কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
দ্বিতীয়বারের জন্য ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন মমতা ব্যানার্জি৷ তার নামের পাশে ‘জননেত্রী’, ‘অগ্নিকন্যা’ বিশেষণগুলো বসানো হয়৷ মানুষ মমতা সম্পর্কে এমন বেশ কয়েকটি তথ্য এখানে প্রকাশ করা হলো, যেগুলি অনেকেই হয়তো জানেন না৷
১. ইতিহাসে ব্যাচেলর ডিগ্রি রয়েছে মমতা ব্যানার্জির৷ ইসলামিক হিস্ট্রিতে রয়েছে মাস্টার ডিগ্রি৷
২. তৈলাক্ত খাবার বা ভাজাভুজি খেতে বিশেষ পছন্দ করেন না মমতা৷ ‘দিদি’ খেতে পছন্দ করেন মুড়ি, চা ও চকোলেট৷ ঘনিষ্ঠ মহলে হালকা মেজাজে আড্ডা দিতে বসলে মুড়ির সঙ্গে আলুর চপ খেতে ভালবাসেন মমতা৷
৩. প্রতিদিন ট্রেডমিলে অন্তত ৫-৬ কিলোমিটার হাঁটেন মমতা৷ অধিবেশন চলাকালীন বিধানসভার লম্বা করিডর ধরে সহকর্মী, সাংবাদিকদের সঙ্গে হাঁটেন মমতা৷ গল্প করতে করতে একসঙ্গে ১০ কিলোমিটারও হেঁটে ফেলেন মমতা৷
৪. সাদা তাঁতের শাড়ি পরতে ভালবাসেন মমতা ব্যানার্জি, সঙ্গে একরঙা পাড়৷ এই ধরনের শাড়ি তৈরির জন্য জনপ্রিয় হুগলির ধনেখালি৷
৫. পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হয়েও দক্ষিণ কলকাতার ঘিঞ্জি হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে টালির বাড়িতে থাকেন মমতা৷ অল্প বৃষ্টিতেই তার বাড়ির সামনে পানি জমে যায়৷ তখন মমতাকে দেখা যায় বাড়ির সামনে পাতা ইঁটের উপর পা রেখে হাঁটতে৷
৬. প্রকৃতি বিশেষ প্রিয় মমতার৷ সময় পেলেই তাই দার্জিলিংয়ের পাহাড় বা মেদিনীপুরের জঙ্গলে ছুটে যান মমতা৷
৭. নেচার ফটোগ্রাফি মমতার হবি৷
৮. সেন্ট্রাল পার্কের সৌন্দর্যায়ন মমতার মস্তিষ্কপ্রসূত৷
৯. মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গান শুনতে ভালোবাসেন৷ সময় পেলেই শোনেন রবীন্দ্রসঙ্গীত, পাঠ করেন নজরুলের কবিতা৷
১০. বীরভূমে মমতার মামারবাড়ি৷ ছোটবেলায় মায়ের সঙ্গে মামারবাড়ি গেলেই সেখানকার ধানক্ষেতে খেলা করতেন আজকের মুখ্যমন্ত্রী৷
১১. পূর্ণ সময়ের রাজনীতিতে আসার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্টেনোগ্রাফার হিসেবে কাজ করতেন৷ এছাড়াও তিনি কখনও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা, কখনো প্রাইভেট টিউটর এমনকী সেলসগার্লের কাজও করেছেন৷
১২. দুঃসময়ে যারা পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন তাদের কখনও ভোলেন না মমতা৷ মমতার রাজনৈতিক কেরিয়ারে প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বিশেষ ভূমিকা ছিল৷ সেই সুব্রত মুখোপাধ্যায় আজ ফের পূর্ণমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন৷
১৩. মমতা বহু কবিতা, গদ্য, প্রবন্ধ, এমনকী উপন্যাসও লিখেছেন৷ তিনি একজন চিত্রশিল্পীও বটে৷ তার আঁকা ছবি বিক্রি করে প্রাপ্ত টাকার পুরোটাই তিনি দেন পার্টি ফান্ডে৷
১৪. মুখে মুখে ছড়া তৈরি করতে পারেন এই জননেত্রী৷ বিভিন্ন জনসভায় কোনওরকম স্ক্রিপ্ট ছাড়াই তাই বিরোধীদের নিশানা করে দুই-চার লাইনের ছড়া কাটতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সেই ছড়া শুনে প্রশংসা আর হাততালিতে ভরিয়ে দেয় উপস্থিত জনতা৷
১৫. বাংলার লোকশিল্পের প্রতি মমতার আন্তরিক অনুরাগ রয়েছে৷
১৬. মমতা প্রকৃত অর্থেই একজন টেক-স্যাভি৷ সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে মানুষের আরও কাছাকাছি পৌঁছে যান মমতা৷ ফেসবুকে লাইভ চ্যাট করেন, নিয়মিত টুইট করেন৷ বিধানসভা নির্বাচনের সময় তিনি ফেসবুক ৩৬০ টুল ব্যবহার করেছেন৷
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
খবর বিভাগঃ
দেশের বাইরে
বিশেষ খবর
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়