কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: দলীয়
এমপি এ কে এম সেলিম ওসমানের কর্মকাণ্ডে বিব্রত জাতীয় পার্টি (জাপা)। এই
মুহূর্তে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার চিন্তা-ভাবনাও নেই।
তবে সেলিম ওসমান সরকারি তদন্তে অভিযুক্ত হলে তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে
জাপা। দলে কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের বুধবার এসব তথ্য জানান।
গত শুক্রবার নারয়নগঞ্জ-৫ আসনের এমপি সেলিম ওসমানের উপস্থিতিতে স্থানীয় পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে কানে ধরে উঠবস করানো হয়।
অভিযোগ রয়েছে, সেলিম ওসমানের নির্দেশেই শিক্ষককে এ শাস্তি দেওয়া হয়। এতে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। সেলিম ওসমানের বিচার ও পদত্যাগ দাবি করছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। হাইকোর্ট এ ঘটনায় সেলিম ওসমানসহ দায়ীদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না-তা জানতে রুল জারি করেছেন।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলও বুধবার সেলিম ওসমানের কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। কিন্তু জাপা এ ইস্যুতে শুরু থেকেই নীরব। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন অনিয়মের ঘটনায় জাপা চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ মুখর হলেও, সেলিম ওসমান-কাণ্ডে কোনো কথা বলেননি। বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদও নীরব।
'শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় জাপা কোন কথা না বললেও এরশাদ থেকে শুরু করে দলের সব নেতাকর্মী বিব্রত ও মর্মাহত' বলে উল্লেখ করেছেন জিএম কাদের।
তিনি বলেন, 'ব্যক্তিগতভাবে আমি এ ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছি। দলের সবাই বিব্রত মর্মাহত। কিন্তু দলীয় ফোরামে এ বিষয়ে এখনও কোন কথা হয়নি। ঘটনার তদন্তে সরকার কমিটি করেছে। যদি তদন্তে সেলিম ওসমান অভিযুক্ত হন, তবেই দলীয় ফোরাম তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। সরকার যেহেতু তদন্ত করছে, তাই জাতীয় পার্টি এ ঘটনার তদন্ত করবে না।'
জাপা এমপি নাসিম ওসমানের মৃত্যুতে নারায়নগঞ্জ-৫ আসন শূণ্য হলে উপনির্বাচনে দলটির মনোনয়ন পান তারই ছোট ভাই সেলিম ওসমান। ২০১৪ সালের ২৬ জুন ওই উপনির্বাচনে জয়ী হন নারায়ণগঞ্জের আলোচিত-সমালোচিত ওসমান পরিবারের সদস্য সেলিম ওসমান।
জাপার একাধিক নেতা জানান, সেলিম ওসমান এরইমধ্যে পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদকে ঘটনাটি জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে তিনি দলের সমর্থনও চেয়েছেন।
এ বিষয়ে জিএম কাদের বলেন, 'দলীয় এমপি দলের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলবেন-এটাই স্বাভাবিক।'
জাপা মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনা সম্পর্কে বলেন, 'ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। জাপা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যদি আমাদের এমপি দায়ী হন, তখন দলীয় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন শীর্ষ নেতৃত্ব। তার আগে তদন্তাধীন বিষয়ে কথা বলা ঠিক না।'
এরআগে মঙ্গলবার সেলিম ওসমান জানিয়েছিলেন, অপরাধী প্রমাণিত হলে দায় স্বীকার করে নেবেন। তিনি দাবি করেন, শ্যামল কান্তি ধর্ম অবমাননা করায় স্থানীয় জনতা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। জনরোষ থেকে শিক্ষককে রক্ষা করতেই কানে ধরে উঠ বস করিয়ে ছিলেন।
সূত্র: সমকাল
গত শুক্রবার নারয়নগঞ্জ-৫ আসনের এমপি সেলিম ওসমানের উপস্থিতিতে স্থানীয় পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে কানে ধরে উঠবস করানো হয়।
অভিযোগ রয়েছে, সেলিম ওসমানের নির্দেশেই শিক্ষককে এ শাস্তি দেওয়া হয়। এতে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। সেলিম ওসমানের বিচার ও পদত্যাগ দাবি করছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। হাইকোর্ট এ ঘটনায় সেলিম ওসমানসহ দায়ীদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না-তা জানতে রুল জারি করেছেন।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলও বুধবার সেলিম ওসমানের কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। কিন্তু জাপা এ ইস্যুতে শুরু থেকেই নীরব। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন অনিয়মের ঘটনায় জাপা চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ মুখর হলেও, সেলিম ওসমান-কাণ্ডে কোনো কথা বলেননি। বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদও নীরব।
'শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় জাপা কোন কথা না বললেও এরশাদ থেকে শুরু করে দলের সব নেতাকর্মী বিব্রত ও মর্মাহত' বলে উল্লেখ করেছেন জিএম কাদের।
তিনি বলেন, 'ব্যক্তিগতভাবে আমি এ ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছি। দলের সবাই বিব্রত মর্মাহত। কিন্তু দলীয় ফোরামে এ বিষয়ে এখনও কোন কথা হয়নি। ঘটনার তদন্তে সরকার কমিটি করেছে। যদি তদন্তে সেলিম ওসমান অভিযুক্ত হন, তবেই দলীয় ফোরাম তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। সরকার যেহেতু তদন্ত করছে, তাই জাতীয় পার্টি এ ঘটনার তদন্ত করবে না।'
জাপা এমপি নাসিম ওসমানের মৃত্যুতে নারায়নগঞ্জ-৫ আসন শূণ্য হলে উপনির্বাচনে দলটির মনোনয়ন পান তারই ছোট ভাই সেলিম ওসমান। ২০১৪ সালের ২৬ জুন ওই উপনির্বাচনে জয়ী হন নারায়ণগঞ্জের আলোচিত-সমালোচিত ওসমান পরিবারের সদস্য সেলিম ওসমান।
জাপার একাধিক নেতা জানান, সেলিম ওসমান এরইমধ্যে পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদকে ঘটনাটি জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে তিনি দলের সমর্থনও চেয়েছেন।
এ বিষয়ে জিএম কাদের বলেন, 'দলীয় এমপি দলের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলবেন-এটাই স্বাভাবিক।'
জাপা মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনা সম্পর্কে বলেন, 'ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। জাপা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যদি আমাদের এমপি দায়ী হন, তখন দলীয় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন শীর্ষ নেতৃত্ব। তার আগে তদন্তাধীন বিষয়ে কথা বলা ঠিক না।'
এরআগে মঙ্গলবার সেলিম ওসমান জানিয়েছিলেন, অপরাধী প্রমাণিত হলে দায় স্বীকার করে নেবেন। তিনি দাবি করেন, শ্যামল কান্তি ধর্ম অবমাননা করায় স্থানীয় জনতা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। জনরোষ থেকে শিক্ষককে রক্ষা করতেই কানে ধরে উঠ বস করিয়ে ছিলেন।
সূত্র: সমকাল
খবর বিভাগঃ
রাজনীতি
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়