কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
পবিত্র রমজান মাস শেষ পর্যায়ে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে দু-একদিনের মধ্যেই উদযাপিত হবে ঈদুল ফিতর। যারা মাসব্যাপী কষ্ট করে আল্লাহর হুকুম পালনে দিনের বেলায় পানাহার ও স্ত্রী সম্ভোগ ত্যাগ করেছেন, আল্লাহ তাআলা রমজান মাসের শেষে শাওয়াল মাসের শুরুতে তাদের জন্য ঈদের আনন্দ দিয়েছেন। ঈদ কী ও কেন? সংক্ষেপে তা তুলে ধরা হলো-
‘ঈদ’ আরবি শব্দ। যার অর্থ হলো ফিরে আসা। ঈদ যেহেতু আনন্দের বার্তা নিয়ে মুসলমানের দ্বারে দ্বারে বার বার ফিরে আসে, সঙ্গত কারণেই এ আনন্দকে ঈদ হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে। তাই রোজাদার মুসলমান মাসব্যাপী রোজা পালনের পর শাওয়াল মাসের প্রথম তারিখ আল্লাহ তাআলার হুকুম পালনে ঈদ বা আনন্দ উদযাপন করে থাকে।
মানুষের মাঝে এ ঈদ প্রতি বছর দু’বার আসে। রমজানেরর ঈদকে ঈদুল ফিতর বা রোজার ঈদ, আর কুরবানির ঈদকে ঈদুল আজহা বা কুরবানির ঈদ বলেই আমরা জানি।
ঈদুল ফিতর দ্বারা এ দিবসের নাম রাখার তাৎপর্য হলো আল্লাহ তাআলা এ দিনে তার রোজাদার বান্দাদের নিয়ামাত ও অনুগ্রহ দ্বারা বার বার ধন্য করেন এবং তাঁর ইহসানের দৃষ্টি বার বার দান করেন। কেননা মুমিন বান্দা আল্লাহর নির্দেশে রমজানে পানাহার ত্যাগ করেছেন আবার রমজানের পর তাঁরই পানাহারের আদেশ পালন করে থাকেন।
ইসলাম পূর্ব মদিনার আনন্দ
হাদিসে এসেছে- ‘রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন মদিনাতে আগমন করলেন, তখন মদিনায় দুটো দিবস ছিল; যে দিবসে তারা (মদিনার লোকজন) খেলাধুলা করতো। রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুই দিনের তাৎপর্য কী? মদিনাবাসীগণ বললেন, আমরা এ দুই দিনে (আনন্দ) খেলাধুলা করি। তখন রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘আল্লাহ তাআলা এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দান করেছেন। তার একটি হলো- ঈদুল আজহা ও অপরটি ঈদুল ফিতর।’ (আবু দাউদ)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ঈদের দিনের আনন্দ ও করণীয় কাজগুলো যথাযথ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
খবর বিভাগঃ
ইসলাম
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়