Saturday, June 11

‘হত্যা-ষড়যন্ত্রে দেশকে আ.লীগশূন্য করা যাবে না’


ঢাকা: দেশের মানুষকে হত্যা করে এবং দেশের বিরুদ্ধে গোপনে ষড়যন্ত্র করে দেশকে আওয়ামী লীগশূন্য করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী। শনিবার গুলিস্তান মহানগর নাট্যমঞ্চে শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তর ও দক্ষিণের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, ১/১১ ষড়যন্ত্রকারীরা আজও তৎপর। ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায়ই ২০১৪-২০১৫ সালে রাজপথে জ্বালাও-পোড়াও এবং অগ্নিসংযোগে মানুষ হত্যা করেছে। এই ষড়যন্ত্রে ব্যর্থ হয়ে আজ আবার দেশকে অস্থিতিশীল করতে একের পর এক গুপ্তহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। দেশের নিরীহ মানুষ হত্যার পাশাপাশি বিদেশি নাগরিকদের হত্যা করে দেশকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সেদিনের ষড়যন্ত্রকারীরা গা ঢাকা দিলেও তাদের রাজনৈতিক নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নবরূপে আজকে ষড়যন্ত্রের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে হাজির হয়েছেন। এটা আজ সমগ্র জাতির কাছে পরিষ্কার। তাই বেগম খালেদা জিয়াকে নিস্ক্রিয় করতে পারলে সব অপতৎপরতা বন্ধ হবে। তিনি বলেন, খালেদা ভেবেছিল বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ নেতাদের হত্যা করে বাংলাদেশকে আওয়ামী লীগ শূন্য করা যাবে। তাদের সে আশা পূরণ হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার দায়িত্ব নিয়েছেন। এর ধারাবাহিকতায় আজকে বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে একটি রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, ২০০৮ সালের ১১ জুন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সংগ্রামের ইতিহাসে অনন্য একটি দিন। বাংলাদেশের অবরুদ্ধ গণতন্ত্র মুক্তির পথ এদিন উন্মোচিত হয়। দীর্ঘ প্রায় ১১ মাস কারাভোগের পর মুক্তি পান গণতন্ত্রকন্যা শেখ হাসিনা। শান্তির দূত শেখ হাসিনার হাত ধরেই এ দেশের মানুষ ১৯৭৫ এর পর ফিরে পেয়েছিল তাদের হারানো গণতন্ত্র। যখইন এ দেশের মানুষ অধিকার হারা হয়েছে, গণতন্ত্রহীন হয়েছে, তখনই গণতন্ত্রের সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন গণতন্ত্রের এই অকুতোভয় নেত্রী। বাংলাদেশে তাই ৭৫ এর পরবর্তী রাজনীতিতে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা হলেন গণতন্ত্রের সমার্থক, গণতন্ত্রের প্রতীক। তিনি বলেন, দেশে যখনই গণতন্ত্র আক্রান্ত হয়েছে, তখনই আক্রান্ত হয়েছেন শেখ হাসিনা। কখনো তাকে হত্যা করে গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এসব যড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করেই তার সততায় জাতির পিতার আদর্শ বুকে ধারণ করে জনগণের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে শেখ হাসিনা জনগণের মুক্তিদাত্রী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের সভাপতিত্বে এবং ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেনের পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ, যুবনেতা শহীদ সেরনিয়াবাত, মজিবুর রহমান চৌধুরী, ফারুক হোসেন, মাহবুবুর রহমান হিরন, আবদুস ছাত্তার মাসুদ, আতাউর রহমান, অধ্যাপক এবিএম আমজাদ হোসেন, আনোয়ারুল ইসলাম, সুব্রত পাল, কাজী আনিসুর রহমান, মিজানুল ইসলাম মিজু, ইকবাল মাহমুদ বাবলু, মনিরুল ইসলাম হাওলাদার, মাঈনুল হোসেন খাঁন নিখিল প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা খলিলুর রহমান দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন । এর আগে সকাল ৯টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুকের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয়, মহানগর ও মহানগর অন্তভুক্ত সব ইউনিটের নেতারা। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে বেলা আড়াইটার দিকে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরীর নেতৃত্বে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়