কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
এই শ্রাবণ-বেলা বাদল-ঝরা যূথীবনের গন্ধে ভরা/কোন ভোলা দিনের বিরহিনী, যেন তারে চিনি চিনি/ঘন বনের কোণে কোণে ফেরে ছায়ার-ঘোমটা-পরা। কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শ্রাবণকে এভাবেই অখ্যায়িত করেছিলেন। বর্ষা ঋতুতে শ্রাবণের আবেদন অনেক। কেননা শ্রাবণে অঝরে বৃষ্টি ঝড়ে। তবে নেই ঝড় ঝাপটা। বর্ষা প্রেমীদের কাছে শ্রাবণ ভিন্যমাত্রা যোগ করে। ঘনকালো মেঘ আর ঝম ঝমিয়ে বৃষ্টি। এ যেনো শ্রাবণের চিরচেনা রূপ।
শ্রাবণ মাসে দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে জলীয়বাষ্পবাহী মৌসুমী বায়ু দেশের আকাশে বিস্তার লাভ করায় প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। বর্ষার স্পর্শে সিক্ত প্রকৃতি যৌবন দীপ্ততায় বদলে যায়। শাণিত সবুজে মুগ্ধতার রেশ যেন ছড়িয়ে পড়ে বনে বনে।
বাহারী জলজ ফুলের সঙ্গে বর্ষায় চারপাশ মোহিত করে বেলী, কেয়া, গন্ধরাজ, দোলনচাঁপা, জুঁই, বকুল, হাসনাহেনাসহ নানান ফুল। বর্ষার পেয়ারা, ডেউয়া, জাম, গাব, জামরুলের স্বাদ তুলনাহীন। শ্রাবণের বৃষ্টি দীর্ঘস্থায়ী হয়। কখনো কখনো টানা কয়েকদিন বৃষ্টি হয়। বৃষ্টি মুখর শ্রাবণের দিনে কেউ কেউ উদাস হয়ে ওঠেন।0 ঘরের জানালার পাশে কিংবা বারান্দার দাঁড়িয়ে বৃষ্টি বেশ উপভোগ্য হয়।
তাইতে কবি বলেছেন
এই শ্রাবণ ধুয়ে ফেলুক এই রাস্তা-ধুলো।
এই শ্রাবণ ভিজিয়ে দিক দীর্ঘ ছায়াগুলো।
এই শ্রাবণ নেভাক আগুন, এই ফুটপাতের রাত ।
এই শ্রাবণ মনে পড়া পুরনো আঘাত।
খবর বিভাগঃ
ফিচার
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়