কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: ফালুজা
শহরেই আটকা পড়ে অাছে ৫০ হাজার মানুষ। তাদের মধ্যে ২০ হাজারই শিশু। এ
শিশুদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে আইএস তাদের পক্ষে যুদ্ধে অংশ নিতে বাধ্য
করতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ।
অভিযোগ উঠেছে, ভেতর থেকে আইএস যোদ্ধারা এসব সাধারণ মানুষকে আটকে রেখেছে। এমনকি তাদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে এ জঙ্গি সংগঠন। আবার বাইরে সরকারি বাহিনী চারদিক থেকে ঘিরে রাখায় অাটকা পড়া মানুষ পালাতেও পারছেনা।
এদিকে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে দারাইয়ার চার হাজার বাসিন্দা অনাহারে-অর্ধাহারে ভয়াবহ জীবন যাপন করছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। আইএস ও সরকারি বাহিনীর কারণে সেখানে সড়কপথে ত্রাণ পাঠানো যাচ্ছে না। ২০১২ সাল থেকে অবরুদ্ধ দারাইয়ায় গত বুধবার প্রথম কিছু ত্রাণসামগ্রী গেছে।
সিরিয়ার দারাইয়া এলাকায় কয়েক বছরের মধ্যে এই প্রথম ত্রাণবাহী গাড়ি প্রবেশ করতে পেরেছে। তবে সেগুলো শুধু ওষুধ ছিল। কোনো খাবার ছিল না। এ ছাড়া আইএস নিয়ন্ত্রিত দারাইয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় মুয়াধামিয়া এলাকায় ডব্লিউএফপি সেদিনই কিছু খাবার সরবরাহ করতে পেরেছে।
যদিও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স অবিলম্বে জাতিসংঘকে দারাইয়াসহ সিরিয়ার অবরুদ্ধ এলাকাগুলোতে বিমান থেকে খাবারসহ প্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রী ফেলা শুরু করতে আহ্বান জানিয়েছে। তারা বলেছে, বিশ্বনেতারা ১ জুন থেকে সিরিয়ার অবরুদ্ধ এলাকায় ত্রাণ
সরবরাহের ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, সিরিয়া সরকার সেই সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে।
মঙ্গলবার ফালুজায় সরকারি বাহিনী 'চূড়ান্ত অভিযান' শুরু করার পরপরই তারা আইএসের প্রতিরোধের মুখে পড়ে। ফালুজা অভিযানের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবদেলওয়াহাব আল সাদ্দি জানান, আইএসের হামলাটি তীব্র ছিল, তবে তা প্রতিহত করা হয়েছে।
ইরাকে ইউনিসেফের প্রতিনিধি পিটার হকিন্স এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইউনিসেফ যুদ্ধরত সব পক্ষকে ফালুজার ভেতরে আটকা পড়া শিশুদের রক্ষার আহ্বান জানিয়েছে। যারা স্বেচ্ছায় শহরটি ত্যাগ করতে চায়, তাদের বেরিয়ে যেতে দেওয়া এবং এরপর তাদের নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থার করার কথাও বলেছে ইউনিসেফ।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) বলেছে, ফালুজার বাসিন্দাদের খাবারের মজুত দ্রুত শেষ হয়ে আসছে। সেখানে খাবারের দাম বহুগুণ বেড়ে যাওয়ায় খুব কম পরিবারেরই তা কেনার ক্ষমতা রয়েছে। সেখানে এক কেজি চিনির দাম ৪০ ডলারের সমপরিমাণ পর্যন্ত উঠেছে। খাদ্যের অভাবে অনেকেই গবাদিপশুর খাবার খেতে বাধ্য হচ্ছে। অধিকাংশ বাড়িতেই বিদ্যুৎ নেই। শুধু যারা সরাসরি আইএসের হয়ে লড়াই করছে, তাদের ঘরে অল্প কিছু সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে।
এদিকে আইএস মোকাবিলায় মার্কিন মদদপুষ্ট কুর্দি ও আরব যোদ্ধারা সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) নামের নতুন একটি জোট গঠন করেছে। তুরস্কের সীমান্তসংলগ্ন উত্তর সিরিয়ার মানবিজি এলাকায় এই জোট ইতিমধ্যেই আইএস-বিরোধী অভিযান শুরু করেছে বলে সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, ভেতর থেকে আইএস যোদ্ধারা এসব সাধারণ মানুষকে আটকে রেখেছে। এমনকি তাদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে এ জঙ্গি সংগঠন। আবার বাইরে সরকারি বাহিনী চারদিক থেকে ঘিরে রাখায় অাটকা পড়া মানুষ পালাতেও পারছেনা।
এদিকে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে দারাইয়ার চার হাজার বাসিন্দা অনাহারে-অর্ধাহারে ভয়াবহ জীবন যাপন করছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। আইএস ও সরকারি বাহিনীর কারণে সেখানে সড়কপথে ত্রাণ পাঠানো যাচ্ছে না। ২০১২ সাল থেকে অবরুদ্ধ দারাইয়ায় গত বুধবার প্রথম কিছু ত্রাণসামগ্রী গেছে।
সিরিয়ার দারাইয়া এলাকায় কয়েক বছরের মধ্যে এই প্রথম ত্রাণবাহী গাড়ি প্রবেশ করতে পেরেছে। তবে সেগুলো শুধু ওষুধ ছিল। কোনো খাবার ছিল না। এ ছাড়া আইএস নিয়ন্ত্রিত দারাইয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় মুয়াধামিয়া এলাকায় ডব্লিউএফপি সেদিনই কিছু খাবার সরবরাহ করতে পেরেছে।
যদিও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স অবিলম্বে জাতিসংঘকে দারাইয়াসহ সিরিয়ার অবরুদ্ধ এলাকাগুলোতে বিমান থেকে খাবারসহ প্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রী ফেলা শুরু করতে আহ্বান জানিয়েছে। তারা বলেছে, বিশ্বনেতারা ১ জুন থেকে সিরিয়ার অবরুদ্ধ এলাকায় ত্রাণ
সরবরাহের ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, সিরিয়া সরকার সেই সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে।
মঙ্গলবার ফালুজায় সরকারি বাহিনী 'চূড়ান্ত অভিযান' শুরু করার পরপরই তারা আইএসের প্রতিরোধের মুখে পড়ে। ফালুজা অভিযানের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবদেলওয়াহাব আল সাদ্দি জানান, আইএসের হামলাটি তীব্র ছিল, তবে তা প্রতিহত করা হয়েছে।
ইরাকে ইউনিসেফের প্রতিনিধি পিটার হকিন্স এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইউনিসেফ যুদ্ধরত সব পক্ষকে ফালুজার ভেতরে আটকা পড়া শিশুদের রক্ষার আহ্বান জানিয়েছে। যারা স্বেচ্ছায় শহরটি ত্যাগ করতে চায়, তাদের বেরিয়ে যেতে দেওয়া এবং এরপর তাদের নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থার করার কথাও বলেছে ইউনিসেফ।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) বলেছে, ফালুজার বাসিন্দাদের খাবারের মজুত দ্রুত শেষ হয়ে আসছে। সেখানে খাবারের দাম বহুগুণ বেড়ে যাওয়ায় খুব কম পরিবারেরই তা কেনার ক্ষমতা রয়েছে। সেখানে এক কেজি চিনির দাম ৪০ ডলারের সমপরিমাণ পর্যন্ত উঠেছে। খাদ্যের অভাবে অনেকেই গবাদিপশুর খাবার খেতে বাধ্য হচ্ছে। অধিকাংশ বাড়িতেই বিদ্যুৎ নেই। শুধু যারা সরাসরি আইএসের হয়ে লড়াই করছে, তাদের ঘরে অল্প কিছু সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে।
এদিকে আইএস মোকাবিলায় মার্কিন মদদপুষ্ট কুর্দি ও আরব যোদ্ধারা সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) নামের নতুন একটি জোট গঠন করেছে। তুরস্কের সীমান্তসংলগ্ন উত্তর সিরিয়ার মানবিজি এলাকায় এই জোট ইতিমধ্যেই আইএস-বিরোধী অভিযান শুরু করেছে বলে সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে।
খবর বিভাগঃ
দেশের বাইরে
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়