ইসলাম ডেস্ক:
যিনি নিজেকে আল্লাহর সামনে সোপর্দ করে দেন তিনিই প্রকৃত অর্থে মুসলমান। এই ধর্মে বিশ্বাসী হওয়া মানে এই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়া আমি প্রভু যা চান তাই করবো। তার অনুমতি ছাড়া কোনো কাজ করবো না। প্রতিটি কাজের মাপকাঠি হবে প্রভুর নির্দেশনা। যে কাজে আমাকে প্রভুর নির্দেশনা সমর্থন করে না সে কাজ থেকে বিরত থাকবো-এটাই হলো ইসলামের মূলকথা। আমাদের সমাজের অবস্থা হলো, মুসলমানের ঘরে জন্ম নিয়েছি বলেই আমরা মুসলমান। আমরা মনে করি, যেহেতু মুসলমান হয়ে গেছি তাই আল্লাহর করুণা ও সাহায্য এমনিতেই চলে আসবে। বিষয়টি আসলে এমন নয়। আমাকে স্রষ্টার করুণা পেতে হলে তার দ্বারস্থ হতে হবে। তার সন্তুষ্টি মতো না চললে করুণা পাওয়ার আশাও করতে পারি না।
একজন মুসলমানকে তার প্রিয়জন এমনকি নিজের প্রাণের চেয়েও আল্লাহকে বেশি ভালোবাসতে হবে। হাদিসে আছে, রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা ওই পর্যন্ত পরিপূর্ণ মুমিন হতে পারবে না যতক্ষণ না আমি তোমাদের কাছে তোমাদের পিতামাতা, আপন সন্তান এবং সমস্ত মানুষের চেয়ে অধিক প্রিয় না হবো।’ আল্লাহকে ভালোবাসার পূর্বশর্ত হচ্ছে রাসুলকে ভালোবাসা। আর রাসুলকে ভালোবাসার অর্থ হচ্ছে তাঁর নির্দেশনা মতো জীবনযাপন করা। তাঁর নির্দেশের সামনে নিজেকে সমর্পণ করা। আমরা মুখে যতই দাবি করি, আল্লাহ ও রাসুলের প্রতি আমার ভালোবাসা অগাধ এর কোনো ভিত্তি নেই। এটা কাজে প্রমাণ করতে হবে।
নিছক জানার নাম দ্বীন নয়। একজন ঈমান না এনেও দ্বীন সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারে। দ্বীনের প্রকৃত ফায়দা লাভের জন্য তা মানতে হবে। দ্বীনের ওপর চলার মধ্যেই রয়েছে মুমিনের কাক্সিক্ষত সফলতা। ইসলামের ইতিহাসে যারাই সফল হয়েছেন দ্বীনের ওপর কঠোরভাবে চলার কারণেই হয়েছেন। দ্বীন না মেনে শুধু মৌখিক দাবি দ্বারা মুক্তির কোনো সম্ভাবনা নেই। আর দ্বীন মানতে হবে পুরোটাই। এখানে আংশিক কোনো প্যাকেজ নেই। কিছু মানবো আর কিছু ছাড়বো এই সুযোগ ইসলামে রাখা হয়নি। যারা কিছু মানে আর কিছু ছাড়ে তারা দুনিয়া-আখেরাত কোনোটাই পায় না। একজন মুমিনের প্রকৃত কামিয়াবি দ্বীন মানার মধ্যে। দ্বীনই মুমিনকে আলোকিত করে, আল্লাহর দরবারে সম্মানি বানায় এবং উভয় জাহানে সার্থকতা এনে দেয়।
খবর বিভাগঃ
ইসলাম
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়