Wednesday, July 27

এক আইডি দিয়ে ২০টি সিম থাকছে না


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: বায়োমেট্রিক (আঙুলের ছাপ) পদ্ধতিতে নিবন্ধিত সিমের সর্বোচ্চ সংখ্যা ২০টি আর থাকছে না। একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে ২০টি সিম নিবন্ধন করা গেলেও সিমের সংখ্যা কমানো হচ্ছে। তবে কতটি সিম নিবন্ধন করা যাবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এ সংখ্যা অবশ্যই দশের নিচে হবে। জানা গেছে, নতুন নিয়মে একটি এনআইডির বিপরীতে ৫টি নাকি ৭টি সিম নিবন্ধন করা যাবে সে বিষয়টি চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যেহেতু দেশে মোবাইলফোন অপারেটরের সংখ্যা ৬টি সেক্ষেত্রে ৬টি বা ৭টি সিম নিবন্ধনের পক্ষেও মত রয়েছে। তবে আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য এমএনপির (মোবাইলফোন নম্বর পোর্টেবিলিটি) নিলামের পরে ব্যক্তির কতটি সিম রয়েছে সেই জটিলতা কেটে যাবে। নতুন সিম না কিনেও মোবাইলফোন ব্যবহারকারীরা তার ইচ্ছেমতো অপারেটর বদল করতে পারবেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব এম. রায়হান আখতার বলেন, সিম সংখ্যা কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে তার সংখ্যা নির্দিষ্ট করা হয়নি। শিগগিরই তা চূড়ান্ত করা হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেহেতু অসংখ্য সিমের নিবন্ধন হয়েছে সেহেতু চাইলেই হঠাৎ করে তা করে ফেলা যাবে না। কিভাবে, কোন পদ্ধতি অনুসরণ করে, মোবাইলফোন ব্যবহারকারীকে বিরক্ত না করে সিম সংখ্যা কমানো হবে তার উপায় ও কৌশল খুঁজে বের করা হবে। এছাড়া, এর জন্য অনুমোদন নিতে হবে কিনা সেই বিষয়টিও রয়েছে। সবকিছু চূড়ান্ত করেই তবে জানানো হবে। এম. রায়হান আখতার আরও বলেন, আগে তো একেকজনের নামে হাজার হাজার, শত শত সিম ছিল। সেখান থেকে যদি ২০টিতে নামিয়ে আনা যায় তাহলে এরচেয়েও কমে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। তবে তা কি প্রক্রিয়ায় নেওয়া হবে সেটা এখনই বলা হবে না। জানা যায়, ১১ কোটি ৬০ লাখেরও বেশি সিম নিবন্ধন হয়েছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে। তারপরও মোবাইলফোন কেন্দ্রিক বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। অপরাধ সংঘটনের হার কমলেও তা একেবারে বন্ধ হয়ে যায়নি। এ বিষয়টিও সিম সংখ্যা কমানোর বিষয়টিকে আলোচনায় নিয়ে এসেছে। অন্যদিকে, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছেন, সিম সংখ্যা কমানোর বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর থেকেও চাপ ছিল। ফলে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের ইচ্ছেতেই সিম সংখ্যা কমানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে যাদের নামে একটি এনআইডির বিপরীতে ২০টি বা ১০টির বেশি সিম নিবন্ধিত হয়েছে তাদেরকে সংশ্লিষ্ট অপারেটর থেকে ফোনের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে তিনি কোন কোন সিম রাখতে চান। নির্দিষ্ট সংখ্যার অতিরিক্ত সিম কিভাবে রাখা যাবে বা আবার অন্য কারো নামে নিবন্ধন করতে হবে কিনা তা পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার পরেই জানানো হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মঙ্গলবার ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এখন দেশে নেই। অনুমোদনের বিষয়টিও চূড়ান্ত হতে তাই সময় লাগতে পারে। সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়