Thursday, May 19

ইজিপ্টএয়ারের বিমানটি ভূমধ্যসাগরে বিধ্বস্ত: ফ্রান্স

ইজিপ্টএয়ারের বিমানটি ভূমধ্যসাগরে বিধ্বস্ত: ফ্রান্স

কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: নিখোঁজ হওয়া ইজিপ্টএয়ারের বিমানটি ভূমধ্যসাগরেই বিধ্বস্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া অলন্দ। প্যারিস থেকে কায়রো যাওয়ার পথে ৬৬জন যাত্রী ও ক্রু সহ বিমানটি নিখোঁজ হয়।

'এ পর্যন্ত আমরা যে তথ্য পেয়েছি তাতে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে এবং নিখোঁজ রয়েছে বলেই নিশ্চিত হওয়া গেছে'। টেলিভিশনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে অলন্দ এ কথা বলেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

'এটি দুর্ঘটনা নাকি 'সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড' সেটি নিশ্চিতের কাজ চলছে। কি কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত সে সম্পর্কে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জানাটাও কর্তব্য বলে উল্লেখ করেন তিনি। 'কোনও সম্ভাবনাই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না' জানিয়ে অলন্দ বলেন, 'কি ঘটেছে সে সম্পর্কে সত্যিকারের কিছু জানতে পারার পরই আমরা এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কিছু বলতে পারব'।

গ্রিক আকাশসীমা পেরোনোর পরপরই কায়রোর স্থানীয় সময় বুধবার রাত ২টা ৪৫ মিনিটে  (বাংলেদেশ সময় বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা ৪৫) এয়ারবাস এ৩২০ রেডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়।

গ্রিসের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ফ্লাইটএমএস৮০৪ মিশরের আকাশসীমায় প্রবেশ পরপরই ৯০ ডিগ্রি বামে এবং ৩৬০ ডিগ্রি ডানে ঘুরে গিয়ে নিমজ্জিত হয়েছে। গ্রিক কারপাথোস দ্বীপের দক্ষিণের সমুদ্রে বিমানেটির খোঁজে ব্যাপক তল্লাশি চলছে। গ্রিক ও মিশরের সশস্ত্র বাহিনী একযোগে অভিযানে অংশ নিচ্ছে। ফ্রান্সও এ অভিযানে নৌকা এবং বিমান পাঠিয়ে সহায়তা করার ঘোষণা দিয়েছে।

গ্রিস একটি সি-১৩০ সামরিক বিমান এবং একটি আগাম সতর্কীকরণ বিমানও পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছে। একইসঙ্গে পাঠানো হয়েছে আরেকটি সি-১৩০ বিমান ও হেলিকপ্টার।

ইজিপ্টএয়ারের ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আদেল রয়টার্স বার্তা সংস্থাকে বলেছেন, 'মিশরের বিমান বাহিনী থেকে অনুসন্ধানী এবং উদ্ধারকারী বিমান পাঠানো হয়েছে। যে জায়গায় বিমানের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে ঠিক সেই জায়গাতেই অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে। অভিযান চলছে। তবে এখনও পর্যন্ত কিছু খুঁজে পাওয়া যায়নি'।

উড়োজাহাজটির আরোহীদের মধ্যে ৩০ জন মিশরীয়, ১৫ জন ফরাসি, একজন ব্রিটিশ, দুজন ইরাকী ছাড়াও কানাডা, কুয়েত, বেলজিয়াম, সৌদি আরব, আলজেরিয়া, সুদান, শাদ ও পর্তুগালের নাগরিক রয়েছেন।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়