কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
আল্লাহর সঙ্গে কথোপকথনের সর্বোত্তম মাধ্যম হলো নামাজ। এই নামাজকে বলা হয় মুমিনের মেরাজ। নামাজই একমাত্র ইবাদত যেখানে সরাসরি আল্লাহর সঙ্গে কথাবার্তা ও আদান-প্রদান হয়। বান্দা যখন নামাজে দাঁড়িয়ে আল্লাহকে সম্বোধন করে তখন এর জবাব দেন মহান স্রষ্টা। তবে যেকোনো ভাবে নামাজ পড়লেই আল্লাহর সাড়া মিলবে না। এর জন্য দরকার মনোযোগ ও একাগ্রতা। আমরা অনেক সময় নামাজ পড়ি, কিন্তু কী পড়ছি তা নিজেই বুঝি না। বাহ্যিকভাবে নামাজের অঙ্গভঙ্গি করার দ্বারা ফরজ আদায় হয়ে তবে এই নামাজ আল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছে কি-না তাতে সন্দেহ আছে। এজন্য মানসম্পন্ন নামাজের প্রতি আমাদের সবার আন্তরিক হওয়া উচিত।
নামাজে মনোযোগ বাড়ানোর প্রথম উপায় হলো নামাজে যেন পার্থিব কোনো বিষয় মাথায় না এসে যায় সে ব্যাপারে প্রস্তুতি নিন। সারাদিনের কর্মপরিকল্পনা নামাজকে ঘিরে তৈরি করুন। আগে নামাজ, পরে দৈনন্দিন কার্যাবলী। নামাজে সময়ানুবর্তিতা মেনে চলার চেষ্টা করুন। হেলায়-খেলায় নামাজ পড়তে বিলম্ব করবেন না। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে জামাতের সঙ্গে পড়ার চেষ্টা করুন। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা রুকুকারীদের সঙ্গে রুকু দাও।’এর দ্বারা জামাতের গুরুত্ব বোঝা যায়। শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তিতে থাকাকালে নামাজ পড়বেন না। নামাজে দাঁড়ানোর আগে সব অবসাদ ও দুশ্চিন্তা ঝেড়ে ফেলুন।
নামাজে কোন কোন সুরা পড়বেন তা নামাজে দাঁড়ানোর আগেই ঠিক করে নিন। চেষ্টা করুন নামাজে কী আয়াত পড়ছেন তা অনুধাবন করার। কারণ আয়াতের অর্থ বুঝে পড়লে তা মনসংযোগ বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। নামাজে দাঁড়ানোর পূর্বে ক্ষুধা, তৃষ্ণা, প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়া প্রভৃতি জৈবিক কাজ সেরে নিন। পরিচ্ছন্ন অবস্থায় নামাজ আদায় করুন। সেজন্য সঠিকভাবে ওজু বা গোসল সম্পন্ন করুন। নামাজে তাড়াহুড়া করবেন না। নামাজের প্রতিটি ধাপ ধীরেসুস্থে আদায় করুন। মনে করুন এটাই আপনার জীবনের শেষ নামাজ। নামাজে দাঁড়িয়ে চিন্তা করুন আপনি পুলসিরাতে দাঁড়িয়ে আছেন, আজরাইল আপনার পেছনে দাঁড়িয়ে। আপনার ডানে জান্নাত, বামে জাহান্নাম। এসব ভাবনা যখন অন্তরে থাকবে তখন মনোযোগ আল্লাহর দিকে নিবদ্ধ হতে বাধ্য। আমরা একটু মনোযোগী হলেই নামাজে একাগ্রতা বাড়াতে পারি। যে নামাজ আল্লাহর প্রতি পূর্ণ মনোযোগী হয়ে আদায় করা হয় সেটাই প্রকৃত নামাজ। সেই নামাজ দ্বারাই মুক্তি ও সাফল্যের আশা করা যায়।
খবর বিভাগঃ
ইসলাম
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়