কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় সন্ত্রাসী হামলার পর বিভিন্ন প্রাইভেট
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকরা সরকারের সন্দেহের তালিকায় উঠে এসেছে। কারণ এ
হামলায় জড়িতরা বিভিন্ন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।
এর আগেও বিভিন্ন সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের যোগসূত্র ছিল, এমন তথ্য-প্রমাণও রয়েছে। আর তাই সন্দেহের মাত্রা বেড়েছে।
এরইমধ্যে নর্থসাউথ, মানারাতসহ কয়েকটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকদের ওপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূত্র নিশ্চিত করেছে।
নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, গুলশানের ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন জানতে পারেন হামলাকারীরা সবাই বিভিন্ন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তখনই তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে ওইসব প্রতিষ্ঠানের ওপর নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেন।
সূত্র জানায়, শুধু তাই নয়, কোন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিক কে, এদের অর্থের যোগানদাতা কারা, ট্রাস্টিবোর্ডে বা মালিকপক্ষের কারা কারা রয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করছেন কারা, সেখানে শিক্ষক-কর্মকর্তারা কোন আদর্শের, কোথায় লেখা-পড়া করেছেন ও তাদের রাজনৈতিক কোনও মতাদর্শ আছে কি-না বিস্তারিত বিষয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া শুরু হয়েছে। সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এ কাজ করছে। গুলশানের ঘটনার পর শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশে গোয়েন্দারা এ কাজে তৎপর হয়ে উঠেছেন।
সরকারের দুই মন্ত্রী বলেন, তদন্তে বেরিয়ে আসছে, বিভিন্ন হামলায় জড়িতরা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র। আর তারা বিত্তশালী পরিবারের সন্তান। এতে আমরা অবাক হচ্ছি।
ওই দুই মন্ত্রী জানান, আমাদের সন্দেহ প্রাইভেট বিশ্ববিদালয়ের শিক্ষকদের ওপরও। ধারণা করা হচ্ছে- ছাত্রদের এ পথে ধাবিত করার ব্যাপারে কোনও কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষরাও জড়িত থাকতে পারেন। তাই শিক্ষকদের খোঁজ-খবরও নেওয়া হবে।
কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘একেকটি সন্ত্রাসী হামলার পরে তদন্ত করা হলে দেখা যায়, এসব ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বেশিরভাগই প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। এ ধরনের তথ্য আগেও পাওয়া গেছে।’
তিনি বলেন, ‘সর্বশেষ গুলশানের সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় হামলাকারীরা সবাই নামীদামি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। যদি তাই হয়, নিশ্চয়ই এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর সরকার নজরদারি করবে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘গুলশানের সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে জড়িতরা প্রায় সবাই প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। এর আগে কিছু অপরাধীকে আমরা চিহ্নিত করেছি তারাও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে।’
তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে কী করা যায় তা আমরা ভাবছি।’
গুলশানে সন্ত্রাসী হামলার পর প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর নজরদারি বাড়ানো উচিত বলে মনে করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নীতি-নির্ধারকরাও। তারাও মনে করেন, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও শিক্ষকদের ওপর নজরদারি বাড়ানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্তে আসা উচিত।
অপর একটি সূত্র জানায়, রবিবার ১৪ দলীয় জোটের সভায় প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর নজরদারি বাড়ানোর ব্যাপারে আলোচনা হয়। এ ব্যাপারে সরকারকে পরামর্শ দিতে আহ্বান জানানো হয়েছে ১৪ দলের পক্ষ থেকে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নূহ-উল আলম লেনিন বলেন, ‘তদন্তে দেখা যাচ্ছে, সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে জড়িত অধিকাংশরাই কোনও না কোনও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তাই প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপর একটা সার্ভে এখন জরুরি হয়ে পড়েছে বলে আমি মনে করি।’
সভাপতিমণ্ডলীর অপর সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ বলেন, ‘প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকদের খোঁজ-খবর নেওয়ার ব্যাপারে সরকারের একটি সিদ্ধান্তের কথা জেনেছি। প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়মিত মনিটরিংয়ে কিভাবে রাখা যায় সে ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা চলছে।’
এর আগেও বিভিন্ন সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের যোগসূত্র ছিল, এমন তথ্য-প্রমাণও রয়েছে। আর তাই সন্দেহের মাত্রা বেড়েছে।
এরইমধ্যে নর্থসাউথ, মানারাতসহ কয়েকটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকদের ওপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূত্র নিশ্চিত করেছে।
নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, গুলশানের ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন জানতে পারেন হামলাকারীরা সবাই বিভিন্ন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তখনই তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে ওইসব প্রতিষ্ঠানের ওপর নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেন।
সূত্র জানায়, শুধু তাই নয়, কোন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিক কে, এদের অর্থের যোগানদাতা কারা, ট্রাস্টিবোর্ডে বা মালিকপক্ষের কারা কারা রয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করছেন কারা, সেখানে শিক্ষক-কর্মকর্তারা কোন আদর্শের, কোথায় লেখা-পড়া করেছেন ও তাদের রাজনৈতিক কোনও মতাদর্শ আছে কি-না বিস্তারিত বিষয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া শুরু হয়েছে। সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এ কাজ করছে। গুলশানের ঘটনার পর শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশে গোয়েন্দারা এ কাজে তৎপর হয়ে উঠেছেন।
সরকারের দুই মন্ত্রী বলেন, তদন্তে বেরিয়ে আসছে, বিভিন্ন হামলায় জড়িতরা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র। আর তারা বিত্তশালী পরিবারের সন্তান। এতে আমরা অবাক হচ্ছি।
ওই দুই মন্ত্রী জানান, আমাদের সন্দেহ প্রাইভেট বিশ্ববিদালয়ের শিক্ষকদের ওপরও। ধারণা করা হচ্ছে- ছাত্রদের এ পথে ধাবিত করার ব্যাপারে কোনও কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষরাও জড়িত থাকতে পারেন। তাই শিক্ষকদের খোঁজ-খবরও নেওয়া হবে।
কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘একেকটি সন্ত্রাসী হামলার পরে তদন্ত করা হলে দেখা যায়, এসব ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বেশিরভাগই প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। এ ধরনের তথ্য আগেও পাওয়া গেছে।’
তিনি বলেন, ‘সর্বশেষ গুলশানের সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় হামলাকারীরা সবাই নামীদামি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। যদি তাই হয়, নিশ্চয়ই এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর সরকার নজরদারি করবে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘গুলশানের সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে জড়িতরা প্রায় সবাই প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। এর আগে কিছু অপরাধীকে আমরা চিহ্নিত করেছি তারাও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে।’
তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে কী করা যায় তা আমরা ভাবছি।’
গুলশানে সন্ত্রাসী হামলার পর প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর নজরদারি বাড়ানো উচিত বলে মনে করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নীতি-নির্ধারকরাও। তারাও মনে করেন, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও শিক্ষকদের ওপর নজরদারি বাড়ানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্তে আসা উচিত।
অপর একটি সূত্র জানায়, রবিবার ১৪ দলীয় জোটের সভায় প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর নজরদারি বাড়ানোর ব্যাপারে আলোচনা হয়। এ ব্যাপারে সরকারকে পরামর্শ দিতে আহ্বান জানানো হয়েছে ১৪ দলের পক্ষ থেকে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নূহ-উল আলম লেনিন বলেন, ‘তদন্তে দেখা যাচ্ছে, সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে জড়িত অধিকাংশরাই কোনও না কোনও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তাই প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপর একটা সার্ভে এখন জরুরি হয়ে পড়েছে বলে আমি মনে করি।’
সভাপতিমণ্ডলীর অপর সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ বলেন, ‘প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকদের খোঁজ-খবর নেওয়ার ব্যাপারে সরকারের একটি সিদ্ধান্তের কথা জেনেছি। প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়মিত মনিটরিংয়ে কিভাবে রাখা যায় সে ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা চলছে।’
খবর বিভাগঃ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়