ক্রীড়া ডেস্ক,কানাইঘাট নিউজ:
কিছুটা নার্ভাস। কিছুটা নড়বড়ে। দিনশেষে উইকেটহীন। রান খরচের সংখ্যা ৩৭। হাত ঘুরিয়েছেন পুরো ১০ ওভার। অ্যাকশন শুধরে ফিরে আসার পর ডিপিএলে আরাফাত সানির প্রথম ম্যাচের চিত্র এমনই। ভালো-খারাপের হিসাব-নিকাশের ফাঁকে অনেকের মনেই একটি প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে- সানির আগের সেই জৌলুস থাকবে তো?
প্রথম ম্যাচে তাকে কিছুটা নার্ভাস মনে হলেও আভাস দিয়েছেন টিকে থাকার এই যুদ্ধে জয়ী হতেই এসেছেন তিনি। ওই ম্যাচে মাশরাফি শেখ জামালের সব বোলারদের ব্যাট হাতে নির্মমভাবে শাসন করেন। শফিউল ইসলাম ৯ ওভার করে দেন ৬৩। সেখানে সানিই ছিলেন দলের সবচেয়ে ‘কৃপণ’ বোলার।
সানিকে ওই দিন কাছ থেকে দেখেন স্থানীয় আম্পায়ার শরিফুদ্দৌলা ইবনে সৈকত। তার প্রান্ত দিয়ে সানি বেশিরভাগ সময় বল করেন। সানির নতুন অ্যাকশনে সৈকতকে বেশ মুগ্ধ মনে হলো, ‘অল্প সময়ের ভেতর সে নিজেকে শুধরে নিয়েছে। হাতের পজিশন দারুণ মনে হচ্ছে। ম্যাচের সময় এই অ্যাকশনে কোনো সমস্যা মনে হয়নি।’
আরেক আম্পায়ার নাদির শাহ বলছেন, ‘আগের চেয়ে প্রচুর স্লোয়ার করছে। কিন্তু কনুইয়ের অবস্থানে কোনো সমস্যা নেই। নতুন অ্যাকশনে তার মানিয়ে নিতে আরো কিছুদিন সময় লাগবে।’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বের খেলা শুরু হওয়ার আগে সানি এবং তাসকিনের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে আইসিসি। পরে পরীক্ষা দিলে ত্রুটি ধরা পড়ে। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে খেলার সুযোগ থাকলেও সানি প্রথম পাঁচ রাউন্ডে মাঠে নামেননি। অনেকটা একা একা বোলিং অ্যাকশন শুধরে শনিবার প্রথমবারের মতো খেলতে নামেন। অন্যদিকে তাসকিন এখনো অ্যাকশন শোধরানোর দিকে পা বাড়াননি। ডিপিএল শেষ হলে অ্যাকশন শোধরানোর কথা বলেছেন তিনি।
আম্পায়াররা সানির নতুন অ্যাকশনে খুশি হলেও শেখ জামালের কোচ আনোয়ার হোসেন বলছেন, প্রথমদিন সানিকে বেশ নার্ভাস লেগেছে তার।
‘নার্ভাস আসলে হওয়ারই কথা। নতুন একটা অ্যাকশন। তাতে মানিয়ে নেয়া চাট্টিখানি কথা নয়। কিন্তু আমি নিশ্চিত আর কয়েক ম্যাচ খেললেই আরো উন্নতি হবে।’
খবর বিভাগঃ
খেলাধুলা
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়