Monday, June 20

সাবালক হওয়ার যেসব শিক্ষা, আপনি জানেন না!

সাবালক হওয়ার যেসব শিক্ষা, আপনি জানেন না!

কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর কিশোর থেকে সাবালকে রুপ নেয় একজন মানুষ। তখন জীবনের অনেক কিছুই বুঝে নিতে শিখে। সাবালক হওয়া মানেই সব বিষয় নিজে থেকে আপনার শেখা হয়ে যাবে, এমনটা নয়। বহু বিষয় আছে যা নিজে কষ্ট করে শিখে নিতে হয়। এ লেখায় তুলে ধরা হলো এমন কিছু বিষয়, য সাবালক হওয়ার পর জেনে নিলে জীবনে উন্নতি সম্ভব। সবাইকেই জানতে হয়।

উদ্যোগ না নিলে কিছুই বদলাবে না :
আপনি পরিবর্তন না করলে কিছুই পরিবর্তিত হবে না। এ কারণে সব সময় পরিবর্তনের জন্য নিজেকেই উদ্যোগী হতে হবে। নতুন প্রকল্প, নতুন চাকরি, নতুন অ্যাপার্টমেন্ট সবকিছুর জন্যই নিজেকে উদ্যোগী হতে হবে। অন্যথায় আপনার জন্য আদতে কিছুই থাকবে না।

লজ্জা বলে কিছু নেই :
শিক্ষাজীবনে অনেকেই ক্লাসরুমে নিজের হাতটি ওঠাতে চান না লজ্জায়। কিন্তু বড় হতে হতে এক পর্যায়ে সেই লজ্জা আর থাকে না। ক্রমে বুঝতে শেখা হয় যে, লজ্জা বলে বাস্তবে কিছু নেই। যত দ্রুত এ জড়তা দূর করা যাবে ততই ভালো। এটি আপনার কর্মতৎপরতাকে সীমিত করে দেবে। জড়তার কারণে আপনি যেমন নিজেকে মেলে ধরতে পারবেন না তেমন নিজের যোগ্যতা ও কর্মতৎপরতাও অন্যের কাছে পৌঁছানো কঠিন হবে।

সবকিছুই অস্থায়ী:
পৃথিবীর কোনো বিষয়ই স্থায়ী নয়। এ কারণে আপনার বয়স, বাসস্থান, চাকরি, স্বাস্থ্য কিংবা আর্থিক অবস্থা, কোনোকিছুই চিরদিন এক রকম থাকবে না। তাই সর্বদা উন্নতির জন্য চেষ্টা করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার চেষ্টা থাকবে যেন কখনোই বর্তমান অবস্থার তুলনায় অবনতি না হয়। এছাড়া বয়স ও স্বাস্থ্যের মতো কিছু বিষয় আছে যা ভবিষ্যতে বাড়তেই থাকবে এবং আগের অবস্থা আর কখনোই ফিরে আসবে না। তাই জীবনের এসব বিষয়ে সন্তুষ্টি থাকতে হবে। যা আছে তা নিয়েই সুখী হতে হবে।

মিথ্যা বলা থেকে দূরে থাকুন :
মিথ্যা কথা বলা মোটেই ভালো অভ্যাস নয়। এটি অনেকেরই বাজে ভাবমূর্তি তৈরি করে। সত্য চাপা থাকে না। আপনার মিথ্যা কথা এক সময় প্রকাশিত হবেই, তখন নিজেই হেয় হবেন।

নিজের জন্য নিজেই মনোযোগী হোন :
সাবালক হওয়ার আগে আপনার বাবা-মা আপনার জন্য মনোযোগী ছিলেন। তারা আপনার স্বাস্থ্য ও অন্যান্য বিষয়ে নজর রেখেছেন বলেই আপনি বড় হতে পেরেছেন। কিন্তু সাবালক হওয়ার পরে সেভাবে আর যত্ন পাওয়া যাবে না এরপর আপনার নিজের জন্য নিজেকেই মনোযোগী হতে হবে। অন্য কেউ আপনার সুযোগ সুবিধা দেখতে সক্ষম নন। কী খেতে হবে, কী পরতে হবে ইত্যাদি সব বিষয়ে নিজেকেই মনোযোগী হতে হবে।

কথা অনুযায়ী কাজ করুন :
আপনি একটি কথা বললেন কিন্তু সে অনুযায়ী কাজ করলেন না- এটি কেবল অপ্রাপ্তবয়স্ক অবস্থাতেই সবাই মেনে নেবে। সাবালক হওয়ার পর কথার সঙ্গে কাজের মিল রাখা চাই। আপনি যদি কোনো কাজ করতে সক্ষম না হন তাহলে সেজন্য কথা দেবেন না।

বন্ধুত্ব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় :
ছোটবেলা থেকেই আমরা বন্ধুদের সঙ্গে মিশতে অভ্যস্ত হই। কারো সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়া আর ভাঙা সে সময় খুবই সহজ থাকে। কিন্তু সাবালক হওয়ার পর বন্ধুত্ব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। এ সময় পুরনো বন্ধুত্ব টিকিয়ে রাখতে পারলে বন্ধুরা সারা জীবন কাছে থাকবে। কিন্তু এজন্য নিজের কিছু প্রচেষ্টাও প্রয়োজন।

প্রচেষ্টাতেই সাফল্য আসে :
আপনি যে বিষয়ে চেষ্টা করবেন সে বিষয়েই সাফল্য আসবে। আপনি যদি নিয়মিত জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করেন তাহলে স্বাস্থ্য ভালো হবে। যদি অর্থ সঞ্চয় করেন তাহলে বড় সঞ্চয় গড়তে পারবেন। ভালোভাবে পড়াশোনা করলে ভালো রেজাল্ট করবেন।

নিজের কারণেই অসামাজিক :
আপনার নিজের কারণেই আপনি অসামাজিক হতে পারেন। যেমন বিভিন্ন সামাজিকতায় আপনাকে যদি আমন্ত্রণ জানায় এবং আপনি তাতে না যান তাহলে সেসব অনুষ্ঠানে আর কেউ আমন্ত্রণ জানাবে না। এতে ক্রমে অসামাজিক হতে বাধ্য হবেন আপনি।

আপনার মানুষ খুব বেশি লক্ষ করে না :
আপনার প্রতি অন্য মানুষ যতটা লক্ষ্য করছে বলে মনে করেন বাস্তবে তারা ততটা লক্ষ করে না। প্রত্যেকেই নিজস্ব কাজ নিয়ে ব্যস্ত। সবারই নিজস্ব চিন্তাভাবনা ও ব্যস্ততা রয়েছে। তাই অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইলে সেজন্য পৃথক মনোযোগ দেয়া প্রয়োজন।

সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়