ঢাকা: নার্সদের আন্দোলনে বিএনপি-জামায়াতের সংশ্লিষ্টতার ইঙ্গিত দিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ড্যাবের একজন নেতা, এনজিও কর্মী ও বিদেশি একটি গবেষণা সংস্থার একজন কর্মকর্তা ধানমণ্ডির একটি বাসায় বৈঠক করেছিলেন। অর্থের বিনিময়ে আন্দোলন করানো হয়েছিল। সেখানে নার্স ছিল অল্প কয়েকজন। বাংলাদেশে একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ১৯৭৪ সালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মনসুর আলীর বাসায় যেমন জাসদ নামে একটি দল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করেছিল তেমনি তারা সরকার উৎখাতের জন্য একটা পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করেছে। কিন্তু আমি থাকতে এ কাজ হতে দিতে পারি না।
আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ পরিষদ আয়োজিত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ স্বপ্ন নয় বাস্তবতা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় নাসিম এসব কথা বলেন।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ওরা একটা লাশ চেয়েছিল। নার্সদের এগিয়ে দেয়া হয়েছে। তোমরা আন্দোলন করো, আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। একটা পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়েছিল। শেখ হাসিনা সরকারকে আর কোনোভাবে পতন করা যাবে না ভেবেই নিরীহ নার্সদের দিয়ে আন্দোলন।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা দেশ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। চক্রান্ত বন্ধ হয়নি। ওরা একটা লাশ চেয়েছিল। নার্সদের আন্দোলন অনেকে স্বাভাবিক মনে করেছিল। বাংলাদেশের নিয়ম অনুযায়ী পিএসসি মর্যাদা পেতে হলে বিসিএস দিতে হবে। আমার ব্যক্তিগত বাসার সামনে ঘেরাও করেছিল। কোনো যুক্তি বা সমঝোতায় তারা আসতে চায় না। তাদের উদ্দেশ্য কী? আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে তাদেরকে মিটিংয়ের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলাম।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন নার্সদের পরীক্ষা হয়েছে। ১২ হাজার পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছে। এখন তারা এসে বলছে, আমাদের আলাদা করে পরীক্ষা নিন। খালেদা জিয়ার দলকে বলবো, শকুনের দোয়ায় গরু মরে না।’
গ্রামীণফোনের লাইসেন্সে নোবেল প্রাইজ
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘১৯৯৬ সালে আমি যখন টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ছিলাম তখন আমাদের ফিকুয়েন্সি অনুযায়ী ৩টা লাইসেন্স দেয়া যেত। মোরশেদ খানের শুধু লাইসেন্স ছিল। আর কাউকে লাইসেন্স দেয়া যেন না যায় তাই মোরশেদ খান মামলা করে রেখেছিলেন। তখন ইউনূস সাহেব গ্রামীণফোনের চেয়ারম্যান ছিলেন। অনেক বার আমার কাছে এসেছিলেন। উনি (ইউনূস) ছিলেন ৪ নম্বর আবেদনকারী। উনার একটা অভ্যাস ছিল উনি মার্কিন কংগ্রেস ম্যানদের দিয়ে চিঠি পাঠাতেন। আমাকে একদিন প্রধানমন্ত্রী বললেন, নাসিম ভাই আপনি ইউনূস সাহেবকে লাইসেন্স দিয়ে দেন, জ্বালিয়ে মারছেন। আমি উনাকে গ্রামীণফোনের লাইসেন্স দিলাম। সেই লাইসেন্সের বদলে উনি নোবেল প্রাইজ পেয়ে গেলেন।’
প্রচার ও প্রকাশনা উপ পরিষদ চেয়ারম্যান এইচ টি ইমামের সভাপতিত্বে সেমিনার সঞ্চালনা করেন দলটির উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অসীম কুমার উকিল। সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন দলটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট তারানা হালিম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, প্রযুক্তিবিদ মোস্তফা জব্বার, বেসিস সভাপতি শামীম আহসান প্রমুখ।
খবর বিভাগঃ
রাজনীতি
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়