ে যায়।
পুরুষও তেমনি হৃদয় হতে হৃদয়ান্তরে তার মানসীকে খুঁজে ফিরে। তাই তার কাছে আজকের সুন্দর কাল হয়ে উঠে বাসি। হৃদয়ের এই তীর্থ-পথে তার যাত্রার আর শেষ নেই। তাই সে এক মন্দিরে পূজা নিবেদন করে আর আরেক মন্দিরের বেদীতলে গিয়ে লুটিয়ে পড়ে।
হৃদয়ের এই রহস্যই মানুষকে করেছে চির-রহস্যময়, পৃথিবীকে করেছে বিচিত্র-সুন্দর। কাজী নজরুল ইসলামের ‘আলেয়া’ গীতিনাট্য অবলম্বনে ‘দ্রোহ প্রেম নারী’ তারই ইঙ্গিত।
কাজী নজরুল ইসলামের ‘আলেয়া’ গীতিনাট্য অবলম্বনে ‘দ্রোহ প্রেম নারী’ নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন রামিজ রাজু। নাটকটিতে অভিনয় করেছেন- অনন্ত হিরা, নূনা আফরোজ, সরোয়ার সৈকত, শুভেচ্ছা, অনিন্দ্র কিশোর, ইষ্টের সুমী, নিজাম লিটন, রিগ্যান রত্ন, মনির, বাধন, সীমান্ত, বিপ্লব, লিটু, সুজন, আশা, উষা, সুজয়।
নাটকের কথা: ১৯২৯ সালের জুন-জুলাই সংখ্যা ‘কল্লোল’ পত্রিকার সাহিত্য বিভাগে খবর প্রকাশিত হয়, “নজরুল মরুতৃষা নামে একটি অপেরা লিখেছেন। সম্প্রতি তার নাম বদলে রাখা হয়েছে আলেয়া। গীতিনাট্যখানী সম্ভবত মনোমোহনে অভিনীত হবে”। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নাটকটি মঞ্চস্থ হয় কলকাতার নাট্যনিকেতনে ১৯৩১ সালের ১৯ ডিসেম্বর এবং তা বিপুল জনপ্রিয়তা পায়।
এই ধূলির ধরায় প্রেম ভালোবাসা- আলেয়া’র আলো। সিক্ত হৃদয়ের জলাভূমিতে এর জন্ম। ভ্রান্ত পথিককে পথ থেকে পথান্তরে নিয়ে যাওয়াই এর ধর্ম। দুঃখী মানব এর লেলিহান শিখায় পতঙ্গের মত ঝাঁপিয়ে পড়ে। তিনটি পুরুষ তিনটি নারী- চিরকালের নর-নারীর প্রতীক- এই আগুনে দগ্ধ হল, তাই নিয়ে এই নাট্য।
নারীর হৃদয়-ভালোবাসা কুহেলিকাময়। এও এক আলেয়া। এ যে কখন কাকে পথ ভোলায়, কখন কাকে চায়, তা চির-রহস্যের তিমিরে আচ্ছন্ন। যাকে সে চিরকাল অবহেলা করে এসেছে, তাকেই সে ফিরে পেতে চায় তার চলে যাওয়ার পরে। যাকে সে চিরকাল চেয়েছে- সেই তখন ঐ চলে যাওয়া প্রতিদ্বন্দ্বীর পিছনে পড়ে যায়।
পুরুষও তেমনি হৃদয় হতে হৃদয়ান্তরে তার মানসীকে খুঁজে ফিরে। তাই তার কাছে আজকের সুন্দর কাল হয়ে উঠে বাসি। হৃদয়ের এই তীর্থ-পথে তার যাত্রার আর শেষ নেই। তাই সে এক মন্দিরে পূজা নিবেদন করে আর আরেক মন্দিরের বেদীতলে গিয়ে লুটিয়ে পড়ে।
হৃদয়ের এই রহস্যই মানুষকে করেছে চির-রহস্যময়, পৃথিবীকে করেছে বিচিত্র-সুন্দর। কাজী নজরুল ইসলামের ‘আলেয়া’ গীতিনাট্য অবলম্বনে ‘দ্রোহ প্রেম নারী’ তারই ইঙ্গিত।
খবর বিভাগঃ
বিনোদন
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়