Saturday, June 18

গোপীবাগের ছয় খুনে জেএমবি জড়িত

গোপীবাগের ছয় খুনে জেএমবি জড়িত

কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: পুরান ঢাকার ওয়ারী থানার গোপিবাগ এলাকায় ছয় খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত আবদুল গাফফার ও তরিকুল ইসলাম জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ জেএমবি) সদস্য। তারা গ্রেপ্তার হওয়ার পরে আদালতের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এরা ওই জবাববন্দিতে আরো চার-পাঁচজনের নাম বলেছে। তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে পারলে এই মামলায় অভিযোগ পত্র (চার্জশীট) দেওয়া হবে।

গোয়েন্দা সূত্র জানায়, গোয়েন্দা পুলিশ বিভিন্ন তথ্য বিশ্লষণ করে প্রথমে তরিকুলকে গ্রেপ্তার করে। তরিকুল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হয়। ওই জবানবন্দিতে প্রথমে তিনি আবদুল গাফফারের নাম বলেন। এরপর গোয়েন্দা পুলিশ বিভিন্ন স্থানে গ্রেপ্তার করে আবদুল গাফফার গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

আবদুল গাফফার এই হত্যাকান্ডে জড়িত আরো চার-পাঁচজনের নাম বলেছেন। তার দেওয়া তথ্য যাচাই বাছাই করে বাকীদের গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে। তবে এই হত্যাকান্ড ধর্মীয় মতাদর্শের কারনেই হয়েছে। এবং এতে জেএমবিই জড়িত। কথিত পীর লুৎফর রহমান ফারুক নিজেকে পীর হিসেবে দাবি করত। এবং সে নানা ধরনের শিরকের সঙ্গে লিপ্ত ছিল।

জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. কবির হোসেন বলেন, এই মামলায় দুইজন গ্রেপ্তার হয়েছে। এরা আদালতের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। হত্যাকান্ডে জড়িত বাকীদের গ্রেপ্তার করতে পারলে এই মামলায় অভিযোগ পত্র (চার্জশীট) দেওয়া হবে।

অপর একটি গোয়েন্দা সূত্র জানায়, ইমাম মাহদী (আ.)- এর নাম ব্যবহার করে ধর্মীয় বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর মতবাদ প্রচার করতেন লুৎফর রহমান। কখনো কখনো নিজেকে ইমাম মাহদী বলেও দাবি করতেন। নিজের মতবাদ নিয়ে বই লিখতেন। তার এই ধরনের কর্মকান্ডকে জেএমবি শিরক বলে মনে করত।

এ ব্যাপারে মামলার বাদি নিহতের ছেলে আবদুল্লাহ আল ফারুক বলেন, আমার কাছে যা তথ্য ছিল তা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে দিয়েছি। আর ঘটনার সময়ত আমি ঘরে ছিলাম না। ফলে যারা গ্রেপ্তার হয়েছে তাদেরকে আমার চেনার কথা নয়। আমি ও আমার পরিবারের সদস্যদের মত আশাবাদী হয়ত একদিন এই মামলার সকল আসামিরা গ্রেপ্তার হবে সবাই বিচারের অধীনে আসবে। এর থেকে বেশি কিছু আমার বলার নেই।

২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় পুরান ঢাকার ওয়ারীর গোপীবাগের ‘আয়না’ ভবনের দ্বিতীয় তলার বাসায় গলা কেটে হত্যা করা হয় কথিত পীর লুৎফর ফারুক ও তার বড় ছেলে সরোয়ারুল ইসলাম ফারুকসহ ছয়জনকে। অন্যরা হলেন পীরের অনুসারী মঞ্জুরুল আলম, রাসেল, শাহিন ও মজিবুর সরকার। হত্যার ধরন দেখে শুরুতেই এ ঘটনার সঙ্গে কয়েকটি উগ্র ধর্মীয় জঙ্গি সংগঠন জড়িত বলে সন্দেহ করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়