নিজস্ব প্রতিবেদক:
মাত্র তিন মিনিটের প্রচণ্ড কালবৈশাখী ঝড়ে কানাইঘাট সদর ইউপির বীরদল লক্ষ্মীপুর কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং কচুপাড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত ও লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। প্রচণ্ড কালবৈশাখী ঝড়ে আধাপাকা বীরদল লক্ষ্মীপুর কমিউনিটি স্কুলটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। রবিবার বিকেলে এই কালবৈশাখী ঝর হানা দেয় কানাইঘাটে।
প্রচণ্ড ঝড়ে স্কুলের পাকা দেওয়াল, উপরের লোহার পাত ও টিন দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। স্কুলটি সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হওয়ায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীদের পাঠদান বন্ধ হয়ে গেছে।
অপরদিকে, একই ইউপিতে অবস্থিত কচুপাড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে টিনশেডের ভবনটি কালবৈশাখী ঝড়ে সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে। স্কুলের দেড় শতাধিক কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
বীরদল লক্ষ্মীপুর কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জুনেদ হাসান জীবান জানান- ১৯৯৪ সালে স্কুলটি স্থাপিত হওয়ার পর থেকে এলাকাবাসীর অনুদানে কোনমতে ৪ জন শিক্ষিকা স্কুলের দেড়শতাধিক শিক্ষার্থীদের পাঠদান করে আসছিলেন।
সম্প্রতি স্কুলটি জাতীয়করণের প্রস্তাবের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এমতাবস্থায় হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে স্কুলটি সম্পূর্ণ লণ্ডভণ্ড হয়ে যাওয়ায় স্কুলের পাঠদান অব্যাহত রাখতে স্কুলটি শীঘ্রই মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
কচুপাড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হেলাল আহমদ জানিয়েছেন- ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত স্কুলটি টিকিয়ে রাখতে এলাকাবাসীর সাহায্য ও সহযোগিতায় ৩ জন শিক্ষক পাঠদান চালিয়ে আসছিলেন। স্কুলটি জাতীয়করণের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
রবিবারের কালবৈশাখী ঝড়ে স্কুলটি সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হওয়ায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান বন্ধ রয়েছে। একমাত্র সরকারি অনুদানে স্কুলটি মেরামত করে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
গতকাল সোমবার বিধ্বস্ত বীরদল লক্ষ্মীপুর কমিউনিটি স্কুল সরেজমিনে পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন- স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জুনেদ হাসান জীবান, উপজেলা যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ, স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রাহেনা বেগমসহ এলাকার অনেকে।
খবর বিভাগঃ
প্রতিদিনের কানাইঘাট
শিক্ষাঙ্গন
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়